Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় সংঘর্ষ বিরতিতে ভারত-পাকিস্তান। আর তারপরেই দুই দেশকে ‘উপহার’ দেবেন বলে জানালেন ট্রাম্প। মাত্র কয়েক দিন আগে পর্যন্ত ‘শুল্কের পাল্টা শুল্ক’ ডাক দিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তবে এবার কি কিছুটা নরম হবেন তিনি?
ট্রাম্প এদিন দু’দেশের ‘সাহস ও বিচক্ষণতা’র ভূয়সী প্রশংসা করেন। নিজের সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ট্রুথ সোশ্যাল-এ একটি পোস্ট করে ট্রাম্প এই সিদ্ধান্তকে ‘ঐতিহাসিক ও মানবিক’ বলে বর্ণনা করেছে। সেইসঙ্গে তিনি আমেরিকার ভূমিকাও মনে করিয়ে দিতে ভোলেননি।
ট্রাম্প জানিয়েছেন, এই পরিস্থিতি যদি চলতেই থাকত, তা হলে তা অচিরেই ভয়াবহ রূপ নিতে পারত। এতে বহু নিরীহ মানুষের প্রাণহানি হত। তিনি বলেন, ‘আমি ভারত ও পাকিস্তানের দৃঢ় নেতৃত্ব নিয়ে গর্বিত। ওঁরা সময়মতো বুঝে গিয়েছিলেন যে, এই সংঘাত থামানো জরুরি। এর ফলে লক্ষ লক্ষ নিরীহ প্রাণ বেঁচে গিয়েছে। এই সিদ্ধান্ত কেবলমাত্র সাহসের পরিচয় নয়, বরং এই দু’টি দেশের ঐতিহ্যকে আরও গৌরবান্বিত করেছে।’
কাশ্মীর প্রসঙ্গও তুললেন ট্রাম্প
পোস্টে ট্রাম্প বলেন, তিনি গর্বিত যে, আমেরিকা এই ঐতিহাসিক সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে ভারত ও পাকিস্তানকে সাহায্য করতে পেরেছে। তিনি জানান, তিনি ভারত ও পাকিস্তানের সঙ্গে মিলে কাশ্মীর সমস্যার দীর্ঘমেয়াদি সমাধানের চেষ্টা করবেন। ট্রাম্প বলেন, ‘হয়তো হাজার বছর পর এখন সেই সময় এসেছে।’ যদিও কাশ্মীর নিয়ে ভারতের অবস্থান বরাবরই স্পষ্ট যে, এটি ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়।
দুই দেশের সঙ্গেই বাড়বে বাণিজ্য
ট্রাম্প জানিয়েছেন, আমেরিকা এখন ভারত এবং পাকিস্তান—দু’দেশের সঙ্গেই বাণিজ্যিক সম্পর্ক ‘উল্লেখযোগ্যভাবে’ বাড়াবে। তিনি বলেন, ‘এই বিষয়ে কোনও আলোচনা হয়নি, তবে আমি স্পষ্ট জানিয়ে দিচ্ছি, আমেরিকা এখন থেকে দুই দেশের সঙ্গেই বাণিজ্য বাড়াতে চলেছে।’
বিশ্লেষকদের মতে
ট্রাম্পের এই মন্তব্য — যে আমেরিকার সাহায্যেই এই ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত, তা তাঁর কূটনৈতিক ভাবমূর্তি জোরদার করার একটি প্রয়াস হিসেবেই দেখা হচ্ছে। আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকদের মতে, আসন্ন মার্কিন নির্বাচনকে মাথায় রেখে ট্রাম্প আবারও আন্তর্জাতিক মঞ্চে নিজের দাপট তুলে ধরতে চাইছেন।
আরও পড়ুন:- রাজ্যে সামাজিক সুরক্ষা যোজনায় উপকৃত ৩৫ লক্ষ মানুষ । কি কি সুবিধা, কিভাবে আবেদন ? জেনে নিন