কিন্তু তিনি আজীবন যে আইসক্রিম বিক্রেতা ছিলেন তা নয়। বরং ছিলেন একটি দেশের সাংসদ। দেশভাগের পর পাকিস্তানেই থেকে গিয়েছিল তাঁর পরিবার। তিনি তখন ছোট। তারপর পাকিস্তানেই বড় হয়ে ওঠা। সেখানেই একসময় রাজনীতির ময়দানে মুখ হয়ে ওঠা।
আরও পড়ুন : এই ৩ অভ্যাস মানুষকে ধনী করে, আপনার একটাও আছে?
এমনকি ভোটে দাঁড়িয়ে তিনি জয়লাভও করেন। পাক সংসদে একজন সাংসদ হিসাবে হাজির হন। একজন শক্তিশালী জনপ্রতিনিধি হয়ে ওঠেন দাবায়া রাম। যদিও পাকিস্তানের সাংসদ থাকা দাবায়ার জীবনে পাকিস্তানেই ঘটে যায় এক ঘটনা।
তাঁর এক আত্মীয়াকে জোর করে অন্য ধর্মে বিয়ে করানোকে কেন্দ্র করে দাবায়া আদালতের দ্বারস্থ হন। যদিও তাতে কোনও কাজ হয়নি। ফলে পরিবার নিয়ে বছর ২৫ আগেই ভারতের হরিয়ানায় চলে আসেন দাবায়া রাম।
এরমধ্যে তাঁর পরিবারের কয়েকজন ভারতের স্থায়ী বাসিন্দার কাগজপত্র পেয়ে গেছেন। কিন্তু এখনও অনেকে বাকি। পহেলগামের ঘটনার পর ভারত সরকার পাক ভিসায় থাকা মানুষজনকে ভারত ছাড়ার নির্দেশ দেয়। সেই তালিকায় দাবায়ার পরিবারও পড়ছিল।
তাঁকে পুলিশ ডেকেও পাঠায়। কিন্তু প্রাক্তন পাক সাংসদ তাঁর পরিস্থিতির কথা পুলিশকে খুলে জানান। পরে তাঁকে পাকিস্তানে ফেরত না পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয় প্রশাসন। তিনি ফিরে যান হরিয়ানার রতনগড় গ্রামে তাঁর বাড়িতে।
আরও পড়ুন : ওষুধ ছাড়াই অ্যাসিডিটি থেকে মুক্তি পেতে চান? জেনে নিন ঘরোয়া উপায়