Bangla News Dunia, দীনেশ :- পাক সেনাবাহিনীকে হতভম্ভ করে তাঁদের অজান্তেই রাওয়ালপিন্ডির বিমানবন্দর সহ পাকিস্তানের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সামরিক ঘাঁটিতে ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে ভারত। আজারবাইজানের এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এই কথা কার্যত স্বীকার করে নিলেন পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ।
প্রসঙ্গত, ভারত-পাক সংঘর্ষের আবহে যেসব দেশ পাকিস্তানের সমর্থন করেছিল তাঁদের মধ্যে রয়েছে আজারবাইজান দেশটিও। আর এই আজারবাইজানের এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এদিন শাহবাজ বলেন, ‘আসিম মুনীরের নেতৃত্বে সেনাবাহিনী ১০ মে সকালের নামাজের পর ভারতে আক্রমণের পরিকল্পনা করেছিল। কিন্তু তাঁর আগেই পাকিস্তানের বিভিন্ন জায়গায় দূরপাল্লার সুপারসনিক ব্রহ্মোস ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে ভারত।’ তিনি আরও জানান যে, তাঁকে এই ক্ষেপনাস্ত্র হামলার খবর দিয়েছিল মুনির, যাকে বর্তমানে ফিল্ড মার্শাল পদে উন্নীত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন:- বকেয়া ডিএ মেটানোর তোড়জোড় শুরু নবান্নে। কারা পাবেন আর কারা পাবেন না, জানুন
উল্লেখ্য, ভারতের বিভিন্ন জনবহুল স্থানে পাকিস্তানের ড্রোন হামলার জবাবে পাকিস্তানের যে ১১ টি সামরিক ঘাঁটিতে ভারত হামলা চালিয়েছিল তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে রাওয়ালপিন্ডির নুর খান এয়ারবেস। এই এয়ারবেসটি রাওয়ালপিন্ডির পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সদর দপ্তর থেকে ঢিল ছোড়া দুরত্বে অবস্থিত। সূত্রের খবর, এই বিমানঘাঁটিতে সেই সময় লকহিড সি-১৩০ হারকিউলিস এবং ইলিউশিন ইল-৭৮ রিফুয়েলারের মতো উন্নতমানের সামরিক বিমান ছিল। স্যাটেলাইট মারফত পাওয়া চিত্র বিশ্লেষণ করে দেখা গিয়েছে যে, অন্তত পক্ষে ওই বিমানঘাঁটিতে থাকা দুটি সামরিক বিমান ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থ হয় ভারতের এই ক্ষেপনাস্ত্র হামলায়। নুর খান ছাড়াও ভারতের ছোড়া ক্ষেপনাস্ত্রের টার্গেটে ছিল রফিকি, মুরিদ, রহিম ইয়ার খান, সুক্কুর এবং চুনিয়ানে অবস্থিত পাক সামরিক ঘাঁটি। এর পাশাপাশি স্কার্দু, ভোলারি, জ্যাকোবাবাদ এবং সারগোধার বিমানঘাঁটিও ভারতের নিক্ষেপ করা ক্ষেপনাস্ত্রের আক্রমণে ব্যাপক ক্ষতীর সম্মুখীন হয় বলে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন:- এই সংস্থার স্টকের দাম ৭২% বৃদ্ধি মে মাসে, এখন কেনা উচিত হবে? জেনে নিন
আরও পড়ুন:- ক্যান্সার রুখে দেয় দুধ, কীভাবে কতটা খেলে ঝুঁকি কমবে? জানুন গবেষকরা যা বলছে।