Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- ভারতের সঙ্গে পাকিস্তানের যুদ্ধ হলে অর্থনৈতিক দিক থেকে বেশি ক্ষতি হবে পাকিস্তানের। এমনই তথ্য উঠে এলো মুডিজ় ইনভেস্টর সার্ভিসের রিপোর্টে। কাশ্মীর ঘিরে উত্তপ্ত পরিস্থিতি পাকিস্তানের অর্থনীতিকে ঝুঁকির মুখে ঠেলে দিচ্ছে। এর জেরে পাকিস্তানের ইকনমিক রিকোভারি ভয়ঙ্কর রকমের ধাক্কা খেতে পারে। অন্য দেশ থেকে আসা সাহায্য বন্ধ হলে আগামী কয়েক বছরে বিভিন্ন সংস্থার ঋণ শোধ করা ইসলামাবাদের পক্ষে আরও কঠিন হবে। তবে পাকিস্তানের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে যুদ্ধ চললে ভারতের অর্থনীতির বৃদ্ধির গতি কিছুটা কমার আশঙ্কা প্রকাশ করেছে মুডিজ়।
মুডিজ়ের প্রকাশিত রিপোর্টে লেখা হয়েছে, ‘ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের উত্তাপ বৃদ্ধির জেরে পাকিস্তানের অর্থনীতিতে জোর ধাক্কা লাগতে পারে। ম্যাক্রোইকনমিক স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে সরকার যে ফিসকাল কনসলিডেশনের চেষ্টা চালাচ্ছে, তাও ব্যাপক ধাক্কা খেতে পারে।’ ভারতের সঙ্গে যুদ্ধে জড়ালে পাকিস্তানের পক্ষে বিপুল অঙ্কের ঋণ শোধ কঠিন হয়ে যাবে। এ প্রসঙ্গে মুডিজ়ের রিপোর্টে লেখা হয়েছে, ‘উত্তেজনা বাড়লে বাইরের আর্থিক সাহায্য আসা কমতে পারে পাকিস্তানে। যা বৈদেশিক মুদ্রার ভাণ্ডারে চাপ তৈরি করবে। এর জেরে আগামী কয়েক বছর বিপুল ঋণ শোধ করার ব্যাপারে অনিশ্চয়তা তৈরি হবে।’
প্রসঙ্গত, গত কয়েক বছর ধরেই পাকিস্তানের অর্থনীতিতে টালমাটাল অবস্থা চলছে। বিপুল ঋণের বোঝা, মুদ্রাস্ফীতির জেরে পাকিস্তানের অর্থনীতি ভেঙে পড়ার উপক্রম হয়েছিল। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে আর্থিক সাহায্য পাওয়ার পর ভারতের এই প্রতিবেশী দেশের অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়। কিন্তু পাক অর্থনীতি এখনও বিপদসীমার মধ্যেই ঘুরছে বলে সতর্ক করেছেন একাধিক বিশেষজ্ঞ। এই পরিস্থিতিতেই ২২ এপ্রিল পহেলগামে জঙ্গি হামলার পর ভারত ও পাকিস্তানের সম্পর্কের ব্যাপক অবনতি হয়েছে। দুই দেশে একে অপরের বিরুদ্ধে একাধিক কূটনৈতিক পদক্ষেপ করেছে। যুদ্ধের প্রস্তুতিও চালাচ্ছে দুই দেশের সেনা। এ রকম অবস্থাতেই এল মুডিজ়ের সতর্কবার্তা।
পাকিস্তানের সঙ্গে উত্তেজনা বৃদ্ধির জেরে ভারতের অর্থনীতি কতটা প্রভাবিত হতে পারে, তারও পূর্বাভাস দিয়েছে মুডিজ়। ওই সংস্থা মনে করছে, ভারতের ম্যাক্রোইকনমিক পরিস্থিতি পাকিস্তানের থেকে অনেক বেশি পোক্ত। পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে বাণিজ্যের পরিমাণও মোটেই উল্লেখযোগ্য নয়। তাই এই উত্তেজনার জেরে ভারতের অর্থনীতিতে খুব বড় ধাক্কা লাগবে না বলেই মনে করছে মুডিজ়। তবে দীর্ঘদিন ধরে যুদ্ধ চললে প্রতিরক্ষা খাতে ভারতের খরচ অনেকটা বাড়বে। সে ক্ষেত্রে ফিসকাল কনসলিডেশনের প্রক্রিয়া মন্থর হতে পারে এবং অর্থনৈতিক বৃদ্ধি শ্লথ হতে পারে বলে জানাচ্ছে মুডিজ়।