Bangla News Dunia , পল্লব চক্রবর্তী :- বিদ্যার দেবী সরস্বতীকে নিয়ে কিছু তথ্য ! ৩ গুণের মধ্যে তিনি সত্ত্ব গুণময়ী, অনন্ত জ্ঞানময় ঈশ্বরের বাক্শক্তির প্রতীক। যিনি প্রবাহ রূপে নিজ কর্মের দ্বারা অনন্ত সমুদ্রে মিলিত হয়েছেন। কল্যাণময়ী নদীতটে সাম গায়কেরা বেদমন্ত্র উচ্চারণে ও সাধনে নিমগ্ন হত। মার্কণ্ডেয় পুরাণে শ্রীশ্রী চণ্ডী উত্তরলীলায় অসুরদ্বয়কে বধ করার সময় দেবীর যে মূর্তির কল্পনা করা হয়েছিল তা ছিল দেবী মা মহা সরস্বতী।
প্রসঙ্গত বাংলা তথা পূর্ব ভারতে সরস্বতী দ্বিভূজা ও রাজহংসের পিঠে আসীনা। রাজ হংস কেন সরস্বতীর বাহন ? কারণ জলে, স্থলে, অন্তরীক্ষে সর্বত্রই হাঁসের সমান গতি। যেমন জ্ঞানময় পরমাত্মা সর্বব্যাপী – স্থলে, অনলে, অনিলে সর্বত্র তাঁর সমান প্রকাশ। জ্ঞান সাধনার ক্ষেত্রেও হংসের স্বভাব তাৎপর্য বহন করে। জৈনদের শ্বেতাম্বরদের মধ্যে সরস্বতী পুজোর চল ছিল। তাদের ২৪ জন শাসন দেবীর মধ্যে সরস্বতী একজন ও ১৬ জন বিদ্যাদেবীর মধ্যে অন্যতমা হলেন সরস্বতী। জৈনদের শ্বেতাম্বর ও দিগম্বর উভয় জৈন সম্প্রদায়েই সরস্বতীর স্থান হয়ে গেল ব্রাহ্মণ্য ধর্ম থেকে গৃহীতা দেবী রূপে।
আরো পড়ুন :- পঞ্জিকা মতে সরস্বতী পুজো ! দেখুন ছুটির তালিকা
ঊনবিংশ শতাব্দীতে পাঠশালায় প্রতি মাসের শুক্ল পঞ্চমী তিথিতে তালপাতার দোয়াত-কলম রেখে পূজা করার প্রথা ছিল। ছাত্ররা বাড়িতে বাংলা বা সংস্কৃত গ্রন্থ, শ্লেট, দোয়াত ও কলমে সরস্বতী পূজা করত। আগে সরস্বতী পূজার দিন ইংরেজি বইয়ের পূজা নিষিদ্ধ ছিল। আধুনিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সরস্বতী পূজার প্রচলন হয় বিংশ শতাব্দীর প্রথমার্ধে। অর্থাৎ শ্রীপঞ্চমীর দিন সকালেই সরস্বতী পূজা সম্পন্ন করা হয় সাধারণ পূজার আচারাদি মেনে।
Highlights
1. বিদ্যার দেবী সরস্বতীকে নিয়ে কিছু তথ্য !
2. শ্রীপঞ্চমীর দিন সকালেই সরস্বতী পূজা সম্পন্ন করা
#দেবী সরস্বতী #শ্রীপঞ্চমী