বাবা-মাকে খুন করে অনাথ আশ্রমে ছুরি নিয়ে হামলা যুবকের, বিস্তারিত জেনে নিন

By Bangla News Dunia Desk Bappaditya

Published on:

Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- আচমকায় বনগাঁর এক অনাথ আশ্রমে ছুরি নিয়ে হামলা চালাল এক ব্যাক্তি ৷ ছুরির আঘাতে চারজন আহত হয়েছে বলে খবর ৷ এই ঘটনার পর অভিযুক্তকে পুলিশের হেফাজত থেকে ছিনিয়ে নিতে বনগাঁ থানায় হামলা চালায় উত্তেজিত জনতা। পুলিশ তাদের আটকানোর চেষ্টা করেল থানায় নির্বিচারে ভাঙচুরও চালানো হয় বলে অভিযোগ ৷ উন্মত্ত জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ করিতে হয় পুলিশকে ৷ যাকে কেন্দ্র করে ব্যপক উত্তেজনা ছড়ায় বনগাঁয় ৷

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার সন্ধ্যায় এক যুবক বনগাঁ থানার মতিগঞ্জ এলাকায় বনগাঁ খান শরিফ অনাথ আশ্রমে প্রবেশ করে ৷ কিছুক্ষণ পর ছুরি নিয়ে অতর্কিতে সাধারণ মানুষের উপর হামলা চালায় সে ৷ পুলিশ সূত্রে খবর, ছুরির আঘাতে চার জন আহত হয়েছে ৷ তাঁরা বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৷ ঘটনার পর পালানোর চেষ্টা করলে অভিযুক্তকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেন এলাকাবাসী ৷

পুলিশ সুপার দীনেশ কুমার বলেন, “হামলাকারীর নাম হুমায়ুন কবীর। সে বর্ধমানের মেমারির বাসিন্দা। এদিন ভোরে সে তার বাবা-মাকে খুন করে বনগাঁয় চলে আসে। সন্ধ্যায় বনগাঁ খান শরিফে ছুরি নিয়ে হামলা চালায় ৷ ছুরির আঘাতে চারজন আহত হয়েছেন ।” একই সঙ্গে পুলিশ সুপার এও বলেন, “থানায় হামলা চালানোর ঘটনায় বনগাঁ থানার এক কনস্টেবল ও এএসআই আহত হয়েছেন। উত্তেজিত জনতাকে সামাল দিতে পুলিশকে হালকা বল প্রয়োগ করতে হয়েছে।”

ঘটনার প্রতিবাদে ওই অনাথ আশ্রমের সামনে বনগাঁ-বাগদা রোডে বিক্ষোভও দেখান এলাকাবাসী। এলাকাবাসীদের বিক্ষোভ চলাকালীনই একদল উত্তেজিত জনতা বনগাঁ থানার সামনে চলে আসে। তারা অভিযুক্তকে আবার তাদের হাতে তুলে দিতে বলে ৷ প্রাথমিকভাবে পুলিশ তাদের সামলানোর চেষ্টা করে ৷ কিন্তু কিছুক্ষণের মধ্যে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠে ৷ ক্ষিপ্ত জনতা বনগাঁ থানায় ভাঙচুর শুরু করে। উত্তেজিত জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে বাধ্য হয়ে লাঠিচার্জ করতে হয় পুলিশকে । খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে জেলার পুলিশ সুপার দীনেশ কুমার ৷ অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করা হয় বনগাঁ থানায়।

পুলিশ জানিয়েছে, হামলাকারী যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে ৷ পাশাপাশি বনগাঁ থানায় হামলাও চালানোর ঘটনায় আরও 10 জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অভিযুক্ত হুমায়ুন কী কারণে হামলা চালিয়েছিল, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

সূত্রের খবর, অভিযুক্ত যুবক হুমায়ুন কবীর পেশায় ইঞ্জিনিয়ার ৷ কয়েক বছর আগে বিবাহবিচ্ছেদ হয়েছে তার ৷ তারপর থেকেই মানসিক অবসাদে ভুগছে হুমায়ুন । যাদবপুর থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করে দিল্লিতে কর্মরত ছিল হুমায়ুন। বুধবার সকালে নিজের বাবা-মাকে খুন করে তাদের দেহ টেনে রাস্তায় ফেলে দিয়ে সেখান থেকে পালিয়ে এসে বনগাঁ হামলা চালায়। এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী ৷

আরও পড়ুন:- শিল্পসাথী প্রকল্প কী? কী সুবিধা মিলবে? কী ভাবে আবেদন করবেন? জেনে নিন

Bangla News Dunia Desk Bappaditya

মন্তব্য করুন