Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- শরীরে ইউরিক অ্যাসিড বৃদ্ধির ফলে কিডনির কতটা ক্ষতি হতে পারে তা আপনার অবশ্যই জানা উচিত । কিন্তু আপনি কি জানেন ইউরিক অ্যাসিড বৃদ্ধির কিছু লক্ষণ কেবল রাতেই দেখা যায় ? যখন ইউরিক অ্যাসিড বৃদ্ধি পায়, তখন রাতে কিছু লক্ষণ দেখা দেয় যা উপেক্ষা করা উচিত নয় । জেনে নেওয়া প্রয়োজন রাতে দেখা যাওয়া ইউরিক অ্যাসিডের লক্ষণগুলি ।
ইউরিক অ্যাসিড রক্তে পাওয়া বর্জ্য পদার্থ । এটি উত্পাদিত হয় যখন শরীর প্রক্রিয়াকরণ করে এবং পিউরিন নামে পরিচিত রাসায়নিকগুলি ভেঙে দেয় । ইউরিক অ্যাসিড রক্তে দ্রবীভূত হয়, কিডনির মধ্য দিয়ে যায় ৷ প্রস্রাবের সঙ্গে মিশে যায় এবং শরীর থেকে বের হয়ে যায় । যদি ইউরিক অ্যাসিড শরীরে থেকে যায়, তবে এর ঘনত্ব হাইপারইউরিসেমিয়া নামক অবস্থার দিকে নিয়ে যেতে পারে ৷ যা শরীরের বিভিন্ন অঙ্গগুলির ক্ষতি করার সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয় ।
পুষ্টিবিদ ডঃ সুচরিতা সেনগুপ্ত
রাতে উচ্চ ইউরিক অ্যাসিডের লক্ষণ:
জয়েন্টগুলিতে উষ্ণতা এবং ফোলাভাব: যখন ইউরিক অ্যাসিড স্ফটিক আকারে জয়েন্টগুলিতে জমা হয়, তখন আক্রান্ত স্থানে ফোলাভাব এবং উষ্ণতা অনুভূত হয় । রাতে কম শারীরিক পরিশ্রমের কারণে, জয়েন্টগুলি শক্ত হয়ে যায়, যা ব্যথা বাড়িয়ে দিতে পারে ।
জয়েন্টগুলিতে হঠাৎ তীব্র ব্যথা: রাতের বেলায় প্রায়শই গেঁটেবাতের আক্রমণ দেখা যায়, বিশেষ করে বৃদ্ধাঙ্গুলিতে । এই ব্যথা এত তীব্র হতে পারে যে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে ।
তলপেটে ব্যথা: উচ্চ ইউরিক অ্যাসিড কিডনিকে প্রভাবিত করতে পারে, যার ফলে কোমরের নীচের অংশে ব্যথা হতে পারে । রাতে এই ব্যথা আরও বাড়তে পারে, কারণ শরীর দীর্ঘ সময় ধরে একই অবস্থানে থাকে ।
ঘন ঘন প্রস্রাব: যখন ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বৃদ্ধি পায়, তখন কিডনি এটি ফিল্টার করার জন্য আরও বেশি কাজ করে, যারফলে রাতে ঘন ঘন প্রস্রাব হতে পারে । কখনও কখনও প্রস্রাব কম হওয়া বা জ্বালাপোড়ার সমস্যা হতে পারে ।
ইউরিক অ্যাসিড কমাতে কী করবেন ?
পুষ্টিবিদ ডঃ সুচরিতা সেনগুপ্ত বলেন, এই সমস্যার সমাধানে কিছু জিনিস মেনে চলা প্রয়োজন প্রয়োজন ৷ কী কী করবেন ?
আরও জল পান করুন: জল ইউরিক অ্যাসিডকে পাতলা করতে এবং কিডনির মাধ্যমে এটি বের করে দিতে সাহায্য করে । দিনে কমপক্ষে 8-10 গ্লাস জল পান করুন ।
পিউরিনযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন: রেডমিট, সামুদ্রিক খাবার, কিডনি বিন, ছোলা এবং অ্যালকোহলের মতো উচ্চ পিউরিনযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন । পরিবর্তে, ফল, শাকসবজি এবং কম চর্বিযুক্ত দুগ্ধজাত খাবার খান ।
ভিটামিন-সি সমৃদ্ধ খাবার: কমলা, লেবু, আমলকি এবং পেয়ারার মতো ফল ইউরিক অ্যাসিড কমাতে সাহায্য করে ।
নিয়মিত ব্যায়াম: ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে এবং ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা কমাতে, প্রতিদিন 30 মিনিট হাঁটা বা যোগব্যায়াম করুন ।আরও পড়ুন:- রাজ্যের মেয়েদের 25,000 টাকা করে দিচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা। জানুন কিভাবে আবেদন করতে হবে ?
চেরি এবং বেরিজাতীয় ফল: চেরিতে প্রদাহ-বিরোধী বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা ইউরিক অ্যাসিড কমাতে সহায়ক ।
চিকিৎসকের পরামর্শ করুন: যদি ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা খুব বেশি থাকে, তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ খান ।
রক্তে থাকা ইউরিক অ্যাসিড হাড়ের জয়েন্টের চারপাশে জমা হয় ৷ যারফলে প্রচণ্ড ব্যথার সৃষ্টি হয় । ইউরিক অ্যাসিড বৃদ্ধির কারণে হজমের সমস্যা হয় ৷ ইউরিক অ্যাসিড স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত বিপজ্জনক বলে জানান পুষ্টিবিদ । সময়মতো ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা ধরা না পড়লে, গুরুতর সমস্যা হতে পারে । তারজন্য আগে থেকেই খাবারের দিকে নজর দেওয়া প্রয়োজন ৷ শরীরের এমন কয়েকটি জায়গা রয়েছে, যেখানে ব্যথা শুরু হলেই সতর্ক হতে হবে বলেই জানান সুচরিতা সেনগুপ্ত ।
https://www.ncbi.nlm.nih.gov/books/NBK284934/
(বিশেষ দ্রষ্টব্য: এই প্রতিবেদনে উল্লেখিত তথ্য শুধুমাত্র ধারণা আর সাধারণ জ্ঞানের জন্যই লেখা হয়েছে ৷ এখানে উল্লেখিত কোনও পরামর্শ অনুসরণের আগে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন ৷ যদি আগে থেকেই কোনও স্বাস্থ্য সমস্যা থেকে থাকে, তা আগেই চিকিৎসককে জানাতে হবে ৷)
আরও পড়ুন:- জুলাই মাসে ৫ রাশির ওপর শুক্রের কৃপা, রাতারাতি বড়লোক হওয়ার সম্ভাবনা আছে