বাংলাদেশে ছোট সংগ্রামীদের তালিকা, বীর মুক্তিযোদ্ধা রয়ে গেলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব

By Bangla News Dunia Dinesh

Published on:

Bangla News Dunia, Pallab : ’৭১-এর মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি মুছে ফেলার চেষ্টা চলছে বাংলাদেশে (Bangladesh)। এই নিয়ে যুক্তি-তর্কের মধ্যেই মুক্তিযোদ্ধার সংজ্ঞা বদলাতে অধ্যাদেশ জারি করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। যার জেরে একধাক্কায় অনেকটাই ছোট হয়ে গিয়েছে মুক্তিযোদ্ধাদের নামের তালিকা। তবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সহ প্রথম সারির মুক্তিযোদ্ধাদের অধিকাংশের ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’ তকমা বজায় রাখা হয়েছে।

আরও পড়ুন : বারবার তীরে এসেও তরী ডুবছে? চাণক্যের ৭ টিপস মানলে সাফল্য পাবেনই

বাংলাদেশের আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রকের অধ্যাদেশ অনুযায়ী, মুক্তিযুদ্ধের সময় ১৯৭১-এর ১০ এপ্রিল গঠিত মুজিবনগর সরকারের সদস্যরা ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’ হিসেবে গণ্য হবেন। মুজিবনগর সরকার গঠনে যাঁরা সক্রিয়ভাবে সহযোগিতা করেছেন এবং সরকারের কর্মী হিসাবে কাজ করছেন, তাঁরা ‘মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী’র মর্যাদা পাবেন। এতদিন অবশ্য মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে জড়িত সকলেই বীর মুক্তিযোদ্ধার সম্মান পেতেন। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক ই আজমের যুক্তি, ‘এই অধ্যাদেশের মাধ্যমে কাউকে বাতিল করা হয়নি। শুধু সংজ্ঞায় পরিবর্তন আনা হয়েছে। যিনি যে সুবিধা পাচ্ছেন, তিনি সেই সুবিধা পাবেন। শুধু যাঁরা সরাসরি রণাঙ্গনে যুদ্ধ করেছেন, তাঁরা বীর মুক্তিযোদ্ধা হবেন। অন্যরা হবেন মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী।’

এর ফলে মুজিবনগর সরকারে রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করা বঙ্গবন্ধু, তৎকালীন উপরাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমেদ, অর্থমন্ত্রী এম মনসুর আলি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচএম কামারুজ্জামান ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী খন্দকার মোশতাক আহমদ আগের মতোই বীর মুক্তিযোদ্ধার সম্মান পাবেন। শেখ মুজিবুর রহমান, তাজউদ্দীন আহমেদ সহ মুক্তিযুদ্ধের নেতাদের মুক্তিযোদ্ধা শংসাপত্র বাতিল নিয়ে বিভিন্ন মাধ্যমে যে খবর প্রকাশিত হয়েছে সেগুলি ভুয়ো বলে জানিয়েছেন ফারুক ই আজম।

অধ্যাদেশে ‘মুক্তিযুদ্ধের সহযোগীদের’ জন্য ৫টি শ্রেণি তৈরি করা হয়েছে। প্রথমত, যেসব বাংলাদেশি পেশাজীবী মুক্তিযুদ্ধের সময় বিদেশে থেকে স্বাধীনতার লড়াইয়ে বিশেষ অবদান রেখেছিলেন এবং বিশ্বজনমত গঠনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছিলেন। দ্বিতীয়ত, যাঁরা মুক্তিযুদ্ধের সময় গঠিত বাংলাদেশ সরকারের (মুজিবনগর সরকার) অধীনস্থ কর্মী, আধিকারিক, রাষ্ট্রদূত, চিকিৎসক, নার্স ও বিভিন্ন পদে কর্মরত ছিলেন। তৃতীয়ত, মুক্তিযুদ্ধের সময় গঠিত বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে যুক্ত সব এমএনএ (জাতীয় পরিষদের সদস্য) বা এমপিএ (প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য), যাঁরা পরবর্তীকালে গণপরিষদের সদস্য হিসেবে গণ্য হয়েছিলেন। চতুর্থত, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের সব শিল্পী, কলাকুশলী এবং দেশ ও দেশের বাইরে মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষে দায়িত্ব পালনকারী সব বাংলাদেশি সাংবাদিক। পঞ্চমত, স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল।

Bangla News Dunia Dinesh

মন্তব্য করুন