শিশু সাথী প্রকল্পে বাচ্চাদের বিনামূল্যে হার্টের অপারেশন, জেনে নিন সুবিধা ও আবেদনের নিয়ম

By Bangla News Dunia Desk Bappaditya

Published on:

 

Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- শিশু সাথী প্রকল্প কী? পশ্চিমবঙ্গ সরকার কর্তৃক পরিচালিত শিশু সাথী এমন একটি স্বাস্থ্য পরিষেবা উদ্যোগ, যার মাধ্যমে ১৮ বছরের নিচে সমস্ত শিশুর হার্টের রোগের চিকিৎসা সম্পূর্ণ বিনামূল্যে করানো যায়। রাজ্য এবং রাজ্যের বাইরে থাকা সরকারি ও অনুমোদিত বেসরকারি হাসপাতালে এই সুবিধা পাওয়া যায়। এই প্রকল্পে শুধু অস্ত্রোপচার নয়, প্রি অপারেটিভ এবং পোস্ট অপারেটিভ খরচও কভার করা হয়।

শিশু সাথী প্রকল্পের মূল সুবিধা গুলি

  • ০ থেকে ১৮ বছর বয়সি শিশুদের জন্য প্রযোজ্য
  • বিনামূল্যে হৃদরোগের অস্ত্রোপচার এবং চিকিৎসা
  • সরকারি ও অনুমোদিত বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা করানো যায়
  • পুরো খরচ রাজ্য সরকার বহন করে
  • রোগীর পরিবারের যাতায়াত ও থাকা খাওয়ার ব্যবস্থাও করা হয়

কীভাবে নাম নথিভুক্ত করবেন এই প্রকল্পে?

শিশু সাথী প্রকল্পে নাম নথিভুক্ত করা অত্যন্ত সহজ। সাধারণত সরকারি হাসপাতাল বা অনুমোদিত ডাক্তার রোগ নির্ণয়ের পর রোগীকে এই প্রকল্পের অধীনে রেফার করে থাকেন। শিশুর জন্মের প্রমাণ, আধার কার্ড বা যে কোনো পরিচয় পত্র, হাসপাতালের রিপোর্ট, ডাক্তারদের রেফারেন্স এই প্রকল্পের অধীনে পশ্চিমবঙ্গের প্রায় সব বড় সরকারি হাসপাতাল ছাড়াও কিছু বেসরকারি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালেও চিকিৎসা করানো যায়। এছাড়া, বেশ কিছু বাইরের রাজ্যের হাসপাতালেও এই প্রকল্প অনুমোদিত।

SSKM Hospital, Kolkata, Nil Ratan Sarkar Medical College, Apollo Gleneagles Hospital (চুক্তিবদ্ধ বেসরকারি হাসপাতাল), Narayana Super speciality Hospital, এই কয়েকটা হাসপাতালে এই চিকিৎসা হয় এবং দিনে দিনে আরও নতুন নতুন হাসপাতালকে এই স্কিমের সঙ্গে যুক্ত করা হচ্ছে। কিন্তু আবেদন করার সময় যেসব তথ্য খেয়াল রাখা জরুরি যে, রোগ নির্ণয় নিশ্চিত হওয়া প্রয়োজন।

সরকারি হাসপাতালে রেফারেন্স পেতে হবে, নির্দিষ্ট Child ID বা Unique ID তৈরি হবে নথি ভুক্তির সময়, অভিভাবকদের মোবাইল নম্বর ও ঠিকানা সঠিকভাবে দিতে হবে। এছাড়াও ১৮ বছরের বেশি বয়স হলে এই প্রকল্পের সুবিধা পাওয়া যাবে না, যদি রোগী আগে অন্য কোনো সরকারি স্কিমে চিকিৎসা করে থাকে, তবে সেটি বিবেচিত হতে পারে না, অনুপযুক্ত কাগজ পত্র থাকলে আবেদন বাতিল হতে পারে।

শিশু সাথী প্রকল্পটি ২০১৪ সালে চালু হয়েছিল, মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির তত্ত্বাবধানে এটি পরিচালিত হয়, ২০২৫ সাল পর্যন্ত প্রায় ৯০,০০০ শিশু এই প্রকল্পে চিকিৎসা পেয়েছে, স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের থেকে এটি সম্পূর্ণ আলাদা। বর্তমানে দেশের মধ্যে শিশুদের হার্টের সমস্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। সাধারণ পরিবারের পক্ষে চিকিৎসার খরচ বহন করা খুব কঠিন। এই প্রেক্ষাপটে শিশু সাথী প্রকল্প বহু শিশুর জীবন বাচাচ্ছে।

এটি শুধুমাত্র একটি সরকারি স্কিম নয়, বরং একটি সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী, যদি আপনি বা আপনার পরিচিত কারও ১৮ বছরের কম বয়সি সন্তান হৃদরোগে আক্রান্ত হয়, তাহলে দেরি না করে শিশু সাথী প্রকল্পের অধীনে নাম নথিভুক্ত করুন। সময়মতো চিকিৎসা পেলে শিশুর জীবন নতুনভাবে শুরু হতে পারে।

আরও পড়ুন:- কর্মশ্রী প্রকল্পে মজুরি বৃদ্ধি। কারা এই মজুরির সুবিধা পাবেন? জেনে নিন

 

Bangla News Dunia Desk Bappaditya

মন্তব্য করুন