যাদের ২০০৮-এর পর জন্ম তাদের পাকস্থলীর ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ছে, আর কী উঠে এল গবেষণায়? জেনে নিন

By Bangla News Dunia Desk Bappaditya

Published on:

Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- গোটা বিশ্বে বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সারে মৃত্যুর যে হার, তার মধ্যে সংখ্যার নিরিখে প্রথমদিকেই থাকে ওরাল ক্যান্সার, ব্রেস্ট ক্যান্সার বা ফুসফুসে ক্যান্সার। তবে পাকস্থলীর ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যাও নেহাত কম নয়। ‘নেচার মেডিসিন’ প্রত্রিকায় সম্প্রতি নতুন একটি গবেষণার রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে। যা ভয় বাড়িয়ে তুলতে বাধ্য। বলা হচ্ছে, ২০০৮ থেকে ২০১৭ সালের মধ্যে জন্মগ্রহণকারী ১ কোটি ৫৬ লক্ষেরও বেশি মানুষ পাকস্থলীর ক্যান্সারে আক্রান্ত হতে পারেন।

কী ভাবে হয় গবেষণা?

প্রত্যাশিত এবং প্রতিরোধযোগ্য গ্যাস্ট্রিক ক্যান্সারের উপর একটি গবেষণা করা হয় ১৮৫টি দেশে। ইন্টারন্যাশনাল এজেন্সি ফর রিসার্চ অন ক্যান্সার (IARC)-এর বিজ্ঞানীরা এই গবেষণাটি করেন। রাষ্ট্রপুঞ্জের ডেমোগ্রাফিক প্রোজেকশন অনুযায়ী ২০০৮ থেকে ২০১৭ সালের মধ্যে জন্মগ্রহণকারী কতজন মানুষের পাকস্থলীর ক্যান্সার হতে পারে — তা নিয়ে গবেষণা করা হয়।

কী উঠে এল গবেষণায়?

গবেষণায় উঠে এসেছে, এই সময়ের মধ্যে জন্মগ্রহণকারীদের মধ্যে ১ কোটি ৫৬ লক্ষেরও বেশি মানুষ পাকস্থলীর ক্যান্সারে আক্রান্ত হতে পারেন। যাঁদের মধ্যে বেশিরভাগই হবেন এশিয়া মহাদেশের বাসিন্দা। এশিয়ার মধ্যে ভারতে আক্রান্তের সংখ্যা বেশি থাকবে। নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা উন্নত না করা হলে ভারতেই ১৬ লক্ষেরও বেশি আক্রান্ত হতে পারেন।

কী কারণে হবে এই মারণ রোগ?

গবেষকদের মতে, এই রোগে আক্রান্তদের ৭৬ শতাংশেরই সাধারণ পাকস্থলীর ব্যাকটেরিয়া হেলিকোব্যাক্টর পাইলোরি (H. pylori) সংক্রমণের কারণে হবে। এইচ. পাইলোরি প্রায়শই কোনও লক্ষণ প্রকাশ করে না। দীর্ঘমেয়াদী সংক্রমণ হলে আলসার এবং পরবর্তী কালে তা ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলতে পারে। এই ব্যাকটেরিয়া সাধারণত শৈশবে সংক্রমিত হয়। যদি চিকিৎসা না করা হয়, তবে কয়েক দশক ধরে স্থায়ী হতে পারে। তবে গবেষণায় উল্লেখ করা হয়েছে, অ্যান্টিবায়োটিক এবং অ্যাসিড-দমনকারী ওষুধের একটি সহজ কোর্সের মাধ্যমে এটি প্রতিরোধযোগ্য এবং নিরাময়যোগ্য।

কেন এটি বিপজ্জনক?

পাকস্থলীর ক্যান্সার বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বয়স্ক বা প্রাপ্তবয়স্কদের রোগ বলে মনে করা হতো। সেই ধারণা ভেঙে যেতে পারে। তরুণদের মধ্যে এই রোগ দেখা যেতে পারে। বয়স্কদের মধ্যে এই রোগে আক্রান্তের সংখ্যা আরও বাড়বে। স্বাভাবিকভাবে, বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্য পরিষেবার উপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করতে পারে।

গবেষকরা জানিয়েছেন, এইচ. পাইলোরির স্ক্রিনিং করার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। ক্যান্সারে পরিণত হওয়ার আগে সংক্রমণের প্রাথমিক চিকিৎসা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য জনস্বাস্থ্য প্রচার দরকার। জাপান এবং দক্ষিণ কোরিয়ার মতো দেশগুলিতে ইতিমধ্যেই স্ক্রিনিং প্রোগ্রাম রয়েছে এবং পাকস্থলীর ক্যান্সারের হার কমাতে অনেকটাই সফল হয়েছে।

আরও পড়ুন:- সরকারি কর্মীদের জন্য সুখবর! বেতন বাড়তে চলেছে ৩০-৪০ শতাংশ।

Bangla News Dunia Desk Bappaditya

মন্তব্য করুন