ব্ল্যাকআউট ও মহড়া : কী কী নিষিদ্ধ ? মানতে হবে কোন নিয়ম ? রয়েছে কী সতর্কতা

By Bangla News Dunia Dinesh

Published on:

Bangla News Dunia, Pallab : ১৯৭১-এর পর ৫৪ বছরে এই প্রথম। ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার আবহে বুধবার দেশজুড়ে অসামরিক মহড়া অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। আগামীকাল গোটা দেশে নজিরবিহীন নিরাপত্তা মহড়ার (Mega Security Drill) ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। দেশের ২৭টি রাজ্য এবং আটটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ২৫৯টি জায়গায় এই মহড়া হবে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। এমন একটি বড় মহড়া হতে চলেছে, যেখানে ‘ক্র্যাশ ব্ল্যাকআউট’ (Crash Blackout) ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে রাজ্যগুলিকে। ব্ল্যাকআউট মানে, নির্দিষ্ট সময়ে সমস্ত আলো নিভিয়ে ফেলা। এর উদ্দেশ্য শত্রুপক্ষের বিমান হামলা ঠেকানো এবং জনজীবনের ক্ষয়ক্ষতি কমানো।

আরও পড়ুন : হঠাৎ কে মোদির কার্যালয়ে গেলেন রাহুল ও প্রধান বিচারপতি ?

২০০৩ সালের একটি সরকারি দলিল তথা নথিতে (General Principles of Civil Defence in India) বিস্তারিতভাবে এর ব্যাখ্যা করা হয়েছে, কীভাবে ব্ল্যাকআউট কার্যকর করতে হবে। কী কী নিয়ম মেনে চলতে হবে। যাঁদের এই পরিস্থিতির অভিজ্ঞতা নেই, স্বাভাবিকভাবেই কৌতূহল তৈরি হয়েছে তাঁদের। সে বিষয়ে জেনে নেওয়া যাক সবিস্তারে।

ব্ল্যাকআউট মূলত শত্রু বিমানচালকদের বিভ্রান্ত করার কৌশল। নথিতে বলা হয়েছে, যদি কোনও এলাকা পুরোপুরি অন্ধকার থাকে, তাহলে পাইলটের মানসিক উদ্বেগ বেড়ে যায়। তাঁর টার্গেট নির্ধারণ করা কঠিন হয়। সেকারণে ব্ল্যাকআউটের সময় এমনভাবে আলো নিয়ন্ত্রণ করতে হয়, যাতে ৫,০০০ ফুট উচ্চতা থেকে কোনও আলো দৃশ্যমান না হয়। ব্ল্যাকআউটের নিয়ম অনুযায়ী, স্ট্রিট লাইট, কারখানার আলো, যানবাহনের হেডলাইটও নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। বড় শহরের বাজার এলাকায় আলোকিত বিজ্ঞাপন একেবারে নিষিদ্ধ।

ব্ল্যাকআউটের সময় কী নিষিদ্ধ, কী অনুমোদিত?
ব্ল্যাকআউট চলাকালীন কোনও বাড়িতে এমনভাবে আলো ব্যবহার করা যাবে না যাতে সেটি বাইরে উজ্জ্বলতা ছড়ায়। রাস্তায় আলো থাকলেও, সেটি এমনভাবে দিতে হবে যাতে তা কেবল নিচের দিকে পড়ে এবং ২৫ ওয়াট বাল্বের আলোর চেয়ে বেশি উজ্জ্বল না হয়।

যানবাহনের ক্ষেত্রে
যানবাহনের আলো ঢেকে রাখতে হবে। এক্ষেত্রে দুটি পদ্ধতির কথা বলা হয়েছে সরকারি নথিতে। এক, কাঁচের ওপর বাদামি কাগজ চাপিয়ে দেওয়া। দুই কাগজের ডিস্ক দিয়ে হেডলাইট ঢেকে ছোট একটি সরু ফাঁক রাখা। এমনকি হাতের টর্চ পর্যন্ত কাগজে মুড়ে রাখতে হবে, যাতে কোনওভাবে অতিরিক্ত আলো না বেরোয়।

বিমান হামলার সতর্কবার্তা কীভাবে কাজ করে?
আকাশপথে শত্রুপক্ষের গতিবিধি নজরে রাখে বায়ুসেনা। সন্দেহজনক বিমান চিহ্নিত হলেই সিভিল ডিফেন্স কন্ট্রোল সেন্টারে অবগত করা হয়। সেখান থেকে প্রশাসনকে অবহিত করা হয়।

চার ধরনের সতর্কবার্তা প্রচলিত:
‘এয়ার রেইড মেসেজ-ইয়েলো’: প্রাথমিক গোপন সতর্কবার্তা, সাধারণত জনসাধারণকে জানানো হয় না। ‘এয়ার রেইড মেসেজ-রেড’: আক্রমণের আশঙ্কা প্রবল, জনসাধারণকে সাইরেন বাজিয়ে সতর্ক করা হয়। ‘এয়ার রেইড মেসেজ-গ্রিন’: বিপদ কেটে গিয়েছে, হামলাকারী বিমান সরে গিয়েছে। ‘এয়ার রেইড মেসেজ-হোয়াইট’: প্রাথমিক সংকেতটি ভুল ছিল বা হামলার আশঙ্কা মুছে গিয়েছে। এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে যুদ্ধের মুখোমুখি হওয়ার আগে জনগণকে সচেতন ও প্রস্তুত করা হয়।

আরও পড়ুন : পিত্তথলির পাথরের লক্ষণ কি কি ? জানুন সঠিক কারণ

আরও পড়ুন : পাকিস্তানের উপর ‘ডিজিটাল স্ট্রাইক’ জারি রেখেছে ভারত !

Bangla News Dunia Dinesh

মন্তব্য করুন