Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- মহিলা, শিশু, বৃদ্ধ–সহ একদল রোহিঙ্গা শরণার্থীকে দিল্লি থেকে বিমানে আন্দামানের পোর্ট ব্লেয়ারে নিয়ে গিয়ে নৌবাহিনীর জাহাজ থেকে মিয়ানমার উপকূলে বঙ্গোপাসাগরে ফেলে দেওয়ার অভিযোগের তদন্ত শুরু করল রাষ্ট্রপুঞ্জ। রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার হাইকমিশনার গোটা ঘটনাকে ‘অত্যন্ত অনভিপ্রেত’ বলে মন্তব্য করেছেন।
শুক্রবারই বর্ষীয়ান আইনজীবী কলিন গনজালভেজ সুপ্রিম কোর্টে এই বিষয়ে দায়ের মামলার প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলেন বিচারপতি সূর্য কান্ত ও বিচারপতি এন কোটীশ্বর রাওয়ের বেঞ্চের। শীর্ষ আদালত অবশ্য ওই অভিযোগে গুরুত্বই দিতে চায়নি।
অভিযোগের পক্ষে কী নথি রয়েছে, সে প্রশ্ন তুলেছিল আদালত। ‘মনগড়া’, ‘কল্পনাপ্রসূত’, ‘সমাজ–মাধ্যম নির্ভর পিটিশন’ বলে তিরস্কারও করেছিল। ফরেনার্স অ্যাক্ট অনুযায়ী অবৈধ অভিবাসীর ডিপোর্টেশনই স্বাভাবিক বলে মন্তব্য করেছিল শীর্ষ আদালত।
সমুদ্রে শরণার্থীদের এ ভাবে ফেলে দেওয়ার অমানবিকতা নিয়েই মূলত দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চেয়েছিলেন মামলাকারী দিল্লিবাসী সমাজকর্মী মহম্মদ ইসমাইলের আইনজীবী গনজালভেজ।
তিনি অভিযোগ করেন, গত ৮ মে ৪৩ জন এমন শরণার্থীকে বায়োমেট্রিক তথ্য সংগ্রহের নামে ডেকে দিল্লি থেকে আন্দামানে নিয়ে গিয়ে সমুদ্রে ফেলে দেওয়া হয়েছে। তাঁরা কোনও রকমে মিয়ানমার উপকূলে পৌঁছেছেন। সেখানে যুদ্ধ–পরিস্থিতিতে যে কোনও সময়ে নিহত হতে পারেন।
মামলাকারীকে ফোনে গোটা পরিস্থিতি জানিয়েছেন তাঁরা। জীবনহানির আশঙ্কার কারণেই তাঁরা শরণার্থী হয়েছিলেন। এমন আরও শরণার্থী দিল্লিতে রয়েছেন। তাঁদের ক্ষেত্রে এমন ঘটনা যাতে না–ঘটে, সে জন্যে নির্দেশ চেয়েও আর্জি জানান আইনজীবী।
কিন্তু আদালত মন্তব্য করে, দেশ যখন কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে, তখন এমন কল্পনাপ্রসূত পিটিশন খুবই বিরক্তিকর। কোনও বিদেশি রিপোর্ট দেশের সার্বভৌমত্বের কাছে তুচ্ছ বলেও মন্তব্য করেছিল আদালত।
প্রসঙ্গত ভারতে এই মুহূর্তে অন্তত ৪০ হাজার রোহিঙ্গা শরণার্থী রয়েছেন এবং তাঁদের মধ্যে সাড়ে ২২ হাজার শরণার্থী রাষ্ট্রপুঞ্জের শরণার্থী তালিকায় নভিভুক্ত। যদিও ভারত রাষ্ট্রপুঞ্জের ১৯৫১–র শরণার্থী কনভেনশন এবং ১৯৬৭–র প্রোটোকলের স্বাক্ষরকারী নয় বলে শুক্রবারই আদালতে মনে করিয়ে দেন সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা।
আরও পড়ুন:- পৃথিবীজুড়ে খিদের যন্ত্রণা বেড়েই চলেছে, প্রকাশ্যে এসে পড়ল হাড় হিম করা সত্য