লক্ষী ভান্ডার এর পাশাপাশি নতুন প্রকল্পের মাধ্যমে অতিরিক্ত ১,০০০ টাকা করে দিচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার !

By Bangla News Dunia Desk - Pallab

Published on:

Bangla News Dunia, Pallab : পশ্চিমবঙ্গের মহিলাদের উদ্দেশ্যে এক বিশাল বড় সুসংবাদ শোনালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানিয়েছেন এতদিন পর্যন্ত কেবলমাত্র লক্ষীর ভান্ডার নামক প্রকল্পের মাধ্যমে বাংলার সাধারন শ্রেণীর মহিলাদের প্রতি মাসে ১০০০ টাকা করে এবং সংরক্ষিত শ্রেণীর মহিলাদের প্রতি মাসে ১,২০০ টাকা করে দেওয়া হতো। তবে এবার থেকে লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পের টাকা তো দেওয়া হবেই উপরন্তু তার সাথে আরও অতিরিক্ত ১,০০০ টাকা করে এ রাজ্যের মহিলাদের দেবে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। চলুন জেনে নেওয়া যাক রাজ্য সরকারের এই বিশেষ প্রকল্পের নাম কি? এই প্রকল্পের টাকা পেতে হলে কিভাবে আবেদন করতে হবে? কতদিনের মধ্যে আবেদন করতে হবে? কবে থেকে এই টাকা পাওয়া যাবে?

আরও পড়ুন:– টানা ৫ দিন দাম বেড়েছে, এ সপ্তাহেও নজর থাকুক এই ৭ স্টকে

মানুষের বয়স যত বাড়তে থাকে ততই সে শারিরীক দিক থেকে অক্ষম হয়ে পড়ে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই তখন তার উপার্জনের ক্ষমতা কমে যায়। সেই পরিস্থিতিতে মানুষ আর্থিক দিক থেকে দুর্বল হয়ে যাওয়ায় পরনির্ভরশীল হয়ে পড়ে। যারা সরকারি চাকরি করেন তাদের ক্ষেত্রে তবুও পেনশনের টাকা টুকু কিছুটা হলেও আর্থিক ভরসা জোগায়। তবে যারা সরকারি চাকরি করেন না কোনো বেসরকারি সংস্থায় বা দিন মজুরের কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন তাদের ক্ষেত্রে শেষ জীবনে গিয়ে আর্থিক সহায়তার অভাব দেখা দেয়। এই ধরনের পরিস্থিতির সঙ্গে তালে তাল মিলিয়ে চলতে সাহায্য করতে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পক্ষ থেকে রাজ্যের ৬০ বছর বা তার বেশি বয়সী প্রবীণ নাগরিকদের জন্য একটি বিশেষ প্রকল্প চালু করা হয়েছে। যার নাম হল বার্ধক্য ভাতা প্রকল্প। এই প্রকল্পের আওতায় আমাদের রাজ্যের ৬০ বছর বয়সী বা ৬০ বছরের উর্দ্ধের প্রবীণ নাগরিকদের প্রতি মাসে ১,০০০ টাকা করে পেনশন দেওয়া হয়।

বার্ধক্য ভাতা প্রকল্পের আওতায় কি কি সুবিধা পাওয়া যায়?

বার্ধক্য ভাতা প্রকল্পের আওতায় রাজ্যের ৬০ বছর বয়সী বা ৬০ বছরের উর্দ্ধের প্রবীণ নাগরিকদের যে যে সুবিধা গুলি প্রদান করা হয় সেগুলি হল-

১) এই প্রকল্পের আওতায় থাকা প্রবীণ নাগরিকদের প্রতি মাসে মাসে ১,০০০ টাকা করে মাসিক পেনশন দেওয়া হয়। যা রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে সরাসরি তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা করে দেওয়া হয়।

২) লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পের মাধ্যমে যেমন পশ্চিমবঙ্গের মহিলারা আর্থিক দিক থেকে সাবলম্বী হয়ে উঠতে পেরেছেন তেমনি বার্ধক্য ভাতা প্রকল্পের মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গের ৬০ বছর বা তার উপরের বৃদ্ধ বৃদ্ধারা আর্থিক দিক থেকে সাবলম্বী হয়ে উঠতে পেরেছেন।

বার্ধক্য ভাতা প্রকল্পের আওতায় আবেদন জানানোর জন্য কি কি যোগ্যতা থাকতে হবে?

