শরীরে কামড় ও নখের আঁচড়ের দাগ ! নির্যাতিতার মেডিকেল পরীক্ষায় মিলল ধর্ষণের প্রমাণ

By Bangla News Dunia Dinesh

Published on:

Bangla News Dunia, Pallab : কসবা গণধর্ষণ কাণ্ডে তোলপাড় গোটা রাজ্য। গত ২৫ জুন কসবা এলাকার সাউথ কলকাতা ল কলেজে কলেজের ভিতরে ছাত্রীকে গণধর্ষণের মতো ঘটনা ঘটে। এদিন রাতেই কসবা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন খোদ নির্যাতিতা। এই ঘটনায় নাম জড়িয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের। অভিযোগ দায়ের হওয়ার ১২ ঘণ্টার মধ্যেই গ্রেপ্তার হয়েছে গণধর্ষণে মুল অভিযুক্ত তৃণমূল ছাত্রপরিষদ নেতাসহ ৩ জন। এই ঘটনায় ছাত্রীর মেডিকেল পরীক্ষাতে ধর্ষণের প্রমাণ মিলেছে। ছাত্রীর শরীরে পাওয়া গিয়েছে জোর করে যৌনসম্পর্কের চিহ্ন, কামড়ের দাগ এবং নখের আঁচড়। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের আশ্বাস দিয়েছে সরকার।

আরও পড়ুন : ঘন ঘন বাজ পড়ার সময় নিজেকে কীভাবে বাঁচাবেন? জানলে বিপদে কাজে আসবে

কসবা এলাকার সাউথ কলকাতা ল কলেজে প্রথম বর্ষের এক ছাত্রীর উপর গণধর্ষণের অভিযোগে উত্তাল রাজ্য। গত বুধবার ঘটনাটি ঘটেছে কলেজ ক্যাম্পাসের মধ্যেই। নির্যাতিতার অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তিন অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে। এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত মনোজিৎ মিশ্র তৃণমূলের এক প্রভাবশালী নেতা। সেই সঙ্গে তিনি কলেজের অস্থায়ী কর্মী।

বুধবার রাতে ঘটনার পরের দিনই নির্যাতিতার মেডিকেল করানো হয় পার্ক সার্কাসের ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পুলিশের এক কর্তা জানিয়েছেন, “মেডিকেল পরীক্ষায় পাওয়া গিয়েছে জোর করে যৌনসম্পর্ক স্থাপনের প্রমাণ, কামড়ের দাগ এবং নখের আঁচড়। যা নির্যাতিতার অভিযোগের সঙ্গে মিলে যাচ্ছে।”

রাজ্যের প্রধান সরকারি কৌঁসুলি সৌরিন ঘোষাল বলেন, “সুপ্রিম কোর্টের রায়ের ভিত্তিতে বলা যায়, কেউ ধর্ষণে সরাসরি অংশ না নিলেও যদি সহযোগিতা করে, তাহলেও সেটি গণধর্ষণ হিসেবে গণ্য হয়। এই মামলায় বাকি দুই অভিযুক্ত ঘরে ঢোকেনি ঠিকই, কিন্তু বাইরে পাহারা দিয়ে অপরাধে সহায়তা করেছে। ফলে তারা একইভাবে দায়ী।”

আপাতত তিন অভিযুক্ত বর্তমানে পুলিশি হেপাজতে রয়েছে। কসবা থানার পুলিশ জানিয়েছে, ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। ঘটনার পুনর্গঠন এবং ডিজিটাল প্রমাণ যাচাই করাও চলছে।

আরও পড়ুন : জুলাই ২০২৫-এ আবারও টানা ছুটি রাজ্যের বিদ্যালয়ে ! জানুন বিস্তারিত ছুটির তালিকা

Bangla News Dunia Dinesh

মন্তব্য করুন