লাহোরে নিঃশব্দে হানা ভারতের, জানুন কতটা ভয়ঙ্কর এই ইজরায়েলি হারোপ ড্রোন

By Bangla News Dunia Desk Bappaditya

Published on:

Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- ৮ মে, ২০২৫—এই দিনটি পাকিস্তানের বিমান প্রতিরক্ষার ইতিহাসে এক বড় ধাক্কার দিন হিসেবে চিহ্নিত হয়ে রইল। ভারতের কৌশলগত আক্রমণে লাহোরের অত্যাধুনিক HQ-9 বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কার্যত ধ্বংস হয়ে গিয়েছে, আর এই আক্রমণে ব্যবহৃত হয় ইজরায়েলি প্রযুক্তিনির্ভর হারোপ ড্রোন—যা শত্রুপক্ষের রাডার ও উচ্চ-মূল্যের লক্ষ্যবস্তু ধ্বংসে বিশেষভাবে দক্ষ।

হারোপ ড্রোন: প্রযুক্তির নিখুঁত প্রয়োগ
এই হামলায় ভারত ব্যবহার করে হারোপ (Harop) ড্রোন, যা ইজরায়েলের IAI (Israel Aerospace Industries)-এর তৈরি। এটি একটি ‘লঘুপাতকারী গোলাবারুদ’ বা কামিকাজে ড্রোন, যা আকাশে দীর্ঘক্ষণ ঘোরাফেরা করতে পারে এবং শত্রুর রাডার নির্ভুলভাবে শনাক্ত করে স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিজেকে বিস্ফোরিত করে।

হারোপ ড্রোনের কিছু গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য:

পরিসীমা: ১০০০ কিমি

লটারিং সময়: ৬ ঘন্টা

ওয়ারহেড: ২৩ কেজি উচ্চ-বিস্ফোরক

নির্দেশিকা: EO/IR সেন্সর ও অ্যান্টি-রাডার প্রযুক্তি

গতি: ১৮৫ কিমি/ঘণ্টা

লঞ্চ: স্থলভিত্তিক বা ক্যানিস্টার সিস্টেম থেকে

এই বৈশিষ্ট্যগুলি হারোপকে একে একে HQ-9-এর মতো মোবাইল এবং প্রযুক্তি-নির্ভর লক্ষ্যবস্তু ধ্বংসের জন্য উপযুক্ত করে তোলে।

আরও পড়ুন:- থ্যালাসেমিয়া কেন হয় ? থ্যালাসেমিয়া রুখতে কী করবেন ? বিশ্ব থ্যালাসেমিয়া দিবসে গুরুত্বপূর্ণ কিছু কথা

HQ-9 ধ্বংস: পাকিস্তানের প্রতিরক্ষায় বড় ধাক্কা
HQ-9, যা চীনের তৈরি এবং রাশিয়ার S-300 ও আমেরিকার প্যাট্রিয়টের আদলে গড়া, পাকিস্তানের বিমান প্রতিরক্ষার মেরুদণ্ড হিসেবে বিবেচিত। এর প্রধান বৈশিষ্ট্য:

পরিসীমা: ২০০ কিমি

লক্ষ্যবস্তু: যুদ্ধবিমান, ড্রোন, ব্যালিস্টিক ও ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র

রাডার ক্ষমতা: ৩০০ কিমি পর্যন্ত ট্র্যাকিং

মোবাইল লঞ্চার: দ্রুত স্থাপন ও স্থানান্তরযোগ্য

ভারতের ড্রোন হামলায় HQ-9 ব্যাটারিটি প্রায় সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে যায়, যার ফলে লাহোর শহরের আকাশ প্রতিরক্ষা কার্যত ভেঙে পড়ে।

অপারেশন সিন্দুর-২: পরিকল্পিত কৌশলের ইঙ্গিত?
এই হামলা “অপারেশন সিন্দুর-২”-এর অংশ বলে মনে করা হচ্ছে। এর পূর্বসূরি “অপারেশন সিন্দুর-১”-এ ৭ মে ২০২৫ তারিখে ভারতের তরফে পাকিস্তান ও পাক-অধিকৃত কাশ্মীরে ৯টি সন্ত্রাসী ঘাঁটিতে নির্ভুল হামলা চালানো হয়েছিল। দুই দিন পর HQ-9 ধ্বংস, পুরো অভিযানের ধারাবাহিকতা এবং পরিকল্পিত কৌশলেরই ইঙ্গিত দেয়।

পাকিস্তানের প্রতিক্রিয়া ও সম্ভাব্য উত্তেজনা
পাক সেনাবাহিনীর মুখপাত্র দাবি করেছেন, হামলায় চার সৈন্য আহত হয়েছেন এবং ১২টি ভারতীয় ড্রোন ভূপাতিত করা হয়েছে। দেশজুড়ে নিরাপত্তা বৃদ্ধি করা হয়েছে, সাময়িকভাবে চারটি শহরের বিমান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে এবং পাঞ্জাবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ করা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ জানিয়েছেন, পাকিস্তান “সব উপায়ে প্রতিক্রিয়া জানানোর অধিকার সংরক্ষণ করে”, যা দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে। বিশেষত, ২২ এপ্রিলের পহেলগাম সন্ত্রাসী হামলার পর এই আক্রমণ এক নতুন দ্বন্দ্বের সূচনা করতে পারে।

আরও পড়ুন:- জরুরি খবর! ১০ই মে থেকে রান্নার গ্যাস সিলিন্ডারে নতুন নিয়ম! বিপদে না পড়তে হলে জেনে নিন

Bangla News Dunia Desk Bappaditya

মন্তব্য করুন