Bangla News Dunia, Pallab : বাংলার ভোটারদের ভোট দেওয়া নিয়ে দেখা দিচ্ছে সংশয়। বাংলার সাধারণ মানুষ ভোট দেবেন কি দেবেন না, সেটাই এখন বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে। ভোটার তালিকা ঘিরে নতুন নিয়ম জারি হতেই রাজ্যের রাজনীতি তেতে উঠেছে। নির্বাচন কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী, যাঁরা সদ্য প্রাপ্তবয়স্ক হয়েছেন বা ১৮’র ঘর পেরিয়েছেন, তাঁদের নাম তালিকায় তুলতে গেলে শুধু নিজের পরিচয় নয়, মা-বাবার জন্মের কাগজও জমা দিতে হবে।
আরও পড়ুন : ছক্কা হাঁকালেন শুভেন্দু ! হেরে ভূত তৃণমূল
এই নিয়ম প্রকাশ্যে আসতেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরব। তাঁর মতে, এটা বিহারের অজুহাত দিয়ে বাংলাকে টার্গেট করার চাল। মুখ্যমন্ত্রীর সোজাসাপটা ভাষায় — “বাংলার ছেলেমেয়েদের ভোটাধিকার কাড়ার চক্রান্ত চলছে। বাইরে থেকে লোক ঢোকানোর ছক চলছে। এটা যে সহজ খেলা নয়, সেটা বুঝিয়ে ছাড়ব।”
Voter Card Verification
কী বলছে কমিশনের নতুন নিয়ম?
কমিশনের পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, যাঁরা ১ জুলাই ১৯৮৭ থেকে ২ ডিসেম্বর ২০০৪-এর মধ্যে জন্মেছেন, তাঁদের ভোটার তালিকায় নাম রাখতে হলে বা নতুন নাম তুলতে গেলে নিজের জন্ম সার্টিফিকেট তো লাগবেই, সঙ্গে মা বা বাবার জন্ম তারিখ বা জন্মস্থানের কাগজপত্র জমা দিতে হবে।
এ নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন মমতা। তাঁর সোজা বক্তব্য, “সবাই কী করে মা-বাবার জন্মের সার্টিফিকেট জোগাড় করবে? গ্রামের গরিব মানুষ, হকার, পরিযায়ী শ্রমিক — এদের অনেকের কাছে তো এইসব কাগজপত্র নেই। তাহলে কি ওরা ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত হবে?”
বুথ এজেন্টের তথ্য নিয়েও ক্ষোভ
মুখ্যমন্ত্রীর আরও অভিযোগ, কমিশন আগেভাগে বুথ এজেন্টের তালিকা চাইছে। মমতার প্রশ্ন, “আমার বুথ এজেন্ট কে হবে সেটা তো আগের দিন ঠিক হয়। এত আগে নাম চাইছে কেন? এজেন্ট কেনা হবে নাকি লোক ধরে নিয়ে যাওয়া হবে?” তিনি স্পষ্ট বলেছেন, এই ডেটা আগে দেবেন না।
বাংলাকে নিশানা করার অভিযোগ
মমতার দাবি, বিহারকে সামনে রেখে আসলে বাংলাকে টার্গেট করছে বিজেপি। তিনি বললেন, “বিজেপির চাল, বাংলায় লোক এনে নাম তুলছে। বাইরে থেকে লোক ভরানোর খেলা চলছে। বাংলার প্রকৃত ভোটারদের নাম বাদ দেওয়ার চেষ্টা চলছে। এটা অন্যভাবে এনআরসি চাপানোর চেষ্টা।”
সরাসরি অমিত শাহের নাম তুলে আক্রমণ
মমতার বক্তব্য, “প্রধানমন্ত্রীকে আমরা সম্মান করি, কিন্তু এখন দেশের আসল চালক অমিত শাহ। শুনেছি দেশের মুখ্য নির্বাচন কমিশনারও ওনার দফতরের লোক ছিলেন। ব্যাপারটা সবাই বোঝে।”
আন্দোলনের হুঁশিয়ারি
তৃণমূল নেত্রী জানিয়ে দিয়েছেন, যদি সাধারণ মানুষের নাম তালিকা থেকে বাদ পড়ে বা কাউকে সমস্যায় পড়তে হয়, তাহলে তৃণমূল রাজপথে নামবে। তিনি বলেন, “আমরা প্রচার করব, মানুষকে সচেতন করব। যদি আটকানো হয়, আমরা রাস্তায় নামব। আমি ব্যাট ধরেছি, অন্য রাজ্য বোলিং করবে!”