Bangla News Dunia, Pallab : শনিবার তা তৃতীয় দিনে পড়ল চাকরিহারা শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের অবস্থান কর্মসূচি। বিকাশ ভবনের সামনে অবস্থান চালিয়ে যাচ্ছেন প্রচুর সংখ্যক চাকরিহারা যোগ্য শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীরা। আজ বিকেলে আন্দোলনকারীরা করুণাময়ী পর্যন্ত একটি মিছিল করবেন। রাস্তায় বসে ছাত্রছাত্রীদের পড়ানোর পরিকল্পনাও রয়েছে।
আরও পড়ুন : সিভিক ভলেন্টিয়ার চাকরি ২০২৫ – কীভাবে আবেদন করবেন ও শেষ তারিখ জানুন
বৃহস্পতিবার থেকে বিকাশ ভবনের সামনে শুরু হয়েছে চাকরিহারা শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের অবস্থান কর্মসূচি। আন্দোলনকারীদের মূল দাবি, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে যে চাকরি তাঁদের হারাতে হয়েছে, সসম্মানে তা ফিরিয়ে দিতে হবে। তার জন্য নতুন করে আর কোনও পরীক্ষায় তাঁরা বসতে চান না। এই দাবিতেই বিকাশ ভবন অভিযানে গিয়ে বৃহস্পতিবার চাকরিহারাদের বিক্ষোভে লাঠিচার্জ করেছিল পুলিশ। তাঁরা বিকাশ ভবন ঘেরাও করেছিলেন। সেই সময়ই আন্দোলনকারীদের সরিয়ে দিতে পুলিশ লাঠিচার্জ করে বলে অভিযোগ। পুলিশের লাঠির আঘাতে জখম হন বহু শিক্ষক-শিক্ষাকর্মী। সেদিন থেকেই বিকাশভবনের সামনে রাস্তায় বসে বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছেন আন্দোলনকারীরা। জানা গিয়েছে, শনিবার দুপুরের পর প্রথমে আন্দোলনকারীরা বিকাশ ভবন থেকে করুণাময়ী পর্যন্ত মিছিলে হাঁটবেন। এই মিছিলে উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে পুলিশের হাতে আক্রান্তরাও। যাঁরা মার খেয়েছেন, তাঁদের অনেকেই চিকিৎসার প্রয়োজনে বাড়ি চলে গিয়েছেন। তবে তাঁদের স্কুল থেকে ছাত্রছাত্রীদের ডাকা হয়েছে। অনেকেই আসবে। তাদের রাস্তায় বসে পড়াবেন চাকরিহারা শিক্ষকেরা। এ ছাড়া, বিকেলে পুলিশের হাতে কলম এবং চকোলেট তুলে দেওয়ার কর্মসূচিও রয়েছে। শনিবার এবং রবিবার বন্ধ থাকে বিকাশ ভবন। তাই সপ্তাহান্তের এই দু’দিন নতুন করে জোরালো কোনও কর্মসূচি গ্রহণ করেননি আন্দোলনকারীরা।
এদিন সকালে বিকাশ ভবনের সামনে থেকে চাকরিহারা আন্দোলনকারীরা বলেন, ‘‘আমরা অবস্থান চালিয়ে যাব। আজ আমাদের দুটো কর্মসূচি আছে। যে পুলিশ আমাদের মারধর করেছে, আমরা তাদের চকোলেট আর পেন দেব। এ ছাড়া ছাত্রছাত্রীদের পড়াব।’’
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের এসএসসির সম্পূর্ণ প্যানেল বাতিল হয়ে গিয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। চাকরি গিয়েছে ২৫,৭৩৫ জনের। তাঁদের মধ্যে যে শিক্ষকেরা ‘দাগি’ (টেন্টেড) নন, তাঁদের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত স্কুলে যাওয়ার অনুমতি দিয়েছে শীর্ষ আদালত। তাঁরা বেতনও পাবেন। তবে নতুন করে তাঁদের নিয়োগপ্রক্রিয়ায় যোগ দিতে হবে। এর প্রতিবাদেই বিক্ষোভ চলছে।