Bangla News Dunia, Pallab : ভারতের ক্ষেপনাস্ত্রে ক্ষতিগ্রস্ত নূর খান বিমানঘাঁটি এবং অন্যান্য স্থান। একথা স্বীকার করে নিলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ (Shehbaz Sharif)! শুক্রবার পাকিস্তান (Pakistan) মনুমেন্টে একটি অনুষ্ঠানে গিয়ে নাকি এমনটাই জানিয়েছেন শরিফ।
আরও পড়ুন : সিভিক ভলেন্টিয়ার চাকরি ২০২৫ – কীভাবে আবেদন করবেন ও শেষ তারিখ জানুন
জিও নিউজকে উদ্ধৃত করে এক সংবাদসংস্থা জানিয়েছে, পাক প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, পাকিস্তানের সেনাপ্রধান আসিম মুনির (Asim Munir) ১০ মে রাত আড়াইটা নাগাদ তাঁকে ফোন করে জানান, যে ভারতের ক্ষেপনাস্ত্র নূর খান বিমানঘাঁটিতে আঘাত হেনেছে। নূর খান একটি গুরুত্বপূর্ণ বিমানঘাঁটি, যা পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা বাহিনীর রসদ সরবরাহে সহায়তা করে। পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদ (Islamabad) থেকে এটি মাত্র ১০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। শরিফ আরও জানান যে, আক্রমণের জবাব দিতে পাকিস্তান বিমানবাহিনী চিনা বিমানগুলিতে দেশীয় প্রযুক্তি এবং আধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহার করেছে। তবে, একথা বলাই যায় যে শরিফ একপ্রকার স্বীকার করে নিয়েছেন যে ভারতের ক্ষেপণাস্ত্রগুলি তাদের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করেছে।
প্রসঙ্গত, ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলায় (Pahalgam Terror Attack) প্রাণ হারিয়েছেন ২৬ জন। এরপরই একাধিক পদক্ষেপ করেছে ভারত সরকার। সন্ত্রাস দমনে গত ৬ মে গভীর রাতে ‘অপারেশন সিঁদুর’ (Operation Sindoor)-এ নামে ভারতীয় সেনা। পাক ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের ৯টি জঙ্গিঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। প্রায় ১০০ জন জঙ্গির মৃত্যুর কথা জানা যায়। ভারত বারবার বলেছে, এই অভিযান কেবলমাত্র সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে। কিন্তু পালটা আঘাত হানে পাকিস্তান। গোলাবর্ষণ শুরু করে। জম্মু ও কাশ্মীর, রাজস্থান সহ ভারত-পাক সীমান্তে ড্রোন, মিসাইল ছোড়া হয়। তবে ভারতের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সেই আক্রমণ সফলভাবে প্রতিহত করেছে বলে জানিয়েছে ভারতীয় সেনা।
ভারত জানিয়েছিল, পাকিস্তানের কেবল জঙ্গিঘাঁটিগুলিকেই তারা নিশানা করেছে। সাধারণ মানুষের ক্ষতি যথাসম্ভব এড়ানো হয়েছে। তবে পাকিস্তান পালটা অভিযোগ করে, ভারত হামলা চালিয়েছে তাদের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে, যাতে অনেক সাধারণ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। শরিফের দাবি, ভারতের এই হামলার পর পাকিস্তান ‘আবশ্যক এবং পরিমিত’ জবাব দিয়েছে। ভারতের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের পালটা অভিযানের নাম দেওয়া হয় ‘অপারেশন বুনিয়ান-আন-মারসুস’, যার অর্থ ‘শিসার তৈরি কঠিন কাঠামো’ বা ‘অভেদ্য দেওয়াল’। ওই দিনের পর থেকে ভারত-পাক সীমান্তে টানা সংঘর্ষ চলেছে। ১০ মে বিকেলে দুই দেশ সংঘর্ষবিরতিতে সম্মত হয়। আপাতত সীমান্ত এবং নিয়ন্ত্রণরেখায় পরিস্থিতি শান্তিপূর্ণ রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে শরিফের এমন মন্তব্য তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।