Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- ২২ জুন ইরানের ফোর্ডো পরমাণু কেন্দ্রে আঘাত হানে মার্কিন মিসাইল(GBU-57/A ম্যাসিভ অর্ডন্যান্স পেনিট্রেটর)। আর এর থেকে একটি বিষয় স্পষ্ট, আয়রন ডোম, মাটির নিচের বাঙ্কার -সবই ব্যর্থ হতে পারে। অর্থাৎ, সঠিক প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে বিশ্বের যে কোনও ডিফেন্স সিস্টেমই ধ্বংস করা যায়। বিষয়টি ভাবাচ্ছে ভারতের বিজ্ঞানীদেরও। আর সেই কারণেই আরও উন্নত ‘বাঙ্কার-বাস্টার’ ক্ষেপনাস্ত্র তৈরির চেষ্টায় নেমেছেন তাঁরা।
রিপোর্ট অনুযায়ী, নতুন অগ্নি-৫ আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের নতুন ভার্সান তৈরিতে নেমেছে DRDO। এর রেঞ্জ ৫,০০০ কিলোমিটারেরও বেশি। এই মিসাইল পরমাণু অস্ত্রও ক্যারি করতে পারে। নতুন ভার্সানটি এমনভাবে বানানো হবে, যাতে তার ডিফেন্স সিস্টেম ব্যর্থ করার ক্ষমতা আরও বৃদ্ধি পায়।
আরও পড়ুন:- যাত্রীদের ভোগান্তি কমলো, এবার ট্রেন ছাড়ার অনেক আগেই রিজার্ভেশন চার্ট।
বাঙ্কার কী?
সহজ ভাষায়, বোমার আঘাত থেকে বাঁচার জন্য মাটির নিচে যে ঘর তৈরি করা হয়, তাকেই বাঙ্কার বলে। কংক্রিটের মোটা আচ্ছাদন থাকে। ফলে বোমার আঘাতে তেমন প্রভাব পড়ে না।
তবে ডিআরডিও এখন চাইছে, এমন ক্ষেপনাস্ত্র তৈরি করতে, যা প্রথমেই মাটির ৮০-১০০ মিটার নিচে গেঁথে যাবে। তারপরেই প্রবল বিস্ফোরণ।
সম্প্রতি ইরানের পরমাণু কেন্দ্রে ১৪টি GBU-57s ক্ষেপনাস্ত্র দিয়ে হামলা চালিয়েছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এই GBU-57s-কে বিশ্বের বৃহত্তম বাঙ্কার-বাস্টার বোমা বলা হয়। আর তার পরপরই ভারতের এই নতুন বাঙ্কার-বাস্টার প্রযুক্তি ডেভেলপ করার উদ্যোগ সত্যিই উল্লেখযোগ্য।
বিমানে নয়, মিসাইলে করে হামলা
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের GBU-57s কোনও বড় বিমানে করে বয়ে নিয়ে যেতে হয়। তারপর টার্গেটের কাছে এসে সেটা ডিপ্লয় করতে হয়। এটি যেমন ব্যয়বহুল, তেমনই বিপজ্জনক।
ভারতের বিজ্ঞানীরা অবশ্য সেই ঝামেলায় যেতে চাইছেন না। তাঁরা চাইছেন, ক্ষেপণাস্ত্র-মিসাইলের মাধ্যমেই যেন এই বোমা স্বয়ংক্রিয়ভাবে ক্যারি হয়। ঠিক যেভাবে রকেট দিয়ে মহাকাশে মহাকাশযান পাঠানো হয়, তেমনই মিসাইল ব্যবহার করে স্বয়ংক্রিয়ভাবে বোমা ক্যারি করাই তাঁদের পরিকল্পনা।
এর আগের অগ্নি-৫-এর তুলনায় নতুন ভেরিয়েন্টের রেঞ্জ ২,৫০০ কিলোমিটারেরও কম হতে পারে। তবে তার ধ্বংসাত্মক ক্ষমতা নিয়ে কোনও প্রশ্নই নেই। তাছাড়া বিমান দিয়ে বহনের ব্যাপারও নেই। সেই কারণে বিষয়টি আরও সহজ হবে।
আরও পড়ুন:- মাধ্যমিক পাশে রেলে ৬ হাজারের বেশি পদে নিয়োগ, নির্বাচন কীভাবে হবে?