Bangla News Dunia, দীনেশ :- এবার আন্তর্জাতিক অর্থভাণ্ডার বা আইএমএফ (IMF) থেকে বিপুল পরিমাণ ঋণ পাচ্ছে বাংলাদেশও (Bangladesh)। বুধবার একথা জানিয়েছে সে দেশের অন্তর্বর্তী সরকার। যদিও এটি কোনও অতিরিক্ত ঋণ নয়। আগেই বাংলাদেশের জন্য ৪৭০ কোটি ডলার ঋণ মঞ্জুর করেছিল আইএমএফ। সেটিরই চতুর্থ এবং পঞ্চম কিস্তির টাকা আগামী মাসে পাবে বাংলাদেশ। জানা গিয়েছে, আইএমএফ দুই কিস্তিতে বাংলাদেশকে ১৩০ কোটি ডলার দেবে। ভারতীয় মুদ্রায় যা প্রায় ১১ হাজার কোটি টাকা।
আরও পড়ুন:- কর্নেল কুরেশিকে ‘জঙ্গিদের বোন’ তকমা বিজেপি নেতার, জানতে বিস্তারিত পড়ুন
আন্তর্জাতিক অর্থভাণ্ডার মঞ্জুর হওয়া ঋণের টাকা কিস্তিতে ভাগ করে দেয়। ২০২৩ সালের ৩০ জানুয়ারি আইএমএফে বাংলাদেশের জন্য এই ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ মঞ্জুর হয়েছিল। ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত তিনটি কিস্তিতে ২৩১ কোটি ডলার পেয়েছে বাংলাদেশ। কিন্তু কিছু শর্ত পূরণ না হওয়ায় চতুর্থ কিস্তির টাকা আটকে যায়। মূলত আইএমএফের সঙ্গে ডলারের বিনিময় হার নিয়ে দর কষাকষি চলছিল বাংলাদেশের। এনিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে বৈঠক হলেও কোনও সমঝোতা হয়নি। তবে আইএমএফের ঋণের প্রয়োজনীয়তা বিবেচনা করে অবশেষে শর্ত মানতে রাজি হয় বাংলাদেশ ব্যাংক। আইএমএফও কিছুটা ছাড় দেয়। এরপরই এবার দুই কিস্তির টাকা পেতে চলেছে বাংলাদেশ। অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় আসার পর এই প্রথম আন্তর্জাতিক অর্থভাণ্ডার থেকে বরাদ্দ অর্থের কিস্তি পাবে বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন:- বিষাক্ত ভেজাল নুন খাচ্ছেন না তো? এই ভাবে জল দিয়ে পরীক্ষা করে নিতে পারেন
উল্লেখ্য, ভারত-পাক যুদ্ধ আবহেই সম্প্রতি পাকিস্তানকেও প্রায় ১০০ কোটি মার্কিন ডলার বাড়তি ঋণ মঞ্জুর করেছিল আইএমএফ। ইতিমধ্যেই সেই ঋণের দ্বিতীয় কিস্তি পেয়ে গিয়েছে পাকিস্তান। বুধবারই একথা জানিয়েছে পাকিস্তান স্টেট ব্যাংক। তবে পাকিস্তানকে ওই ঋণ দেওয়া হবে কি না, তা নিয়ে একটা সংশয় ছিল। সেক্ষেত্রে ভোটাভুটি হয়েছিল আন্তর্জাতিক অর্থভাণ্ডারে। তবে ওই ভোটাভুটিতে অংশগ্রহণ করেনি ভারত। কিন্তু ভারতের বিরোধিতা সত্ত্বেও আইএমএফ থেকে অতিরিক্ত ঋণের দ্বিতীয় কিস্তির টাকা পেয়ে গেল পাকিস্তান। তবে দ্বিতীয় কিস্তিতে আইএমএফ থেকে কত টাকা তারা পেয়েছে, পাকিস্তান স্টেট ব্যাংক তা জানায়নি।
আরও পড়ুন:- নির্বিচারে কেটে ফেলা হচ্ছে ২৮ লক্ষ নারকেল গাছ, কারণ জানলে অবাক হয়ে যাবেন