Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- সুপ্রিম কোর্টের ডেডলাইন পার হল। রাজ্য সরকারের তরফে এল না ডিএ সংক্রান্ত কোনও ইতিবাচক বিবৃতি। উল্টে আরও সময় চেয়ে ডিএ না দেওয়ার টালবাহানা করছে রাজ্য? সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মতো ২৫% বকেয়া দেওয়ার নির্দেশ কার্যকর হয়নি। যে কারণে আদালত অবমাননার নোটিস পাঠাচ্ছেন আন্দোলনকারীরা।
ডিএ মামলায় রাজ্যের মুখ্যসচিব এবং অর্থসচিবকে নোটিস পাঠাচ্ছেন আন্দোলনকারীরা। এদিন রাজ্য সরকার চিঠি পাঠিয়ে তাতে সুপ্রিম কোর্টের অন্তর্বর্তী রায় কার্যকর করার জন্য সময় চেয়েছে। এখনই DA-র টাকা দেওয়া সম্ভব নয়, আরও ছয় মাস সময় লাগবে বলে জানানো হয়েছে।
এদিন সরকারি কর্মচারী পরিষদের সভাপতি দেবাশিস শীল বলেন, “আজ রাজ্য সরকার সুপ্রিম কোর্টের ডিএ মামলায় আমাদের সংগঠন সরকারী কর্মচারী পরিষদ সহ সব রেসপন্ডেন্টদের কাছে চিঠি দিয়ে সুপ্রিম কোর্টের অন্তর্বর্তী রায় কার্যকর করার জন্য সময় চেয়েছেন। কারণস্বরূপ যে সব যুক্তি রাজ্য সরকার দেখিয়েছে, তার সারবস্তু নেই। আদালত অবমাননার দায় এড়ানোর কৌশল হিসেবে এই চিঠি বলে আমরা মনে করি। বিশেষ করে প্রায় দশ বছর ধরে চলা এই মামলায় এখন রাজ্য সরকার ২৫ শতাংশ বকেয়া ডিএ মিটিয়ে দেবার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে ঋণ নেওয়ার গল্প শোনানোর থেকে এটা পরিষ্কার। আমরা এই আবেদনের সর্বাত্মক বিরোধিতা করব। সুপ্রিম কোর্টের ডেডলাইন মেনে ডিএ দেওয়া হয়নি। তাই মামলাকারীদের তরফে অবমাননার নোটিস দেওয়া হচ্ছে নোটিস।”
এই আবেদনেই রাজ্য সরকারি কর্মীদের দাবি নিয়েও প্রশাসন লিখিত আবেদন জানিয়েছে। তাতে যুক্তি দেওয়া হয়েছে, কেন্দ্রের হারে ডিএ দেওয়ার দাবি জানাতে পারেন না রাজ্য সরকারের কর্মীরা। রাজ্যের আর্থিক সমস্যার কথাও উল্লেখ করা হয়েছে ওই আবেদনে। কেন্দ্রের থেকে ঋণের জন্য আবেদন করতে পারে রাজ্য সরকার। এসব পদক্ষেপকে আদালত অবমাননা থেকে বাঁচানোর ছক বলে দাবি করছেন আন্দোলনকারীরা।
প্রসঙ্গত, গত ১৬ মে বকেয়া ডিএ-র ২৫ শতাংশ দিয়ে দিতে নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সঞ্জয় করোল এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রের বেঞ্চ। রাজ্যের আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি বলেছিলেন, এটা বিপুল পরিমাণ টাকা। এই টাকা দিতে হলে রাজ্য সরকারের কোমর ভেঙে যাবে। রাজ্যের তরফে আরও জানানো হয় যে, ডিএ পাওয়া কোনও অধিকার নয়। সাংবিধানিক অধিকার নয়। সম্ভব নয় এটা। এর পাল্টা শীর্ষ আদালত জানায় যে, বকেয়া ডিএ-র ২৫ শতাংশ দিতে হবে। মামলার পরবর্তী শুনানির দিন অগাস্ট মাসে ধার্য করা হবে বলেও জানান বিচারপতি সঞ্জয় করোল। মামলার পরবর্তী শুনানির দিন অগাস্ট মাসে ধার্য করা হতে পারে বলেও জানিয়েছিলেন বিচারপতি সঞ্জয় করোল।
আরও পড়ুন:- ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের জন্য টাকা নেই, নবান্নকে সাফ জানাল কেন্দ্র।