মাধ্যমিকে পাশ করলেই টাকা দিচ্ছে সরকার। জানুন কিভাবে আবেদন করবেন ?

By Bangla News Dunia Desk Bappaditya

Published on:

 

Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য সরকার চালু করেছে বেশ কিছু স্কলারশিপ (Scholarship). সরকার ছাড়া বেসরকারি তরফেও স্কলারশিপ চালু হয়েছে। গতকাল মাধ্যমিকের রেজাল্ট প্রকাশ হওয়ার পর ছাত্র-ছাত্রীরা উচ্চশিক্ষার পথে অগ্রসর হবেন। একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণীর ছাড়াও, ভোকেশনাল ফিল্ডে কিংবা পছন্দের কোর্স নিয়ে পড়াশোনা করবেন তাঁরা। তবে মাধ্যমিকে ভালো রেজাল্ট করা ছাত্র-ছাত্রীদের ব্যাঙ্ক একাউন্টে টাকা পাঠাবে সরকার। কিভাবে আবেদন করলে টাকা পাবেন দেখে নিন।

Madhyamik Pass Student Scholarship

পশ্চিমবঙ্গের বহু ছাত্র-ছাত্রী আছেন যাদের ইচ্ছে থাকলেও উচ্চশিক্ষার সামর্থ্য নেই। তাঁদের জন্য রয়েছে মুশকিল আসান স্কলারশিপ। এমনটি সেরা পাঁচটি স্কলারশিপের বিবরণ রইল আজকের এই প্রতিবেদনে। আসুন বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।

১) স্বামী বিবেকানন্দ মেধা-কাম-মিনস স্কলারশিপ

মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের জন্য স্বামী বিবেকানন্দ মেরিট কাম মিনস স্কলারশিপ। যারা উচ্চশিক্ষায় অংশগ্রহণ করতে চান, অথচ আর্থিক কারণে বাধার সম্মুখীন হচ্ছেন তাঁদের জন্য এই বৃত্তি। মাধ্যমিক পাশে এই স্কলারশিপ পাওয়া যায়। স্কলারশিপের টাকা পাওয়ার জন্য শিক্ষার্থীদের মাধ্যমিক পরীক্ষায় অন্ততপক্ষে ৬০% নম্বর পেতে হবে। স্বামী বিবেকানন্দ স্কলারশিপ উচ্চমাধ্যমিক থেকে স্নাতকোত্তর স্তর পর্যন্ত আর্থিক সহায়তা করে। ইঞ্জিনিয়ারিং এবং অন্যান্য পেশাদার কোর্স এতে অন্তর্ভুক্ত আছে। সরাসরি স্কলারশিপটির অফিসিয়াল পোর্টালের দ্বারা আবেদন করতে পারবেন। অক্টোবর-নভেম্বর মাস নাগাদ বৃত্তির জন্য অ্যাপ্লিকেশন জমা নেওয়া হয়।

২) ঐক্যশ্রী বৃত্তি

মাধ্যমিক পাশে আরও একটি জনপ্রিয় বৃত্তি (Madhyamik Pass Scholarship) হল ঐক্যশ্রী স্কলারশিপ। এই বৃত্তিটি প্রদান করা হয় মূলত প্রাথমিক থেকে মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থী দের। এই স্কলারশিপ পরিচালিত হয় পশ্চিমবঙ্গ সংখ্যালঘু উন্নয়ন ও অর্থ কর্পোরেশন (WBMDFC) দ্বারা। পশ্চিমবঙ্গে অধ্যয়নরত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়-এর শিক্ষার্থীরা (মুসলিম, খ্রিস্টান, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন এবং পার্সি) এই স্কলারশিপের দ্বারা উপকৃত হন।

স্কলারশিপের সুবিধা পাওয়ার জন্য, একজন শিক্ষার্থীকে তাঁর সর্বশেষ পরীক্ষায় কমপক্ষে ৫০% নম্বর পেতে হবে। শিক্ষার্থীর বার্ষিক পারিবারিক আয় হতে হবে ২ লক্ষ টাকার কম। এই বৃত্তির মধ্যে অন্তর্ভুক্ত থাকে টিউশন ফি, রক্ষণাবেক্ষণ ভাতা এছাড়াও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা। আরও ডিটেলস পেয়ে যাবেন বৃত্তির অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে।

৩) নবান্ন স্কলারশিপ

সরকার কর্তৃক মাধ্যমিক পাশ ছাত্রছাত্রীদের সাহায্য করার জন্য আরও একটি গুরুত্বপুর্ণ বৃত্তি প্রকল্প হল নবান্ন স্কলারশিপ। এই বৃত্তির সাহায্য পাওয়ার জন্য শিক্ষার্থীকে তাঁর সর্বশেষ পরীক্ষায় অন্ততপক্ষে ৬০% নম্বর পেতে হবে। এছাড়াও, উক্ত শিক্ষার্থীর বার্ষিক পারিবারিক আয় হতে হবে ৬০,০০০ টাকার মধ্যে। বৃত্তির আবেদন জমা দেওয়া যায় সারা বছরের বিভিন্ন সময়। আবেদন জানাতে পারবেন একাদশ শ্রেণী থেকে স্নাতকোত্তর স্তরে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরা। তবে আবেদন জমা দিতে হবে অফলাইনে হাওড়ার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর কার্যালয়ে গিয়ে।

৪) এলআইসি গোল্ডেন জুবিলি স্কলারশিপ

এলআইসি গোল্ডেন জুবিলী স্কলারশিপ আরও একটি জনপ্রিয় বৃত্তি যেটি মাধ্যমিক পাশের পর ছাত্র-ছাত্রীদের আর্থিকভাবে সহায়তা করে থাকে। ভারতীয় বীমা সংস্থা লাইফ ইন্স্যুরেন্স কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া এই বৃত্তি প্রোগ্রামটি পরিচালনা করে। এই বৃত্তির সহায়তা পাওয়ার জন্য শিক্ষার্থীকে ৬০% নম্বর নিয়ে দশম বা দ্বাদশ শ্রেণি পাস করতে হবে। শিক্ষার্থীর পারিবারিক বার্ষিক আয় হতে হবে ২.৫ লক্ষ টাকার মধ্যে। যারা দশম শ্রেণী করে এখন এখন একাদশ শ্রেণীতে পড়ছেন তাঁদের ১৫,০০০ টাকার বৃত্তি সাহায্য করা হয়। বৃত্তির জন্য আবেদন জমা করা যাবে অনলাইনে। আরও ডিটেলস জানতে অফিসিয়াল ওয়েবসাইট দেখুন।

উপসংহার: মাধ্যমিক পাশে ছাত্র-ছাত্রীদের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিচ্ছে একদিকে সরকার ও অন্যদিকে বেসরকারি সংস্থা। আপনারা যারা এই বছর মাধ্যমিক পরীক্ষায় পাশ করলেন তাঁরা উক্ত মাধ্যমিক পাশে স্কলারশিপগুলির জন্য আবেদন জমা করতে পারেন। প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে ডিটেলস পেয়ে যাবেন স্কলারশিপের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে।

আরও পড়ুন:- এই ৩ খাবার খেলেই বাড়ে ফ্যাটি লিভারের ঝুঁকি

আরও পড়ুন:- দিনভর মোবাইলে বুঁদ, শিরদাঁড়া বেঁকে গেল যুবকের । জানতে বিস্তারিত পড়ুন

 

Bangla News Dunia Desk Bappaditya

মন্তব্য করুন