শিশুদের হেলথ ড্রিঙ্কস খাওয়ানো কি ভাল? জানুন কী বলছেন ডাক্তাররা

By Bangla News Dunia Desk Bappaditya

Published on:

Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- আজকাল অনেক অভিভাবকই শিশুদের উচ্চতা ও ওজন নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন। বাজারে নানা ব্র্যান্ডের হেলথ ড্রিংক, প্রোটিন পাউডার বা বিভিন্ন খাদ্যতালিকাগত সাপ্লিমেন্ট এই সমস্যা সমাধানের প্রতিশ্রুতি দেয়। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ধরনের সাপ্লিমেন্ট শিশুদের জন্য কতটা নিরাপদ তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়। ভুল তথ্য ও বিজ্ঞাপনের মোহে পড়ে অনেক সময় অভিভাবকরাই অজান্তে ক্ষতি করছেন সন্তানের।

বিশেষজ্ঞরা কী বলছেন?
সিনিয়র ডায়েটিশিয়ান ফারহা শানামের মতে, শিশুদের উচ্চতা বাড়া সম্পূর্ণভাবে নির্ভর করে জেনেটিক্স, প্রতিদিনের সুষম খাদ্য, শরীরচর্চা এবং ঘুমের ওপর। শুধুমাত্র সাপ্লিমেন্ট বা হেলথ ড্রিংক দিয়ে উচ্চতা বা ওজন বাড়ানো সম্ভব নয়। অনেক অভিভাবক না বুঝেই তাদের সন্তানকে বাজারচলতি পণ্য খাওয়াতে শুরু করেন, যার ফলে লিভার, কিডনি বা হরমোনাল ভারসাম্য নষ্ট হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়।

স্বাস্থ্যকর ড্রিংকের ছদ্মবেশে বিপদ
কে.জি.এম.ইউ-এর অধ্যাপক ড. কাউসার উসমান জানান, বেশ কিছু হেলথ ড্রিংক বা পাউডারে লুকিয়ে থাকে স্টেরয়েড ও সিন্থেটিক হরমোন। যা ৬ থেকে ১৪ বছর বয়সী শিশুদের শরীরের স্বাভাবিক বিকাশকে ব্যাহত করতে পারে। FSSAI-এর একটি রিপোর্টে বলা হয়েছে, দেশের বাজারে পাওয়া ১৫ শতাংশ খাদ্য সাপ্লিমেন্ট নিরাপদ নয়।

সাধারণ ভুল যা অভিভাবকেরা করে থাকেন

টিভি বিজ্ঞাপনের অন্ধ অনুসরণ

ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া খালি পেটে সাপ্লিমেন্ট খাওয়ানো

দুধে চিনি ও স্টার্চযুক্ত হেলথ ড্রিংক মেশানো

রক্ত পরীক্ষার আগে সাপ্লিমেন্ট দেওয়া

অন্যদের দেখে ছেলেমেয়েকে একই পদ্ধতিতে খাওয়ানো

পরিসংখ্যানে উদ্বেগজনক ছবি
২০২৩ সালের The Lancet Child & Adolescent Health গবেষণায় উঠে এসেছে, দক্ষিণ এশিয়ার ৩০% অভিভাবক চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়াই শিশুদের সাপ্লিমেন্ট দেন। WHO-র রিপোর্ট বলছে, প্রতি ৫ জনে ১ জন শিশু আজ বিপাকীয় ব্যাধির ঝুঁকিতে রয়েছে।

সঠিক খাদ্যাভ্যাসে ফিরুন
ডায়েটিশিয়ান ফারেহার মতে, শিশুর দিনে ৩টি সুষম খাবার ও ২টি হালকা জলখাবার দরকার। সকালে দুধ, ডিম, উপমা বা পোহা, দুপুরে ডাল-ভাত, সবজি, দই এবং রাতে রুটি-সবজি। মাঝখানে ফল, পদ্মের বীজ বা সামান্য মিষ্টান্ন দেওয়া যেতে পারে।

প্রাকৃতিকভাবে উচ্চতা ও ওজন বৃদ্ধির উপায়

বাইরে খেলা, সাঁতার, লাফানোর মতো শারীরিক কার্যকলাপ

পর্যাপ্ত ঘুম (৮-৯ ঘণ্টা)

অশ্বগন্ধা (ডাক্তারের পরামর্শে)

বি১২, জিংক, ক্যালসিয়াম ও প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার

নিয়মিত বৃদ্ধি ওজন ট্র্যাক করে পেডিয়াট্রিশিয়ানের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা

আরও পড়ুন:- বন্ধ থাকবে শিলিগুড়ি-গ্যাংটক জাতীয় সড়ক, কবে থেকে জেনে নিন

আরও পড়ুন:- পুরুষদের জন্য চালু হল নতুন প্রকল্প, আবেদন করলেই মাসে পাবেন 5000 টাকা ।

Bangla News Dunia Desk Bappaditya

মন্তব্য করুন