Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- টানা বৃষ্টিতে বন্যা পরিস্থিতি পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার বিভিন্ন এলাকায়। শিলাবতী নদীর জলে প্লাবিত গড়বেতা-১ নং ব্লকের ১১টি গ্রাম পঞ্চায়েত ও গড়বেতা-২ নং ব্লকের ৩টি গ্রাম পঞ্চায়েত। বন্যা পরিস্থিতি চন্দ্রকোনা-সহ ঘাটাল মহকুমার বিভিন্ন জায়গায়। নদীর জলস্তর বেড়ে যাওয়াতে জলের তলায় চলে গিয়েছে একাধিক বাঁশ ও কাঠের সেতু। তাতেই বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে যোগাযোগ। অপরদিকে, জল বেড়ে যাওয়াতে নদীবাঁধ মেরামতের কাজ বন্ধ হয়ে গিয়েছে। জলের তলায় মেশিনপত্র। বাঁধ ভাঙার আশঙ্কায় নদীপাড়ের বাসিন্দাদের।
চৈতন্যপুর এলাকায় শিলাবতী নদীর ওপর দিয়ে যাতায়াতকারী গুরুত্বপূর্ণ কাঠের সাঁকো, কেশাডাল, নিত্যানন্দপুর, ঘোষকিরা-সহ বিভিন্ন এলাকার যাতায়াতের সাঁকোগুলি জলের তলায়। শিলাবতী নদীর জল হু হু করে বাড়তে শুরু করেছে, এতেই বাড়ছে নদীপাড়ের এলাকার মানুষদের দুশ্চিন্তা।
শিলাবতী ছাড়া কেঠিয়া ও কানা নদীর জল ফুলে ফেঁপে উঠেছে। এইসব নদীর দুর্বল বাঁধের অবস্থা নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় বাসিন্দারা। যে কোনও মুহুর্তে ভেঙে যেতে পারে নদী বাঁধ। শিলাবতী নদী তীরবর্তী কয়েকশ বিঘা জমি জলের তলায় চলে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন:- চালু হয়ে গেলো AC লোকাল ট্রেন, কোথায় কোথায় স্টপেজ? ভাড়া কত?
এমনই অবস্থা চন্দ্রকোনার ধরমপোতা,ঘোষকিরা এলাকায় শিলাবতী ও কানা নদীর বাঁধের।এই এলাকায় নদী বাঁধ মেরামতের কাজ চলছিল সেচ দপ্তরের,নদীর জল বাড়ায় জলের তলায় বাঁধ মেরামতের মেশিনপত্র।এই এলাকায় দুর্বল নদীবাঁধে বৃষ্টির জল কানায় কানায়,বাঁধ ভাঙলে জলের তলায় চলে যেতে পারে ঘোষকিরা সহ একাধিক গ্রাম,নষ্ট হবে বিঘার পর বিঘা জমির ফসল,ফলে বর্ষার শুরুতেই লাগাতার ভারি বৃষ্টিতে ঘুম উড়েছে চন্দ্রকোনার নদীপাড়ের বাসিন্দাদের।
অন্যদিকে, বাঁকুড়া ঝাড়গ্রাম রাজ্য সড়কে শিলাবতী নদীর উপরে সিমলাপাল সেতুর উপর দিয়ে জল বইতে শুরু করেছে। ফলে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায় বাঁকুড়া ঝাড়গ্রাম রাজ্য সড়কে। সেতু পারাপার করতে গিয়ে জলের আটকে যায় তিনটি ট্রাক। চালক ও খালাসিদের উদ্ধার করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ভারী বৃষ্টিতে শিলাবতী নদীর জলে ডুবেছে ভেলাইডিহা সেতুও।
আরও পড়ুন:- ঝাড়খণ্ডে অতিবৃষ্টির কারণে জল ছাড়া শুরু করল ডিভিসি, বাংলা কি এর ফল ভুগবে ?