পশ্চিমবঙ্গের ৩২ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিলের মামলা কলকাতা হাইকোর্টে এক নতুন মোড় নিয়েছে। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে রাজ্য সরকার যে মামলা করেছিল, তার শুনানিতে উঠে এল একাধিক গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল (এজি) কিশোর দত্তের সওয়ালে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের বিচারপ্রক্রিয়া নিয়েই প্রশ্ন তোলা হয়েছে, যা এই মামলার ভবিষ্যৎ নিয়ে নতুন করে জল্পনা তৈরি করেছে।
আরও পড়ুন : কবে খুলবে কলেজে ভর্তির পোর্টাল ? জানিয়ে দিল শিক্ষা দফতর
শুনানির মূল বিষয়গুলি
- বিচারপ্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন: রাজ্যের এজি কিশোর দত্ত আদালতে সওয়াল করেন যে, বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় মামলা চলাকালীন সকল পক্ষকে সমানভাবে সুযোগ দেননি। তাঁর মতে, বিচারপ্রক্রিয়াটি একতরফাভাবে চালানো হয়েছিল এবং তড়িঘড়ি করে রায় ঘোষণা করা হয়েছিল। এই সওয়াল মামলার মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছে, কারণ এটি মূল রায়ের ভিত্তিকেই চ্যালেঞ্জ করছে।
- উত্তরপত্র মূল্যায়নে অস্বচ্ছতা: আদালত উত্তরপত্র মূল্যায়নের জন্য বাইরের সংস্থাকে নিয়োগ করার প্রক্রিয়া নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে। কোন যোগ্যতার ভিত্তিতে এই সংস্থাগুলিকে বেছে নেওয়া হয়েছিল, তা নিয়ে স্পষ্ট কোনো উত্তর মেলেনি। এই বিষয়টি নিয়ে আদালত উদ্বেগ প্রকাশ করেছে, কারণ এটি নিয়োগ প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতার সঙ্গে সরাসরি জড়িত।
- পরবর্তী শুনানি: এই মামলার পরবর্তী শুনানি ২৩ জুন ধার্য করা হয়েছে। ওই দিন সমস্ত পক্ষের সওয়াল-জবাব শোনার পর আদালত কোন সিদ্ধান্তে পৌঁছায়, তার দিকেই তাকিয়ে রয়েছেন ৩২ হাজার শিক্ষক এবং তাঁদের পরিবার।
শিক্ষকদের জন্য কিছু পরামর্শ
এই পরিস্থিতিতে, শিক্ষকদের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল শান্ত থাকা এবং আইনি প্রক্রিয়ার উপর ভরসা রাখা। তাঁদের উচিত:
- সঠিক তথ্যের জন্য অপেক্ষা করা: সোশ্যাল মিডিয়া বা অন্য কোনো সূত্রের গুজবে কান না দিয়ে আদালতের রায়ের জন্য অপেক্ষা করা।
- আইনি পরামর্শ নেওয়া: নিজেদের আইনজীবীর সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখা এবং মামলার প্রতিটি পদক্ষেপ সম্পর্কে অবগত থাকা।
- ঐক্যবদ্ধ থাকা: শিক্ষকদের সংগঠনগুলির সঙ্গে যুক্ত থেকে ঐক্যবদ্ধভাবে পরিস্থিতির মোকাবিলা করা।
আরও পড়ুন : মধ্যপ্রাচ্যে আরও বড় যুদ্ধ আসন্ন? কি প্ল্যান করছে ইজরায়েল ?