Bangla News Dunia , অজয় দাস :– আপনাদের জানিয়ে রাখি বর্তমানে ভারত বস্ত্র রপ্তানিতে বিশ্বের মধ্যে ৫ নম্বর স্থানে রয়েছে। তবে ভারতের থেকেও ছোট দেশ বাংলাদেশ এমনকি ভিয়েতনাম এমনকি জার্মানি ভারতের থেকে এগিয়ে রয়েছে। সারাবিশ্বে বস্ত্র রপ্তানিতে এক নম্বরে রয়েছে চীন , দুই নম্বরে রয়েছে জার্মানি , তিন নম্বরে রয়েছে ভিয়েতনাম ও চার নম্বরে রয়েছে বাংলাদেশ তারপরেই পাঁচ নম্বরে স্থানে রয়েছে ভারত। ( খুব সহজে এই বিষয়ে বিস্তারিত জানতে একদম নিচে দেওয়া ভিডিওটি দেখুন। এছাড়া ভিডিওটিতে ক্লিক করে আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে গিয়ে আরো ভিডিও দেখতে পারেন। )
তবে ১৩০ কোটি জনসংখ্যার এই বিরাট দেশ বস্ত্র উৎপাদনে পাঁচ নম্বরে থাকাটা খুবই অস্বাভাবিক ব্যাপার। তার কারণ একদিকে যেমন ভারতের মধ্যে খুবই সস্তায় শ্রমিক পাওয়া যায়। তেমনই ভারতের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে তুলা উৎপাদন হয় এমনকি ভারত থেকে তুলো নিয়ে বাংলাদেশ-ভারতের থেকে এগিয়ে গেছে বস্ত্র রপ্তানিতে । এছাড়াও ভারতের এই ১৩০ কোটি জনসংখ্যার যে বিরাট মার্কেট সেই বিরাট মার্কেটের সুবিধা নিতে পারছে না ভারতের কোম্পানিরা । কারণ ভারতের মধ্যে সেই বিপুল পরিমাণে বস্ত্র উৎপাদন হয় না যা দেশের চাহিদা পূরণের সাথে সাথে বিশ্বেও প্রচুর পরিমাণে রপ্তানি করবে।
তবে এইবার ভারত সরকার বিগত কয়েক বছরের মধ্যেই বাংলাদেশকে বস্ত্র রপ্তানিতে পেছনে ফেলতে চলেছে। কারণ ভারত সরকার ভারতের বস্ত্র শিল্পকে এগিয়ে নিয়ে যেতে PLI স্কিমের মাধ্যমে ভারতের যে বস্তুর উৎপাদনকারী সংস্থা গুলো রয়েছে তাদের আর্থিক সাহায্য দিতে চলেছে। যাতে করে সেই শিল্পগুলো আবার নতুন করে তাদের ব্যবসা বৃদ্ধি করতে পারে।
আরো পড়ুন :- প্রধানমন্ত্রী মোদিকে ইসরাইল থেকে ভোটে লড়তে বললেন নেফতালি বেনেট
এই PLI স্কিমের মাধ্যমে ভারত সরকার একদিকে যেমন ভারতের চাহিদা পূরণ করতে চাইছে , তেমনই বিশ্বের বিরাট বড় যে বস্ত্রের মার্কেট রয়েছে সেই মার্কেটেও ভারতের ডাঙ্কা বাজাতে চাইছে ৷
আপনাদের জানিয়ে রাখি ভারত সরকার ভারতকে এক ইলেকট্রনিক্স হাব তৈরি করতে চায়। আর ইলেকট্রনিক্স হাব তৈরি করতে গেলে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে যেমন টেকনোলজি দরকার তারই সাথে সাথে তার বিভিন্ন উপকরণও বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করতে হবে ভারতে। কিন্তু ভারতের মধ্যে যদি বস্ত্রশিল্প অর্থাৎ কাপড় শিল্পকে উন্নত করতে হয় তাহলে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে কোন পণ্য আমদানি করতে হবেনা ভারতকে , কারণ বস্ত্র শিল্পের কাঁচামাল ভারতেই প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায় , যা হচ্ছে তুলো বা কার্পাস।
বরংচ ভারত বর্তমানে চীন , ভিয়েতনাম ও বাংলাদেশে প্রচুর পরিমাণে এই তুলো রপ্তানি করে। আর ভারত সরকার চাইছে একদিকে যেমন ভারতে প্রচুর শ্রমিক রয়েছে এমনকি ভারতের কাছে বস্ত্রশিল্পের টেকনোলজি রয়েছে , এমনকি ভারতের মধ্যে বস্ত্রের বিরাট বড় বাজার রয়েছে এছাড়াও তুলো তো রয়েছেই ভারতে প্রচুর পরিমাণে । তাহলে ভারত কেনো বিশ্বের বিভিন্ন দেশের উপরে এই শিল্পের উন্নতির জন্য নির্ভর করবে। যার ফলে ভারত সরকার ভারতের বস্ত্র শিল্পকে আরও উন্নত করতে চাইছে।
আরো পড়ুন :- চিনা অস্ত্রের মান নিয়ে উদ্বিগ্ন বাংলাদেশ
যার ফলে সরকার ভারতকে বস্ত্র রপ্তানিতে বিশ্বের টপ থ্রিতে নিয়ে আসতে চাইছে। আর ভারত সরকারের তরফ থেকে PLI স্কিম ঘোষণার পরেই মনে করা হচ্ছে বিগত ১ থেকে ২ বছরের মধ্যেই ভারত বাংলাদেশকে বস্ত্র রপ্তানিতে পিছনে ফেলে ৪ নম্বর স্থান দখল করে নেবে।
আপনাদের জানিয়ে রাখি ভারত এক সময়ে বস্ত্রশিল্পে সারা বিশ্বের হাব ছিল । যখন ব্রিটিশ সরকার ভারতে রাজত্ব করত সেই সময় বস্ত্রশিল্পে ভারত সারা বিশ্বের মধ্যে এক নম্বরে ছিল। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে ভারতের বস্ত্র শিল্প আস্তে আস্তে নষ্ট হয়ে গিয়েছে। কিন্তু বর্তমানে ভারত সরকার চাইছে ভারতকে আরো একবার বস্ত্রশিল্পের হাব হিসাবে তৈরি করতে।
আরো পড়ুন :- ইসরাইলকে হুমকি ইরানের। ইরানের উপর হামলা হলে ট্রিলিয়ন ডলার খরচ করতে হবে ইসরাইলকে