Bangla News Dunia, Pallab : অপারেশন সিঁদুরের ধাক্কায় বিধ্বস্ত পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। মুখরক্ষায় ভারতকে আক্রমণের নানা তত্ত্ব সামনে আনছে পাকিস্তান। সম্প্রতি পাকিস্তানের তরফে একটি নতুন তত্ত্ব ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছে যে, অপারেশন সিঁদুরের সময় তারা পঞ্জাবের আদমপুরে বিমানঘাঁটিতে হামলা চালিয়ে একটি সুখোই এসইউ-৩০ এমকেআই বিমানকে ধ্বংস করেছে। এনিয়ে একটি স্যাটেলাইট ইমেজও প্রকাশ করেছে পাকিস্তান। কিন্তু তাতেই তাঁদের যাবতীয় জারিজুরি ধরা পড়ে গিয়েছে। ভূ-গোয়েন্দা বিশেষজ্ঞ ড্যামিয়েন সাইমনের মতে, ছবিটি সংঘর্ষের দুই মাস আগে ২০২৫ সালের মার্চ মাসে তোলা একটি স্যাটেলাইট ছবি। যেখানে দেখা যাচ্ছে একটি মিগ-২৯ বিমানের রক্ষণাবেক্ষণ চলছে এবং ইঞ্জিন টেস্ট প্যাডের কাছে কালো কালি দেখা যাচ্ছে। অর্থাৎ পাকিস্তানের দাবি কার্যত নস্যাৎ করে দেন ড্যামিয়েন।
আরও পড়ুন : এসি টানা চালালেই ক্ষতি! কতক্ষণ চালানো সঠিক ?
পহেলগাঁও সন্ত্রাসবাদী হামলায় ২৬ জনের মৃত্যুর প্রতিশোধ নিতে পাকিস্তানে হামলা চালিয়ে সেদেশের ৯ টি জঙ্গিঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেয় ভারত। পাকিস্তান পালটা ভারতকে লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালালেও তাতে ভারতের কোনও ক্ষতি হয়নি বললেই চলে। এরপরই ইসলামাবাদ ভারতের হামলাকে ছোট করে দেখাতে বিভ্রান্তিকর ভুয়ো প্রচার চালাচ্ছে। কিন্তু, তাদের সমস্ত দাবি মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। এর আগে, পাকিস্তান দাবি করেছিল যে, চিনের তৈরি জেএফ-১৭ যুদ্ধবিমানের ক্ষেপণাস্ত্র আদমপুরে রাশিয়ার তৈরি এস-৪০০ বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা(যা সুদর্শন চক্র নামেও পরিচিত) ধ্বংস করেছে। কিন্তু সেই দাবিও মিথ্যে প্রমাণিত হয়েছে। যুদ্ধ শেষ হওয়ার তিন দিন পর, ১৩ মে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আদমপুর বিমান ঘাঁটিতে গিয়ে এস-৪০০র সামনে দাঁড়িয়ে জওয়ানদের উদ্দেশ্যে হাত নাড়িয়ে এই দাবিকে মিথ্যে প্রমাণ করেন।
ঐতিহাসিকভাবে, আদমপুর বিমান ঘাঁটি পাকিস্তানের সঙ্গে পূর্ববর্তী সংঘাতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। বিশেষ করে ১৯৬৫ সালের যুদ্ধের সময়ও এই বিমানঘাঁটি ছিল পাকিস্তানের টার্গেট। সীমান্ত থেকে মাত্র ১০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই বিমানঘাঁটির কৌশলগত ভৌগোলিক অবস্থান ভারতের উত্তরাঞ্চলীয় বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ২০২২ সালে আদমপুর বিমান ঘাঁটিতে প্রথম এস-৪০০ বিমান প্রতিরক্ষা ইউনিট মোতায়েন করা হয়েছিল। বর্তমানে, এখানে মিগ-২৯ এবং সু-৩০ (MKI) সহ ইন্ডিয়ান এয়ারফোর্সের (IAF)-এর বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ ফাইটার প্লেন রয়েছে। এই বিমানঘাঁটি পাঞ্জাব, জম্মু ও কাশ্মীর এবং রাজস্থানের মতো রাজ্যগুলিকে সুরক্ষিত রাখতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে।
আরও পড়ুন : সদ্য খুলল স্কুল, আবার পড়বে গরমের ছুটি ? ছাত্রছাত্রীদের জন্য শিক্ষা দপ্তরের নতুন নোটিশ
আরও পড়ুন : জানা গেল কবে প্রকাশ হবে ক্লার্ক ও গ্রুপ-ডি পদে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি, অভিজ্ঞতার জন্য বিশেষ নম্বর