Bangla News Dunia, দীনেশ :- প্রেসিডেন্ট এবং রাজ্যপালকেও কি সময়সীমা বা ডেডলাইনের আওতায় আনা যায়? সুপ্রিম কোর্টের কাছে চিঠি লিখে সেই প্রশ্নের উত্তর চাইলেন দেশের রাষ্টপতি দ্রৌপদী মুর্মু। প্রসঙ্গত, এক মাস আগেই তামিলনাড়ু মামলার রায় দিতে গিয়ে বিলে অনুমোদন দেওয়া নিয়ে রাজ্যপালের পাশাপাশি রাষ্টপতিকেও সময়সীমা বেধে দিয়েছিল শীর্ষ আদালত। সেই নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতোরের মাঝেই শীর্ষ আদালতকে এই চিঠি লিখলেন রাষ্ট্রপতি। উল্লেখ্য, সংবিধানের ১৪৩ নং অনুচ্ছেদের অধীনে গুরুত্বপূর্ণ আইনি বিষয় নিয়ে আদালতের সঙ্গে পরামর্শের অধিকার দেওয়া হয়েছে রাষ্ট্রপতিকে। সেই আইনের অধিকারেই সুপ্রিম কোর্টকে এই চিঠি লিখেছেন রাষ্ট্রপতি। চিঠিতে ১৪ দফা প্রশ্নের উত্তর চেয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন:- নির্বিচারে কেটে ফেলা হচ্ছে ২৮ লক্ষ নারকেল গাছ, কারণ জানলে অবাক হয়ে যাবেন
গত এপ্রিল মাসে তামিলনাডুর ডিএমকে সরকার এবং রাজ্যপাল আর এন রবির মধ্যে স্থগিত বিল নিয়ে বিবাদের সমাধানের জন্য আদালতের বিশেষ ক্ষমতা প্রয়োগ করেন বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা এবং বিচারপতি আর মহাদেবনের বেঞ্চ। তালিনাড়ুর আইনসভায় পাস হওয়া ১০ টি বিল রাজ্যপাল ‘বেআইনি’ ভাবে স্থগিত রেখেছেন বলে জানান তাঁরা। দ্বিতীয়বারের জন্য আইনসভা কর্তৃক পাস হওয়া বিলগুলি অনুমোদনের জন্য রাষ্ট্রপতি এবং রাজ্যপালকে ৩ মাসের সময়সীমাও বেধে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন:- বিষাক্ত ভেজাল নুন খাচ্ছেন না তো? এই ভাবে জল দিয়ে পরীক্ষা করে নিতে পারেন
আর এই প্রেক্ষিতেই রাষ্ট্রপতি প্রশ্ন করেছেন, ‘ভারতের সংবিধানের ২০০ অনুচ্ছেদের অধীনে একটি বিল পেশ করার সময় রাজ্যপাল কি মন্ত্রী পরিষদের সাহায্য ও পরামর্শ মেনে চলতে বাধ্য?’ তিনি সংবিধানের ৩৬১ অনুচ্ছেদের কথাও উল্লেখ করেন যেখানে বলা হয়েছে যে, রাষ্ট্রপতি বা রাজ্যপাল তাঁর ক্ষমতা এবং কর্তব্য পালনের জন্য কোনও আদালতের কাছে জবাবদিহি করতে বাধ্য থাকবেন না। সংবিধানে যখন কোনও নির্দিষ্ট সময়ের উল্লেখ নেই সেখানে বিচারবিভাগীয় নির্দেশ দিয়ে রাজ্যপাল এবং রাষ্ট্রপতিকে ‘ডেডলাইন’-এর আওতায় আনা যায় কিনা শীর্ষ আদালতের কাছে সেই ব্যাখ্যাও চেয়েছেন রাষ্ট্রপতি।
আরও পড়ুন:- কর্নেল কুরেশিকে ‘জঙ্গিদের বোন’ তকমা বিজেপি নেতার, জানতে বিস্তারিত পড়ুন