Bangla News Dunia , পল্লব চক্রবর্তী : বিয়ে সত্যিই জীবনের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত। সঠিক জীবনসঙ্গী খুঁজে না পেলে বিয়ে করতে চান না বেশিরভাগ মানুষই। আমাদের সমাজব্যবস্থায় মনে করা হয়, সঠিক বয়সে বিয়ে করে নেওয়া প্রয়োজন। মেয়েদের ২৫ এবং ছেলেদের ৩০ বছরের মধ্যেই বিয়ে করে নেওয়া প্রয়োজন বলে মনে করেন অনেকেই। ছেলেরা নাকি দেরি করে বিয়ে করলেও অসুবিধা নেই ! সম্প্রতি এমন এক তথ্য উঠে এসেছে যে, এই কথা আপনার একদম ভুল মনে হতে পারে।
বিয়ে করলেই বাড়ে আয়ু ?
একটি নির্দিষ্ট বয়সে বিয়ে করে নিলে নাকি ছেলেদের আয়ু বাড়ে! হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সমীক্ষায় উঠে এসেছে এমন তথ্য। কেন এমন কথা বলছে তারা ? কোন বয়সে ছেলেরা বিয়ে করলে তাঁদের আয়ু বাকি চার পাঁচজন অবিবাহিত ছেলের থেকে অনেক বেড়ে যায়!
হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে একটি সমীক্ষা চালানো হয়েছিল। ১,২৭,৫৪৫ জন মার্কিন প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষের উপর চালানো হয়েছিল এই সমীক্ষা। তাতে যা ফল সামনে এসেছে, তা দেখে চমকে যেতে পারেন আপনি। অবাকও হতে পারেন।
সুখী বিবাহিত পুরুষের আয়ু যথেষ্ট বেশি, এমনই দাবী করছে এই সমীক্ষা। আবার অনেক পুরুষ তাঁর বিবাহিত জীবনে খুবই সুখী। সুখী বিবাহিত পুরুষরা এই ডিভোর্সি ও সিঙ্গল পুরুষদের থেকে অনেক বেশি সুস্থ। এমনকী যাঁদের স্ত্রী নেই, তাঁদের থেকেও বেশি বছর বাঁচেন বিবাহিত পুরুষরা। পুরুষ ২৫ বছর বয়সেই বিয়ে করেন, তাঁরা বেশি সুরক্ষিত। বরং যাঁরা এর থেকেও কম থেকে বয়সে বিয়ে করেন, তাঁদের নিরাপত্তা নিয়ে ভাবতে হয় সবসময়ই। অবিবাহিত পুরুষের থেকে বেশি সুখী বিবাহিত পুরুষরা।
বিয়ে করেই কি সুস্থ থাকতে পারেন আপনি?
যদি বিয়ের পর আপনার শরীর ভালো থাকে, তবে আপনার হার্টও ভালো থাকবে বলে আশা করা যায়। জাপানের বিজ্ঞানীরা সেরকম বিষয়ই প্রকাশ্যে নিয়ে এসেছেন। অবিবাহিত পুরুষের বিবাহিত পুরুষদের থেকে হার্টের সমস্য়ায় ভোগার আশঙ্কা নাকি তিন গুণ বেশি। বিবাহিত পুরুষের ডিপ্রেশনের সম্ভাবনা কম থাকে।
যেখানে অবিবাহিত পুরুষের মধ্য়ে সেই সম্ভাবনা বেশি। এমনকী বিবাহিত জীবনে সুখী হলে রক্তে শর্করার পরিমাণ ঠিক থাকে, রক্তচাপ জনিত সমস্যা নিয়ন্ত্রণে থাকে বলে জানা যায়। আসলে আপনি বিবাহিত জীবনে সুখী হলে আপনার জীবনে দুশ্চিন্তা কম থাকে। আপনি আপনার জীবন নিয়ে যতটা সন্তুষ্ট থাকবেন, ততটাই বাড়বে আয়ু।
আরও খবর পেতে ফলো করুন আমাদের চ্যানেল