Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- ভূত তাড়ানোর নামে বেধড়ক মারধর ওঝার ৷ ‘ওর মধ্য়ে ভূত রয়েছে’, এমনটাই গীতাম্মার ছেলেকে বলে এক মহিলা ওঝা ৷ মার খেলেই ভূত গীতাম্মাকে ছেড়ে চলে যাবে বলেও জানায় সে ৷ রবিবার রাত সাড়ে ন’টা থেকে শুরু হয় ভূত তাড়ানো ৷ মারের জেরে অসুস্থ হয়ে পড়লে রাত আড়াইটে নাগাদ ছেলে সঞ্জয় মাকে কর্ণাটকের শিবমোগার একটি হাসপাতালে নিয়ে যান ৷ কিন্তু ততক্ষণ সব শেষ !
মৃতের ছেলে ঘটনার পরই পুলিশের দ্বারস্থ হয় ৷ সঞ্জয় হোলেহোন্নুর থানায় ওই মহিলা ওঝা আশার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন ৷ তিনি জানান, মাকে বেধড়ক মারধর করা হয় ৷ পুলিশ এরপৎই ওই মহিলাকে (ওঝা) গ্রেফতার করে ৷ বছর পঁয়তাল্লিশের ওই মৃত মহিলা হোসা জাম্বারঘাট গ্রামের বাসিন্দা। মৃত গীতাম্মার এক মেয়ে এবং দুই ছেলে রয়েছে ৷ ওই মহিলার ভূত তাড়ানোর ভিডিয়োটি ইতিমধ্যেই সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে ৷ এত বড় ঘটনার পরও স্থানীয় নেতা ও পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে কোনওরকম পদক্ষেপ দেখা যায়নি ৷ ঘটনার পর এসপি মিঠুন কুমার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন ও পরবর্তী তদন্ত বলে জানাচ্ছেন ৷
এবিষয়ে এসপি মিঠুন কুমার বলেন, “ভূত তাড়ানোর নাম করে কর্ণাটকের জাম্বারগাট্টে গ্রামে গীতাম্মা (45) নামে এক মহিলাকে মারধর করা হয় ৷ এরপরই তাঁর মৃত্যু হয়। গীতাম্মার ছেলে সঞ্জয়ের দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে, হোলেহোন্নুর পুলিশ ওই মহিলাকে গ্রেফতার করেছে ।”
আরও পড়ুন:- ৯ জুলাই ভারত বনধ: কোন কোন পরিষেবা বন্ধ থাকবে ও দেশের ওপর কতটা প্রভাব পড়বে ? জেনে রাখুন
ঘটনাক্রমে কী জানা গিয়েছে ?
- স্থানীয় সূত্রে খবর, ভদ্রাবতী তালুকের জাম্বারঘাট গ্রামের গীতাম্মা কয়েকদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন ৷ বারংবার অজ্ঞান হয়ে পড়ছিলেন। গত 6 জুলাই রাত 9.30টা নাগাদ, আশা নামের এক মহিলা ওঝা গীতাম্মার বাড়িতে আসে ৷ অজ্ঞানের কারণ হিসাবে উল্লেখ করে, তাঁকে ভূতে ধরেছে ৷ গীতাম্মার ছেলেকে বলে, চিন্তার কোনও কারণ নেই এর থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে ৷ শুরু হয়, ভূত তাড়ানোর পালা ৷ মারতে মারতে বাড়ি থেকে আড়াই কিলোমিটার দূরে পুরাতন জাম্ভরাঘাটে চৌদ্দম্মা মন্দিরে নিয়ে যায় ওঝা।
- বেধড়ক মারের কারণে প্রৌঢ়া যখন অসুস্থ হয়ে পড়েন, তারপর ওঝা জানায় এবার ঠিক হয়ে যাবেন গীতাম্মা ৷ কিন্তু পরিস্থিতি বেগতিক হলে ছেলে মাকে নিয়ে হাসপাতলে পৌঁছন ৷ হোলেহোন্নুরের কমিউনিটি হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানান, গীতাম্মার মৃত্যু হয়েছে ৷