বার্থ সার্টিফিকেট (Birth Certificate) বা জন্ম প্রমাণপত্র দেশের প্রত্যেকটা মানুষের কাছে কতটা গুরুত্বপূর্ণ সেটা তো আলাদা করে বলার নয়। কোন শিশুর জন্মের পরেই তার বার্থ সার্টিফিকেট তৈরি করা হয়। কিন্তু যদি শিশুর বয়স বেশি হয় অথবা কোন পরিণত ব্যক্তির বার্থ সার্টিফিকেট তৈরি করার প্রয়োজন হয়, সেটা কি করা সম্ভব? এই প্রশ্নটা মনে আসে অনেকেরই। তবে চিন্তার কোন কারণ নেই, বাড়িতে বসে যে কোন বয়সে আপনি আপনার বার্থ সার্টিফিকেট তৈরি করে নিতে পারেন। আসুন দেখা যাক সেই পদ্ধতিটি।
আরো পড়ুন : ২০২৬-এ বাংলা-তামিলনাড়ু দখল নেবো, হুঙ্কার অমিত শাহ-র
বাড়ি বসে Birth Certificate বানানোর পদ্ধতি
জন্ম প্রমাণপত্র অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি নথি হিসেবে বিবেচিত।প্রাথমিক ডকুমেন্ট হিসেবে একে বিবেচনা করা যায়। যে কোন প্রয়োজনে আপনিও বাড়িতে বসে অনলাইনে জন্ম প্রমানপত্র বানিয়ে নিতে পারবেন। বর্তমানে ভারত সরকারের CRS (Civil Registration System) পোর্টালের মাধ্যমে সরাসরি ঘরে বসেই জন্ম সার্টিফিকেট বানানোর জন্য আবেদন করা সম্ভব হয়। আজকে অনলাইনে আবেদনের সেই প্রক্রিয়া সম্পর্কেই আলোচনা করা হচ্ছে।
বার্থ সার্টিফিকেট বানানোর জন্য আবেদন
জন্ম প্রমান পত্র সম্পর্কে কিছু তথ্য আগে আপনার জেনে রাখা দরকার। কোন শিশুর জন্মের ২১ দিনের মধ্যে যদি জন্ম প্রমাণপত্রের রেজিস্ট্রেশন করা হয়, তাহলে কোন ফি জমা দিতে হয় না। কিন্তু পরে যদি বার্থ সার্টিফিকেট বানানোর আবেদন করা হয় তাহলে আপনাকে একটি ফি জমা দিতে হবে। সার্টিফিকেট বানানোর জন্য স্থানীয় কর্তৃপক্ষ অথবা গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে একটি শপথনামা আপনাকে দাখিল করতে হবে। মোটামুটি ৭ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে আপনি বার্থ সার্টিফিকেট পেয়ে যাবেন।
অনলাইনে বার্থ অ্যাপ্লিকেশন স্টেপ বাই স্টেপ
- প্রথম ধাপে বার্থ সার্টিফিকেট তৈরি করার জন্য প্রথমে আপনাকে অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে যেতে হবে। অফিসিয়াল ওয়েবসাইট CRSORGI.gov.in. এতে ক্লিক করুন।
- এবার ওই ওয়েবসাইট থেকে রেজিস্টার বটনে ক্লিক করুন। তারপর আপনার মোবাইল নম্বর ও মেল আইডি দিয়ে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করতে হবে।
- ওটিপি ভেরিফিকেশন সম্পন্ন করে নিন।
- এবার লগ ইন করে নিন আর তারপর ফর্ম পূরণ করুন।
- এবার সিলেক্ট করে নিতে হবে বার্থ রেজিস্ট্রেশন অপশনটি।
- এবার কিছু তথ্য উল্লেখ করতে হবে। সেগুলি হল- শিশুর নাম (ইংরেজি ও স্থানীয় ভাষায়), জন্মের তারিখ এবং সময়, শিশুর জন্মস্থানের ঠিকানা, শিশুর পিতা-মাতার বিবরণ, বর্তমানে শিশুর ঠিকানা ও স্থায়ী ঠিকানা ইত্যাদি তথ্যসমূহ।
- এরপর যে যে ডকুমেন্ট দেওয়া হয়েছে তার স্ক্যান কপি আপলোড করতে হবে। আপলোড করবেন JPEG/PDF ফরমেটে, সর্বোচ্চ সাইজ হবে 2MB.
- যদি ফি জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয় তাহলে ফি জমা করুন।
- সবশেষে, পেমেন্ট সম্পন্ন হলে আপনার ফর্ম সাবমিট করুন।
আরও পড়ুন : এসি টানা চালালেই ক্ষতি! কতক্ষণ চালানো সঠিক ?
আরও পড়ুন : জানা গেল কবে প্রকাশ হবে ক্লার্ক ও গ্রুপ-ডি পদে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি, অভিজ্ঞতার জন্য বিশেষ নম্বর