রেশনের মাধ্যমে জগন্নাথের মহাপ্রসাদ পৌঁছে যাবে ঘরে ঘরে, কটাক্ষ শুভেন্দুর

By Bangla News Dunia Desk Bappaditya

Published on:

Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- দিঘার জগন্নাথের মহাপ্রসাদ বিতরণ নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে বিতর্ক চলছে । সেই বিতর্ক উসকে দিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী । সরকারের তরফ থেকেও পালটা জবাব দেওয়া হয়েছে । আর এসবের মধ্যেই গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সামনে এল ৷ রাজ্য বলেছে, রেশনের মাধ্যমেই জগন্নাথের মহাপ্রসাদ ঘরে ঘরে পৌঁছবে ৷ এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন রেশন ডিলাররা ৷ তবে তাঁরা বলছেন, বিনা পারিশ্রমিকে তাঁরা জগন্নাথের প্রসাদ বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেবেন ।

প্রসঙ্গত, সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জগন্নাথ মহাপ্রভুর মহাপ্রসাদ এবার পৌঁছে দেওয়া হবে রাজ্যের প্রতিটি বাড়িতে । দিঘার জগন্নাথ মন্দিরে প্রভুকে নিবেদন করা খোয়া ক্ষীর মিলবে প্যাঁড়া ও গজার সঙ্গে । এবং এই পুণ্যপ্রসাদ বিলি করতে কোনও ভর্তুকি বা পারিশ্রমিক নেবেন না বলে জানিয়েছেন রাজ্যের রেশন ডিলাররা । রেশন দোকানদারদের সর্বভারতীয় সংগঠনের পশ্চিমবঙ্গ শাখা জানাচ্ছে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাবনা মেনেই তাঁরা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, সরকারের তরফে বরাদ্দ করা এক টাকা প্রতি প্যাকেটের ভর্তুকিও তাঁরা নেবেন না ।

সরকার ইতিমধ্যেই স্থির করেছে, 17 জুন থেকে দিঘার মন্দিরে নিবেদন করা খোয়া ক্ষীর সহযোগে মহাপ্রসাদ রাজ্যের বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেওয়া হবে । রাজ্য সরকার ঠিক করেছে, উলটোরথের মধ্যেই এই প্রসাদ বিলির কাজ শেষ করা হবে । সেই লক্ষ্যে শুরু হয়েছে প্রস্তুতি । এক্ষেত্রে রাজ্য সরকার সরাসরি ফেয়ার প্রাইস শপ ডিলারদের সংযুক্ত করেছে । এবার রেশনের মাধ্যমেই এই মহা প্রসাদ বাড়ি বাড়ি পৌঁছাবে । এভাবে জগন্নাথের মহাপ্রসাদ পৌঁছে দেওয়ার জন্য সরাসরি সরকারের কাছে এমন কোনও সংস্থা নেই । এক্ষেত্রে সরকার ঠিক করেছিল রেশনের মাধ্যমে মহাপ্রসাদ বাড়ি বাড়ি পৌঁছানোর জন্য রেশন ডিলারদের এক টাকা বাড়তি ভর্তুকি দেওয়া হবে । কিন্তু মহাপ্রসাদ বিলির জন্য বাড়তি টাকা নিতে চাইছেন না রেশন ডিলাররা ।

ফেয়ার প্রাইস শপ ডিলার্স ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বম্ভর বসু জানান, “এই মহান কর্মযজ্ঞে আমাদের যুক্ত করার জন্য আমরা মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাই । আমরা ঠিক করেছি, সোম থেকে শুক্র ‘দুয়ারে রেশন’-এর সুবিধা কাজে লাগিয়ে গ্রাহকদের বাড়িতেই মহাপ্রসাদ পৌঁছে দেব । আর শনিবার ও রবিবার দোকান থেকেই রেশন ও প্রসাদ বিলি হবে । “

প্রসাদের সঙ্গে প্যাঁড়া ও গজা থাকবে । সেই মিষ্টি কোথা থেকে আসবে তা ঠিক করবেন স্থানীয় পুরসভা বা পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ । তবে খোয়া ক্ষীর আসবে একমাত্র দিঘার মন্দির থেকেই । এই প্যাকেটগুলি পরিবহণ, সংরক্ষণ ও বিলির দায়িত্বে থাকবেন রেশন ডিলাররাই । সরকার ডিলারদের প্রতি প্যাকেট এক টাকা ভর্তুকি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ায়, 11 কোটি রেশন গ্রাহকের জন্য সেই টাকার হিসেব প্রায় 11 কোটি টাকা দাঁড়িয়েছিল ৷ তবে, সেই অর্থ নিচ্ছেন না ডিলাররা ।

ইতিমধ্যেই জেলাশাসকদের নেতৃত্বে বিভিন্ন জেলায় বৈঠকও হয়ে গিয়েছে । পরবর্তী পর্যায়ে রাজ্যস্তরে রেশন ডিলারদের সঙ্গে সরকার পক্ষের বৈঠক হবে, যেখানে এই বিষয়েই আনুষ্ঠানিকভাবে প্রস্তাব দেওয়া হবে । ডিলারদের আরও একটি প্রস্তাব, মহাপ্রসাদের সঙ্গে থাকা মিষ্টির মান নিয়ে যেন কোনও আপস করা না হয় । এব্যাপারে ফুড ইন্সপেক্টরকে নজরদারির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে । সেইসঙ্গে প্রতিটি প্যাকেটে মিষ্টির মেয়াদ উল্লেখ করা বাধ্যতামূলক করার দাবিও তুলবে ডিলার সংগঠন ।

আরও পড়ুন:- দারুণ সুযোগ! পোস্ট অফিসের এই স্কিমে মাত্র ৫ হাজার জমা করলেই লাখপতি

Bangla News Dunia Desk Bappaditya

মন্তব্য করুন