ভোট পরবর্তী হিংসার মামলায় রাজ্যকে ভর্ৎসনা সুপ্রিম কোর্টের, জামিন খারিজ ৬ তৃণমূলকর্মীর

By Bangla News Dunia Dinesh

Published on:

Bangla News Dunia, Pallab : ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় কলকাতা হাইকোর্টে জামিন পেয়েছিলেন অভিযুক্ত ৬ তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতী। হাইকোর্টের সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে যায় সিবিআই। বুধবার অভিযুক্তদের জামিন খারিজ করে রাজ্য পুলিশ ও প্রশাসনকে তীব্র ভর্ৎসনা করল সুপ্রিম কোর্ট। এদিন সুপ্রিম কোর্টে মামলাটি শোনেন বিচারপতি বিক্রম নাথ ও বিচারপতি সন্দীপ মেহেতা। মামলার শুনানিতে বিচারপতিরা মন্তব্য করেন, যে ভাবে ভোট পরবর্তী হিংসায় বিরোধীরা আক্রান্ত হয়েছে তা গণতন্ত্রের মূলে কুঠারাঘাত।

আরও পড়ুন : LPG সিলিন্ডার থেকে PF, UPI, ফিক্সড ডিপোজিট ! বদলে যাচ্ছে বহু নিয়ম

২০২১ সালের ভোট পরবর্তী হিংসায় বীরভূমে এক বিজেপিকর্মীর বাড়িতে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, সেই বিজেপিকর্মীর বাড়িতে ঢুকে ভাঙচুর ও লুঠপাটের পর বাড়ির এক মহিলাকে ঘর থেকে টেনে বাইরে নিয়ে এসে বিবস্ত্র করে যৌন হেনস্তা করা হয়। কোনওক্রমে প্রাণে বেঁচে যান ওই নির্যাততা। অভিযোগ, এই ঘটনার পর পরিবারের লোকেরা থানায় গেলেও অভিযোগ নেয়নি পুলিশ। এমনকী পরিবারটিকে এলাকা ছেড়ে চলে যেতে পরামর্শ দেন পুলিশ আধিকারিকরা।

এরপরে হাইকোর্টের নির্দেশে ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনার তদন্তভার নেয় সিবিআই। হাইকোর্টের নির্দেশে নতুন করে দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে এই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সিবি আইয়ের হাতে গ্রেপ্তার হয় ৬ তৃণমূলি দুষ্কৃতী। ২০২৩ সালে কলকাতা হাইকোর্ট থেকে জামিন পেয়ে যায় তারা। সেই জামিনের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল সিবিআই। সিবিআইয়ের আবেদনের প্রেক্ষিতে ৬ জনের জামিনের আবেদন করে রাজ্যের পুলিশকে তীব্র ভর্ৎসনা করেছে সুপ্রিম কোর্ট।

এদিন সুপ্রিমকোর্টে মামলাটি উঠে বিচারপতি বিক্রম নাথ ও বিচারপতি সন্দীপ মেহেতার এজলাসে। মামলার শুনানিতে বিচারপতিরা রাজ্যের পুলিশকে তীব্র ভর্ৎসনা করেন। তাঁরা মন্তব্য করেন, যে ভাবে ভোট পরবর্তী হিংসায় বিরোধীরা আক্রান্ত হয়েছে তা গণতন্ত্রের মূলে কুঠারাঘাত। বিচারপতিরা এদিন মন্তব্য করেন, ‘এই ঘটনা অত্যন্ত উদ্বেগের। আমরা নিশ্চিত বিবাদীসহ অন্যান্য অভিযুক্তরা বিরোধী রাজনৈতিক দলের সদস্যদের সন্ত্রস্ত করার চেষ্টা করছিলেন।’ আদালতের আশঙ্কা, এই মামলায় অভিযুক্তরা মুক্ত থাকলে সাক্ষীদের প্রভাবিত করতে পারে। কারণ অভিযুক্তরা রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী। এরফলে মামলার নিরপেক্ষ শুনানি সম্ভব নয়। তারা এতটাই প্রভাবশালী যে তারা অভিযোগ দায়েরেও বাধা দিয়েছিল। এতে প্রমাণিত হয় যে অভিযোগকারীর আশঙ্কা কতটা সত্য। অভিযুক্তরা এলাকাতে তো বটেই এমনকী পুলিশকেও প্রভাবিত করার ক্ষমতা রাখে।’

Bangla News Dunia Dinesh

মন্তব্য করুন