Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- দক্ষিণ এশিয়ায় একটি নতুন আন্তর্জাতিক জোট তৈরির চেষ্টা করছে পাকিস্তান, বাংলাদেশ এবং চিন? যা বিকল্প হতে চলেছে SAARC (South Asian Association for Regional Cooperation)-এর? দক্ষিণ এশিয়ায় আঞ্চলিক সহযোগিতার এই প্ল্যাটফর্ম বর্তমানে কার্যত ঠুঁটো জগন্নাথ হয়ে রয়েছে বলেই মনে করছে আন্তর্জাতিক মহলের একাংশ। ফলে এর পরিবর্ত হিসাবে নতুন জোট তৈরি করতে চাইছে ইসলামাবাদ, ঢাকা এবং বেজিং? ভারতকে একঘরে করার লক্ষ্যেই এই ছক ৩ দেশের?
সম্প্রতি চিনের কুনমিংয়ে এই ৩ দেশের মধ্যে একটি বৈঠক হয়। চিন, পাকিস্তান এবং বাংলাদেশে এই বৈঠক ঘিরে হইচই পড়ে গিয়েছিল গোটা বিশ্বে। জানা যায়, কুনমিংয়ের বৈঠক ছিল আসলে ত্রিপাক্ষিক জোট তৈরির প্রাথমিক আলোচনার স্তর। নতুন জোট তৈরির প্রক্রিয়ারই অংশ ছিল সেটি। দক্ষিণ এশিয়ার যে দেশগুলি SAARC-এর সদস্য, তাদের এই নতুন জোটে আমন্ত্রণ জানানোর বিষয়েও চিনের বৈঠকে আলোচনা হয়েছে বলে দাবি উঠেছে। যদিও এমন কোনও জোটের বিষয়ে আলোচনার কথা অস্বীকার করেছে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার। তাদের দাবি, বেজিংয়ে কোনও ‘রাজনৈতিক’ বৈঠক হয়নি। ঢাকা, বেজিং এবং ইসলামাবাদের মধ্যে নতুন জোট নিয়ে কোনও আলোচনা হয়নি বলেই দাবি বাংলাদেশ সরকারের। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের বিদেশ উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেনের বক্তব্য, ‘আমরা কোনও জোট তৈরি করছি না।’
আরও পড়ুন:- যাত্রীদের ভোগান্তি কমলো, এবার ট্রেন ছাড়ার অনেক আগেই রিজার্ভেশন চার্ট।
বাস্তবে দীর্ঘদিন ধরেই কার্যত নিষ্ক্রিয় SAARC। দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশের এই মিলিত প্ল্যাটফর্মের কোনও সম্মেলনও হয়নি সাম্প্রতিককালে। এই SAARC-এ মোট ৮টি দেশ রয়েছে। তারা হল ভারত, বাংলাদেশ, পাকিস্তান, আফগানিস্তান, নেপাল, ভুটান, শ্রীলঙ্কা এবং মলদ্বীপ।
২০১৪ সালে এই SAARC-এর শেষ সম্মেলন হয়েছিল। উরি জঙ্গি হানার প্রতিবাদে ২০১৬ সালে পাকিস্তানে আয়োজিত SAARC-এর সম্মেলনে যোগ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ভারত। এরপর বাংলাদেশ, ভুটান এবং আফগানিস্তানও সম্মেলনে যোগ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। ফলে ওই সম্মেলন ভেস্তে যায়। তারপর থেকে আর কোনও SAARC সম্মেলন হয়নি।
আরও পড়ুন:- মাধ্যমিক পাশে রেলে ৬ হাজারের বেশি পদে নিয়োগ, নির্বাচন কীভাবে হবে?