Bangla News Dunia, Pallab : ভারত সরকার এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ নিতে চলেছে। আধার এবং ইউপিআই-এর পর এবার দেশের প্রতিটি ঠিকানার জন্য একটি স্বতন্ত্র ডিজিটাল পরিচিতি নম্বর (Digital Address ID) বা “ডিজি পিন” (DigiPin) চালু করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। এই প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে নাগরিক পরিষেবা থেকে শুরু করে ব্যবসা-বাণিজ্য, সর্বত্রই আসবে এক বৈপ্লবিক পরিবর্তন। আসুন, বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
আরও পড়ুন : দাদের সমস্যায় জেরবার ? মুক্তি দেবে সেরা হোমিও ঔষধ’
ডিজিটাল ঠিকানা আইডি কী?
ডিজিটাল ঠিকানা আইডি হল প্রতিটি বাড়ি, অফিস বা যে কোনও সম্পত্তির জন্য একটি ১০-অঙ্কের আলফানিউমেরিক কোড। এই কোডটি ওই জায়গার সুনির্দিষ্ট ভৌগলিক স্থানাঙ্ক (Geocoordinates) অর্থাৎ অক্ষাংশ ও দ্রাঘিমাংশের উপর ভিত্তি করে তৈরি হবে। এর ফলে দেশের প্রতিটি ঠিকানার একটি নির্ভুল ও যাচাইযোগ্য ডিজিটাল পরিচিতি তৈরি হবে।
কেন এই উদ্যোগ?
বর্তমানে প্রচলিত ঠিকানা ব্যবস্থায় নানা রকম অস্পষ্টতা ও অসামঞ্জস্য দেখা যায়। অনেক ক্ষেত্রেই ল্যান্ডমার্কের উপর নির্ভর করতে হয়, যার ফলে চিঠি বা পার্সেল পাঠানো, জরুরি পরিষেবা (যেমন অ্যাম্বুলেন্স বা দমকল) পৌঁছানো এবং অন্যান্য সরকারি পরিষেবা প্রদানে সমস্যা হয়। এই অদক্ষতার কারণে প্রতি বছর দেশের অর্থনীতিতে কোটি কোটি টাকার ক্ষতি হয়। ডিজি পিন এই সমস্ত সমস্যার সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে।
কীভাবে কাজ করবে এই ব্যবস্থা?
প্রতিটি সম্পত্তির জন্য জিপিএস কো-অর্ডিনেটের ভিত্তিতে একটি ডিজি পিন তৈরি করা হবে। এই তথ্য একটি কেন্দ্রীয় ডেটা সিস্টেমে সংরক্ষিত থাকবে, যা আধার নম্বরের মতোই ঠিকানার সত্যতা যাচাই করতে সাহায্য করবে। এই প্রকল্পটি ডাক বিভাগের অধীনে এবং প্রধানমন্ত্রীর দফতরের সমন্বয়ে রূপায়িত হবে।
গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য:
- স্থায়ী: সম্পত্তির মালিকানা পরিবর্তিত হলেও ডিজি পিন একই থাকবে।
- সর্বজনীন: দেশের সমস্ত ধরনের সম্পত্তির ক্ষেত্রে এটি প্রযোজ্য হবে।
- নির্ভুল: জিপিএস স্থানাঙ্কের ব্যবহারের ফলে ঠিকানা হবে একদম সঠিক।
- যাচাইযোগ্য: ডিজিটাল কোডের মাধ্যমে সহজেই ঠিকানা যাচাই করা যাবে।