Bangla News Dunia, দীনেশ :- চাকরি পাওয়ার জন্য শুধুমাত্র ডিগ্রি আর মার্কশিট থাকলেই হবে না। দরকার হবে এক্সট্রা কারিকুলার অ্যাক্টিভিটি। হ্যাঁ, ঠিক এই পরিস্থিতিতে হাওড়ায় এক অভিনব উদ্যোগ নিয়ে এগিয়ে এসেছে অ্যাসোসিয়েশন অফ ভলান্টিয়ারি ব্লাড ডোনার্স।
আরও পড়ুন:- মুখোমুখি না পেরে অন্য ‘শয়তানি’ পাকিস্তানের, বিস্তারিত জেনে নিন
এবার সমাজ সেবার মানসিকতা গড়ে তুলতে এবং ভবিষ্যৎকে নিশ্চিত করতে তারা এক প্রশিক্ষণ কর্মশালা আয়োজন করেছে। জানা যাচ্ছে, তিন দিনের জন্য এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হবে এবং কোর্স শেষে পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের হাতে দেওয়া হবে মূল্যবান সার্টিফিকেট, যা চাকরির দৌড়ে এগিয়ে রাখবে।
আরও পড়ুন:- কেন পাকিস্তানের মতো ধসে যায়নি ভারতের শেয়ার বাজার? কারণ জেনে নিন
সূত্রের খবর, হাওড়ার একটি স্কুলে এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে। যেখানে সমাজ সেবামূলক বিভিন্ন বিষয়, বিশেষ করে রক্তদান নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। প্রশিক্ষণের মধ্যে শুধুমাত্র বক্তৃতা নয়, বরং অংশগ্রহণকারীদের সক্রিয়ভাবে যুক্ত করা হয় ও আলোচনা করা হয়।
বেশ কিছু সূত্র বলছে, এবছর মোট ৫২ জন ছাত্রছাত্রী এই কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেছিল। যেখানে গত বছর এই সংখ্যাটি ছিল ৩৭ জন। জানা যাচ্ছে, প্রশিক্ষণে অংশ নিতে হলে কমপক্ষে ১৮ বছর বয়স হতে হবে এবং নূন্যতম মাধ্যমিক পাস করে থাকতে হবে।
আরও পড়ুন:- একবার চার্জ, সারাদিন হাওয়া! গরমে VIRAL এই হ্যান্ডফ্যান, দাম কত-কোথায় পাবেন? জেনে নিন
কীভাবে হয় এই প্রশিক্ষণ?
আসলে এই পুরো কর্মসূচিটি তিন দিনের জন্য অনুষ্ঠিত হয়। মোট নয়টি ক্লাস নেওয়া হয়, আর প্রতিটি কোর্স নির্দিষ্ট বিষয়ের উপরেই হয়ে থাকে। কোর্স শেষে ২০০ নম্বরের একটি লিখিত পরীক্ষাও নেওয়া হয়। তবে শুধু লিখে পরীক্ষা নয়, বরং ক্লাসে উপস্থিতিতির উপরেও নম্বর থাকে। সবকিছু মিলিয়ে প্রথম চারজনকেই পুরস্কার দেওয়া হয়।
সূত্র বলছে, এই প্রশিক্ষণের সার্টিফিকেট যে শুধু কাগজের প্রমাণপত্র, তেমনটা নয়। হ্যাঁ, এই সত্যি এখন হাড়ে হাড়ে বুঝতে পারছেন সৌমিক গায়েন। একসময় তিনিও এই কোর্স করেছিলেন। আর এখন তিনি হাওড়া ডিস্ট্রিক্ট ভলেন্টিয়ার ব্লাড ডোনার্স অ্যাসোসিয়েশনের কো-অর্ডিনেটর হিসেবে দায়িত্ব সামলাচ্ছেন।
ছাত্র-ছাত্রীদের অভিজ্ঞতা
এদিকে সুদীপ্তা আরি নামের এক প্রশিক্ষণরত ছাত্রী বলেছেন, এই প্রশিক্ষণ থেকে শুধুমাত্র সার্টিফিকেট পাওয়া যায় না, বরং কীভাবে সমাজসেবার কাজ করতে হয়, মানুষের পাশে দাঁড়াতে হয়, সেটাও শেখা যায়। চাকরির ক্ষেত্রে এটি বড় প্রাপ্তি। অন্য আরেকজন ছাত্রী জানান, মানুষকে সচেতন করার উপায়, থ্যালাসেমিয়া রোগীদের রক্ত সংগ্রহ, ইত্যাদি বিষয়ে জানা যায় এই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে।
তাই এই তিন দিনের ছোট্ট একটি যাত্রা হয়তো বদলে দিতে পারে কারোর জীবনকে, এমনকি কারোর ভবিষ্যত গড়ে তুলতে পারে। সমাজসেবার মানসিকতা আর কেরিয়ার, এই দুটো একসঙ্গে পেতে চাইলে আজই এই কোর্সে অংশগ্রহণ করা বুদ্ধিমানের কাজ হবে।