Bangla News Dunia , দীনেশ :- মুর্শিদাবাদে ওয়াকফ হিংসায় (Murshidabad violenc) পুরোপুরি নিষ্ক্রিয় ছিল পুলিশ (Police)। এমনকি এর পেছনে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলের একাধিক নেতার প্ররোচনাও ছিল। বুধবার আদালত গঠিত কমিটির এমনই রিপোর্ট প্রকাশ্যে এসেছে। মুর্শিদাবাদে ওয়াকফ বিরোধিতার নামে কয়েক দিন ধরে যে অশান্তির ঘটনা ঘটে তার তদন্তে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court) একটি কমিটি গঠন করে দেয়। যেই কমিটির সদস্য জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের রেজিস্ট্রার যোগিন্দর সিং, রাজ্য জুডিশিয়ার সার্ভিসেসের সচিব অর্ণব ঘোষাল ও রাজ্য জুডিশিয়াল সার্ভিসেসের রেজিস্ট্রার সৌগত চক্রবর্তী। এই কমিটি মুর্শিদাবাদে হিন্দুদের উপর আক্রমণকে পূর্ব পরিকল্পিত বলে আখ্যা দিয়েছে। রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, পুলিশ সম্পূর্ণভাবে নিষ্ক্রিয় ছিল। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে কিছুই করেনি তাঁরা।
আরও পড়ুন:- প্রায় বারো হাজার শূন্যপদে নিয়োগ করছে এনটিপিসি, বেতন ৩৫,৪০০ টাকা। শীঘ্রই আবেদন করুন
আরও পড়ুন:- এই শেয়ারের দাম টানা ৫ দিন ধরে বেড়ে চলেছে, ১৮৯% মুনাফা বৃদ্ধি। জেনে নিন
রিপোর্টে ধুলিয়ান পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান মেহেবুব আলমের নাম মূল ‘দোষী’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। হামলাকারীদের সঙ্গে তাঁর সরাসরি যোগাযোগ ছিল বলে দাবি করা হয়েছে। একই সঙ্গে এও উল্লেখ করা হয়েছে, তৃণমূলের জনপ্রতিনিধিদের ভূমিকাও রিপোর্টে সমালোচিত হয়েছে। পুলিশের ভূমিকা নিয়েও কাটাছেঁড়া করা হয়েছে এই ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটির রিপোর্টে। এলাকায় যখন হিংসা ছড়িয়ে পড়ে, যখন দোকান, বাড়ি ভাঙচুর করা হচ্ছে, সেই সময় পুলিশ দর্শকের ভূমিকায় ছিল। হিংসা আটকাতে কোনও রকম চেষ্টাই করেনি। হিংসায় শুধুমাত্র বেতবোনা গ্রামেই ১১৩টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যদিও এই রিপোর্ট অস্বীকার করে গোটাটাই বিজেপির (BJP) ষড়যন্ত্র বলে দাবি করেছেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ।
আরও পড়ুন:- প্রস্টেট ক্যান্সার বাড়ছে, এই মারণ রোগের উপসর্গ কী? এক ক্লিকে জেনে নিন
আরও পড়ুন:- ভারতের কঠোর পদক্ষেপে বাংলাদেশের ক্ষতি ৯৩৬৭ কোটি টাকা, বিস্তারিত জেনে নিন