বার্ধক্য ভাতা প্রকল্পের আওতায় আবেদন জানানোর ক্ষেত্রে আবেদনকারীর নিন্মোক্ত যোগ্যতা গুলি থাকা আবশ্যিক। যেমন-

১) এক্ষেত্রে আবেদনকারীকে অবশ্যই পশ্চিমবঙ্গের একজন স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে।

২) আবেদনকারীর বয়স অতি অবশ্যই কমপক্ষে ৬০ বছর বা তার উপরে হতে হবে।

৩) পরিচয় পত্রের প্রমাণ পত্র হিসেবে আবেদনকারীর নিজের আধার কার্ড বা ভোটার কার্ড থাকতে হবে।

৪) আবেদনকারী বৃদ্ধ বা বৃদ্ধার নিজের নামে একটি সচল ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থাকতে হবে এবং তার কে ওয়াই সি আপডেট থাকতে হবে।

বার্ধক্য ভাতা পাওয়ার জন্য কোথায় ও কিভাবে আবেদন করতে হবে?

শুধুমাত্র এই বার্ধক্য ভাতা প্রকল্পের আবেদন পত্র জমা নেওয়ার জন্য আগামী ২৪/০২/২০২৫ থেকে ১/০৩/২০২৫ পর্যন্ত রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে সারা পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে পুনরায় দুয়ারে সরকার ক্যাম্পের আয়োজন করা হয়েছে। এই ক্যাম্পে গিয়ে সেখান থেকে আপনাদেরকে বার্ধক্য ভাতা প্রকল্পের আবেদন পত্র সংগ্রহ করতে হবে। তারপর তা সঠিকভাবে পূরণ করে তার সঙ্গে যাবতীয় প্রয়োজনীয় নথিপত্রের এক কপি করে জেরক্স ও রঙিন পাসপোর্ট সাইজের ফটো একসাথে যুক্ত করে ওই দুয়ারে সরকার ক্যাম্পেই জমা দিয়ে আবেদন জানাতে হবে।

অথবা আপনি দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে গিয়ে সেখান থেকে বার্ধক্য ভাতা প্রকল্পের আবেদন পত্র সংগ্রহ করে তা সঠিকভাবে পূরণ করে তার সঙ্গে যাবতীয় প্রয়োজনীয় নথিপত্রের জেরক্স কপি ও পাসপোর্ট সাইজের ফটো একসাথে যুক্ত করে আপনি যে ব্লকের বাসিন্দা সেই ব্লক অফিসে গিয়েও জমা দিয়ে আসতে পারেন।

কোন কোন প্রয়োজনীয় নথিপত্র জমা দিতে হবে?

বার্ধক্য ভাতা প্রকল্পের আওতায় আবেদন জানানোর ক্ষেত্রে পূরণ করা আবেদন পত্রের সঙ্গে যে যে প্রয়োজনীয় নথিপত্র গুলির জেরক্স কপি জমা দিতে হবে সেগুলি হল-

১) বয়সের প্রমাণ পত্র হিসেবে মাধ্যমিকের অ্যাডমিট কার্ড/বার্থ সার্টিফিকেট/প্যান কার্ড।

২) দেশ তথা রাজ্যের স্থায়ী বাসিন্দার প্রমাণ পত্র হিসেবে আধার কার্ড বা ভোটার কার্ড।

৩) ব্যাংক অ্যাকাউন্টের ডিটেইলস হিসেবে ব্যাংকের পাস বুকের প্রথম পেজ।

৪) দুই কপি রঙ্গিন পাসপোর্ট সাইজের ফটো।

Bangla News Dunia Desk - Pallab

মন্তব্য করুন