রেপো রেট কমালো RBI, গৃহঋণ সহ সব লোনের EMI অনেকটা কমবে?

By Bangla News Dunia Desk Bappaditya

Published on:

Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- রেপো রেট কমিয়েছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া(Reserve Bank of India)। ৫০ বেসিস পয়েন্ট কমিয়ে রেপো রেট দাঁড়িয়েছে 5.5%। এর ফলে কি আপনার লোনের বোঝা কিছুটা কমবে? আগের তুলনায় কি কিছুটা কম EMI দিতে হবে? আসুন জেনে নেওয়া যাক…

রেপো রেট কী?
সবার আগে জেনে নেওয়া যাক রেপো রেট কী। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (RBI) বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলিকে যে রেটে টাকা ধার দেয়, তাকেই রেপো রেট বলে।

বাণিজ্যিক ব্যাঙ্ক, যেমন SBI, HDFC, PNB-এরা রিজার্ভ ব্য়াঙ্কের কাছে সরকারি সিকিউরিটি জমা রেখে, শর্ট-টার্ম ব্যবহারের জন্য় এই লোন নিয়ে থাকে।

REPO-র পুরো অর্থ হল, ‘রিপারচেজিং অপশন রেট’।

রেপো রেট ও সুদের সম্পর্ক কী?
রেপো রেট বাড়লে, ব্যাঙ্কের ঋণ নেওয়ার খরচ বাড়ে। অর্থাৎ, সুদবাবদ তাদের বেশি টাকা দিতে হয়। এই বাড়তি খরচ সামলাতে বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলিও পাল্টা গ্রাহকদের যে লোন দেয়, তাতে সুদের হার বাড়ায়।

রেপো রেট কমলে ঠিক উল্টোটা হয়। ব্যাঙ্কের সুদবাবদ খরচ কমে। ফলে তারা গ্রাহকদের লোনের ইন্টারেস্ট কিছুটা কমায়। বলাই বাহুল্য, এতে গ্রাহকদের লাভ হয়।

রেপো রেট কমলে কি EMI-ও কমবে?
এবার লাখ টাকার প্রশ্নটায় আসা যাক। রেপো রেট কমা মানে ব্যাঙ্কের লোনে সুদের হার কমবে। কিন্তু যাঁরা আগেই লোন নিয়ে রেখেছেন, মাসে-মাসে EMI দিচ্ছেন, তাঁদের কি কোনও লাভ হবে?

এক্ষেত্রে ২টি ব্যাপার হতে পারে। আপনার যদি লোন নেওয়ার সময়ে ‘ফ্লোটিং ইন্টারেস্ট’ অপশন বেছে নেওয়া থাকে, সেক্ষেত্রে অবশ্যই EMI কমবে। সাধারণত লং টার্ম বিনিয়োগ, যেমন হোম লোনের ক্ষেত্রে এই ফ্লোটিং ইন্টারেস্টের অপশন থাকে। অনেকক্ষেত্রে মাসিক EMI এক রেখেই, লোনের মেয়াদ কমিয়ে দেয় ব্যাঙ্ক। অর্থাৎ, এই রেট চলতে থাকলে আপনি সময়ের বেশ কয়েক মাস আগেই লোন মিটিয়ে দিতে পারবেন।

তবে এই ধরনের ঋণের ক্ষেত্রে সমস্যা একটাই। রেপো রেট বাড়লে, ব্যাঙ্কও ইন্টারেস্ট রেট বাড়াবে। সেক্ষেত্রে ফের আপনার EMI বেড়ে যেতে পারে।

অন্যদিকে ফিক্সড রেটে লোন নিলে এসবের কোনও প্রশ্নই নেই। লোন স্যাংশান হওয়ার সময়ে যে ইন্টারেস্ট রেট ছিল, সেটাই আপনার সম্পূর্ণ মেয়াদকালে চালু থাকবে।

আরও পড়ুন:- কাঁঠাল খাজা নাকি মজা? বাইরে থেকে দেখে এভাবে চিনবেন

Bangla News Dunia Desk Bappaditya

মন্তব্য করুন