Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- ১০ মে ২০২৫, শনিবার — সন্ধ্যা ৫টায় ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছিল। এই সিদ্ধান্তে পৌঁছানো হয়েছিল মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক মধ্যস্থতাকারীদের হস্তক্ষেপে। কিন্তু যুদ্ধবিরতির মাত্র ৩ ঘণ্টা পরই পাকিস্তানি সেনাবাহিনী আবারও পুরনো অভ্যাসে ফিরে যায়। জম্মু ও কাশ্মীর, রাজস্থান এবং গুজরাট সীমান্তবর্তী অঞ্চলে হঠাৎ করেই গুলিবর্ষণ শুরু করে পাকিস্তান।
ভারতের সেনাবাহিনী জানিয়েছে, রাত ৮টা থেকে সীমান্তে একাধিক স্থানে গোলাবর্ষণ চালানো হয় এবং ৪টি সন্দেহভাজন ড্রোন বারামুলা, কুপওয়াড়া ও রাজৌরির আকাশসীমায় প্রবেশ করলে ভারতীয় সেনা সেগুলি গুলি করে নামিয়ে দেয়।
ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিস্রি এক প্রেস কনফারেন্সে বলেন, “সন্ধ্যা ৫টায় যুদ্ধবিরতি শুরু হলেও রাত ৮টার মধ্যেই পাকিস্তান সেটা লঙ্ঘন করে। আমরা কূটনৈতিকভাবে এ বিষয়ে কড়া বার্তা দিয়েছি। আগামী ১২ মে ভারত ও পাকিস্তানের কর্মকর্তাদের মধ্যে ফের আলোচনা হবে।”
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল অসীম মুনির দেশের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক সংকট আড়াল করতে সীমান্তে উত্তেজনা বাড়ানোর চেষ্টা করছেন। সেনাবাহিনীর মধ্যেই এখন মতবিরোধ দেখা দিয়েছে, এবং অসীম মুনিরের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক ফায়দা তোলার অভিযোগ উঠেছে।
উল্লেখ্য, ৭ মে শুরু হওয়া ভারতীয় সেনাবাহিনীর “অপারেশন সিন্ধুর”-এ পাকিস্তানের একাধিক জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংস হয়। এতে পাকিস্তান চরম চাপে পড়ে, এবং আন্তর্জাতিক চাপের মুখে যুদ্ধবিরতি মেনে নিতে বাধ্য হয়। কিন্তু বাস্তবে তারা এখনো সন্ত্রাসী কার্যকলাপ ও আগ্রাসন বন্ধ করেনি। বর্তমানে সীমান্তে ভারতের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে এবং সেনাবাহিনী পূর্ণ সতর্কতায় রয়েছে।
১০ মে সন্ধ্যা ৫টায় যুদ্ধবিরতি হলেও ৩ ঘণ্টার মধ্যেই সীমান্তে গোলাবর্ষণ শুরু করে পাকিস্তান। জম্মু ও কাশ্মীর সীমান্তে ৪টি ড্রোন গুলি করে নামায় ভারতীয় সেনা। বিশ্লেষকরা বলছেন, পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ সংকট থেকেই এই আগ্রাসন।