Bangla News Dunia , পল্লব চক্রবর্তী : আমাদের দেশে ডায়াবিটিস আক্রান্তের সংখ্যা রোজই বেড়ে চলেছে। আশঙ্কায় রয়েছেন দেশের তাবড় ডায়াবেটিস বিশেষজ্ঞরা। চিকিৎসকদের বড় অংশের মতে, জীবনযাত্রায় বড়সড় পরিবর্তন আনতে না পারলে রক্ষে নেই। সামনেই বহু খারাপ দিন অপেক্ষা করে রয়েছে। এখন বাচ্চাদের মধ্যেও দেখা দিচ্ছে সুগার। বিশিষ্ট ডায়াবেটিস বিশেষজ্ঞ ডা: আশিস মিত্র এই প্রসঙ্গ বলেন, আগে বড়োদের এই রোগের দেখা মিলত, সেখানে অনেক কম বয়সে ডায়াবিটিসের দেখা মিলছে। তবে কম বয়সের ডায়াবিটিসকে একটি নির্দিষ্ট নজরে দেখা চলবে না।
ডায়াবিটিস রোগটিকে মূলত দুইভাগে ভাগ করা যায়- টাইপ ১ ও টাইপ ২। টাইপ ১ ডায়াবিটিস রোগটি হল অটোইমিউন রোগ।
বাচ্চাদের মধ্যে কোনটি বেশি ?
এই দুই ধরনের ডায়াবিটিসের মধ্যে টাইপ ১ ডায়াবিটিস কেবল বাচ্চাদেরই হয়। মূলত ১০ থেকে ১৫ বছরের বয়সেই এই রোগের লক্ষণ বেশি মাত্রায় ফুটে ওঠে। অপরদিকে টাইপ ২ ডায়াবিটিসকে আগে কেবল বড়দের ডায়াবিটিস হিসেবেই ভাবা হতো।
আসলে বাচ্চারা আর মাঠেঘাটে খেলে না। সবাই বাড়িতেই কম্পিউটার গেমে মশগুল। আবার খাওয়া দাওয়ারও কোনও ঠিক ঠিকানা নেই। কেবল জাঙ্ক ফুড, কোল্ড ড্রিংকস খাওয়া চলছে। সব মিলিয়েই বেড়েই চলেছে মেদের বহর। মেদ বাড়লে শরীরে ইনসুলিন সেনসিটিভিট কমে। রাতা জাগার মতো বিষয়টিও অনুঘটকের মতো কাজ করে। সব মিলিয়ে মিশিয়ে কম বয়সে ডায়াবিটিসের বহর বাড়ছে।
সমাধান কোন পথে?
দুই ধরনের ডায়াবিটিসের ক্ষেত্রে সমাধান দুই রকম। ডা: আশিস মিত্র বলেন, টাইপ ১ ডায়াবিটিসের থেকে বাঁচার কোনও পথ নেই। তবে টাইপ ২ থেকে বাঁচা যায়। অভিভাবকদের বলব, বাচ্চাদের লম্ফঝম্প করতে দিন। খেলতে দিন। জাঙ্কফুডের বদলে ফল, শাকসবজি খেতে দিন। তাহলেই সমস্যার আশঙ্কা কমবে।
আরও খবর পেতে ফলো করুন আমাদের চ্যানেল