Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- ভারতের প্রতিরক্ষা গবেষণা সংস্থা DRDO উন্নয়ন করেছে সম্পূর্ণ স্বদেশি STAR মিসাইল, যা ব্রহ্মোসের সাশ্রয়ী বিকল্প হতে পারে। এই মিসাইল সমুদ্র বা ভূমি থেকে কম উচ্চতায় উড়তে সক্ষম, ফলে রাডারে ধরা পড়া কঠিন। বর্তমানে এটি চূড়ান্ত পরীক্ষার পর্যায়ে রয়েছে, সফল হলে সীমিত উৎপাদন শুরু হবে।
STAR মিসাইল: DRDO-র নতুন সাফল্য
ভারতের প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থা (DRDO) সম্পূর্ণ স্বদেশি STAR মিসাইলের ডেভলপ করেছে, যা ব্রহ্মোস মিসাইলের সাশ্রয়ী বিকল্প হতে পারে। এই মিসাইল সমুদ্র বা ভূমি থেকে খুব কম উচ্চতায় উড়তে সক্ষম, ফলে এটি রাডারে ধরা পড়া কঠিন এবং আক্রমণ করা আরও কঠিন হয়ে ওঠে।
বর্তমানে STAR মিসাইল প্রকল্প তৃতীয় পর্যায়ে রয়েছে, যেখানে মিসাইলের বিভিন্ন অংশ যেমন ইঞ্জিন, নেভিগেশন সিস্টেম এবং নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা একত্রিত করে যুদ্ধ পরিস্থিতির অনুকরণে একাধিকবার উড়ান পরীক্ষা করা হচ্ছে। এই পরীক্ষাগুলি মিসাইলের নির্ভুলতা, বিশ্বাসযোগ্যতা এবং কার্যকারিতা যাচাই করতে সহায়তা করে।
STAR মিসাইলের কার্যকারিতা
STAR মিসাইলের গতি ব্রহ্মোসের সমতুল্য, যা ২.৫ ম্যাক (প্রায় ৩,০৬২ কিমি/ঘণ্টা) পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে। এটি দ্রুত দিক পরিবর্তন এবং উচ্চতা নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম, যা সৈনিকদের বাস্তব যুদ্ধ পরিস্থিতিতে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করে। এই মিসাইলের ডিজাইন এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে যাতে এটি বিভিন্ন মিশন এবং প্রয়োজন অনুযায়ী সহজেই মানিয়ে নিতে পারে। এটি বিমান বাহিনী, স্থল বাহিনী এবং নৌবাহিনীর জন্য উপযোগী। DRDO একটি সংস্করণ তৈরি করছে যা তেজসের মতো যুদ্ধবিমান থেকে নিক্ষেপ করা যাবে, যা শত্রুর রাডার বা AWACS ধ্বংসের অনুশীলনে সহায়ক হবে।
আরও পড়ুন:- প্রায় বারো হাজার শূন্যপদে নিয়োগ করছে এনটিপিসি, বেতন ৩৫,৪০০ টাকা। শীঘ্রই আবেদন করুন
স্থলে-গাড়িতে
STAR মিসাইলের ভূমি থেকে নিক্ষেপযোগ্য সংস্করণও রয়েছে, যা বুস্টার যুক্ত করে দূরত্ব বৃদ্ধি করা যায়। এটি যানবাহন বা স্থির প্ল্যাটফর্ম থেকে নিক্ষেপ করা যেতে পারে, যা কঠিন ভূখণ্ডেও ব্যবহারযোগ্য। এই মিসাইলে লিকুইড ফুয়েল র্যামজেট ইঞ্জিন ব্যবহার করা হয়েছে, যা বায়ু থেকে অক্সিজেন গ্রহণ করে, ফলে কম জ্বালানি বহন করতে হয় এবং মিসাইল হালকা থাকে। এটি দীর্ঘ সময় ধরে উচ্চ গতিতে উড়তে সক্ষম।
STAR মিসাইল শুধুমাত্র প্রশিক্ষণের জন্য নয়, এটি DRDO-র র্যামজেট ইঞ্জিন এবং নতুন মিসাইলের জন্য একটি পরীক্ষামূলক প্ল্যাটফর্ম হিসেবেও কাজ করবে। এতে ব্যবহৃত প্রযুক্তিগুলি ভবিষ্যতের AWACS কিলার, অ্যান্টি-রেডিয়েশন মিসাইল এবং সাশ্রয়ী ক্রুজ মিসাইল প্রকল্পে ব্যবহার করা হবে।
STAR মিসাইলের মূল বৈশিষ্ট্য:
গতি: ১.৮ থেকে ২.৫ ম্যাক
উচ্চতা: ১০০ মিটার থেকে ১০ কিলোমিটার পর্যন্ত
পরিসর: ৫৫ থেকে ১৭৫ কিলোমিটার
উড়ান সময়: ৫০ থেকে ২০০ সেকেন্ড
আরও পড়ুন:- ভারতের কঠোর পদক্ষেপে বাংলাদেশের ক্ষতি ৯৩৬৭ কোটি টাকা, বিস্তারিত জেনে নিন