Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- পুরীতে রথযাত্রা উৎসবে অঘটন। জগন্নাথদেবের মাসির বাড়ি অর্থাৎ গুণ্ডিচা মন্দিরের কাছে ভয়াবহ দুর্ঘটনা। মাত্রাতিরিক্ত ভিড়ে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হল ৩ ভক্তের। আহত আরও একাধিক। ঘটনা ঘিরে তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে জগন্নাথধামে।
সংবাদসংস্থা পিটিআই-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, রবিবার ভোর ৪টে থেকে সাড়ে ৪টের মধ্যে এই দুর্ঘটনাটি ঘটে গুণ্ডিচা মন্দিরের কাছে শারধাবলিতে। জগন্নাথ দর্শনের জন্য রথযাত্রা উৎসবে সামিল হতে দূরদূরান্ত থেকে লক্ষ লক্ষ ভক্তের সমাগম হয়েছে পুরীতে। অতিরিক্ত ভিড়ের চাপে পদপিষ্ট পরিস্থিতি তৈরি হয় জগন্নাথধামে। পদপিষ্ট হয়ে পড়েন অনেকে। তাঁদের মধ্যে মৃত্যু হয় ৩ জনের। মৃতরা হলেন বলাগড়ের বাসন্তী সাহু, খুরদা জেলার বালিপাটনার প্রেমাকান্ত মোহান্তি এবং প্রভাতী দাস। আহত হয়েছেন আরও অনেকে। তাঁদের উদ্ধার করে নিকটবর্তী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ভিড় নিয়ন্ত্রণ করতে পুলিশ-প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
প্রসঙ্গত, পুরীতে জগন্নাথের রথযাত্রা দেখার জন্য প্রতি বছর হাজার হাজার মানুষ ভিড় করেন। চলতি বছরে রথযাত্রায় পুরীতে ১০ থেকে ১৫ লক্ষ মানুষের সমাগম হয়। রথযাত্রার দিনে ভিড় এবং ধাক্কাধাক্কিতে বহু ভক্ত অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছিল। এমনকী, ভিড়ের চাপে জগন্নাথদেবের তালধ্বজ রথের চাকাও বেশিদূর এগোতে পারেনি।
গোটা ঘটনা প্রসঙ্গে পুরী জেলা সদর হাসপাতালের SDMO অক্ষয় সতপথি জানান, পদপিষ্টের ঘটনায় ১০ থেকে ১১ জন আহত হয়েছেন। এঁদের মধ্যে ৬ জনের অবস্থা গুরুতর। তাঁদের চিকিৎসা করা হচ্ছে। তবে মৃত্যু নিয়ে তিনি কোনও মন্তব্য করেননি। পুরীর জেলাশাসক সিদ্ধার্থ এস সোয়াইন জানান, গুণ্ডিচা মন্দিরের সামনে এদিন ভোরে জগন্নাথদেবের দর্শনের জন্য অতিরিক্ত ভক্ত সমাগম হয়েছিল। সেই ভিড়ের চাপেই এই দুর্ঘটনা বলে উল্লেখ করেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘কীভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে বেরিয়ে গেল, কোনও ভাবে ভিড় নিয়ন্ত্রণে গাফিলতি ছিলস কি না, তা খতিয়ে দেখতে তদন্ত শুরু হয়েছে।’ অন্যদিকে, পুরীর অতিরিক্ত SP সুশীল মিশ্র জানান, ঘটনায় ১১ জন আহত হলেও তাঁরা এখন প্রায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন। গোটা ঘটনার প্রেক্ষিতে তদন্ত হবে। তবে তাঁরা এখনও হতাহতের কোনও খবর পাননি বলেই মন্তব্য এই পুলিশ আধিকারিকের।
আরও পড়ুন:- বর্ষায় ফুচকা খেতে ইচ্ছে হলে সাবধান, এটা না জানলে ভয়ঙ্কর বিপদ হতে পারে