Bangla News Dunia, Pallab : প্রাণভয়ে বাংলাদেশ (Bangladesh) থেকে পালিয়ে মঙ্গলবার মধ্যরাতে ভারত ভূখণ্ডে প্রবেশের মুখে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) লালবাগ মহকুমার অন্তর্গত হরিরামপুর এলাকায় পুলিশের হাতে ধরা পড়লেন আওয়ামী লিগ নেতা (Awami League Leader Arrested) মহম্মদ নজরুল ইসলাম সোহেল। পাবনার কাছারিপাড়া গ্রামের বাসিন্দা সোহেল পাবনা জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান। এই ঘটনার পরই বুধবার থেকে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকায় নজরদারি আরও কঠোর করা হয়েছে। ওই আওয়ামী লিগ নেতা কীভাবে ভারত ভূখণ্ডে প্রবেশ করেছেন, তা নিয়ে রহস্য দানা বেঁধেছে। প্রতিবেশী দেশের রাজনৈতিক নেতার অনুপ্রবেশে প্রশাসনিক মহলে জোর গুঞ্জন শুরু হয়েছে। মুর্শিদাবাদের পুলিশ সুপার কুমার সানিরাজ বলেন, ‘ধৃত কী উদ্দেশ্যে ভারতে প্রবেশ করেছিলেন তা খতিয়ে দেখা হবে পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত করে।’
আরও পড়ুন : স্টেট ব্যাংকের জনপ্রিয় প্রকল্পে মিলছে প্রচুর সুদ ! সারাজীবন টেনশন ফ্রি থাকুন
সোহেলের বিরুদ্ধে পাসপোর্ট আইন সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। সূত্রের খবর, সম্প্রতি জেলা পুলিশ ও গোয়েন্দা দপ্তরের কাছে আওয়ামী লিগের নেতাদের গতিবিধি সম্পর্কে বেশকিছু তথ্য আসতে শুরু করেছিল। তার ভিত্তিতে অভিযানে নামে পুলিশ। বছর ৪৬-এর সোহেলকে পাকড়াও করে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশ জানতে পেরেছে, বাংলাদেশে রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর থেকে তিনি চরম প্রতিহিংসার শিকার হয়েছেন। শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর থেকে তাঁর উপর হামলা, নিপীড়ন শুরু হয়। তাঁর ঘরবাড়ি ভাঙচুর, শারীরিক নিগ্রহ তো ছিলই, এমনকি খুনের হুমকি পর্যন্ত দেওয়া হয়েছে তাঁকে। সোহেল দাবি করেন, ‘আমি এলাকায় থাকলে মেরে ফেলত আমাকে। শেখ হাসিনা ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন। আমিও সেই পথ অবলম্বন করে নিজের প্রাণ বাঁচাতে ভারতে প্রবেশ করেছি।’
পুলিশের কাছে সোহেল স্বীকার করেন, তাঁর অনুপ্রবেশের মূল উদ্দেশ্য রাজনৈতিক আশ্রয় গ্রহণ। পুলিশ সূত্রে খবর, মধ্যরাতে চুপিসারে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে ঢোকেন সোহেল৷ তাঁকে ঘাট এলাকায় ঘোরাঘুরি করতে দেখা যায়৷ সোর্স মারফত নিশ্চিত হতেই হরিরামপুর থানার পুলিশ তাঁকে ঘিরে ফেলে। জিজ্ঞাসাবাদের পর পুলিশ তাঁর পরিচয় সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে যায়। সোহেল জানিয়েছেন, তিনি পাবনা সদর থানার কাছারিপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। আওয়ামী লিগের জেলা পরিষদের সদস্যও ছিলেন৷
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বাংলাদেশের অস্থির পরিস্থিতিতে ওপার থেকে অনুপ্রবেশ বেড়েছে। তাই তাঁরা সব সময় সজাগ থাকছেন। সন্দেহজনক কাউকে এলাকায় ঘোরাঘুরি করতে দেখলেই তৎক্ষণাৎ সেই বিষয় প্রশাসনকে জানানো হচ্ছে।