Bangla News Dunia, Pallab : কোর কমিটিকে উপেক্ষা করে বীরভূম জেলায় একাই দল চালাতে চেয়েছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। কেষ্টর এই কাণ্ডে ক্ষোভের সৃষ্টি হয় তৃণমূলের অন্দরে। দলীয় কোন্দলে বেসামাল পরিস্থিতি হয় বীরভূমের। একদিকে প্রবীণ তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল, অন্যদিকে জেলা তৃণমূলের দাপুটে নেতা তথা বীরভূম জেলা পরিষদের সভাধিপতি কাজল শেখ। এবার কোন নেতাকে জেলা সভাপতির পদে বসানো হবে তা নিয়ে দলের অন্দরে একটা দ্বন্দ্ব লেগেই ছিল। এই কারণে বীরভূম জেলায় সভাপতির পদই তুলে দিল তৃণমূল। ফলে তৃণমূলের জেলা সভাপতি আর রইলেন না অনুব্রত মণ্ডল।
আরও পড়ুন : সিভিক ভলেন্টিয়ার চাকরি ২০২৫ – কীভাবে আবেদন করবেন ও শেষ তারিখ জানুন
শুক্রবার জেলা সভাপতি এবং চেয়ারপার্সনদের তালিকা প্রকাশ করেছে তৃণমূল। সেই তালিকায় জেলা সভাপতির পদ রাখা হয়নি বীরভূম জেলায়। জেলার সংগঠন দেখভালের জন্য তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একটি কোর কমিটি গঠন করে দিয়েছেন। ন’সদস্যের ওই কমিটিতে রয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল। তবে জেলায় দলের চেয়ারপার্সন পদে এবারও রাখা হয়েছে রামপুরহাটের বিধায়ক আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়।
দলের একাংশের অভিযোগ, মমতার তৈরি কোর কমিটিকে ‘অপ্রাসঙ্গিক’ করে দিয়ে ‘অপারেশন বোলপুর’ চালাচ্ছেন অনুব্রত। দীর্ঘদিন ধরে হয় না কোর কমিটির বৈঠক। এই কমিটির অন্যতম সদস্য কাজল শেখ দূরত্ব রেখে চলেছেন অনুব্রত মণ্ডলের কর্মসূচি থেকে। সে কারণে দুই দাপুটে নেতার দ্বন্দ্বে জেলা সভাপতির পদই তুলে দিল তৃণমূল।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালে গোরু পাচার মামলায় গ্রেপ্তার হন অনুব্রত। সেই সময় তৃণমূল নেতা কাজল শেখকে রেখে বীরভূমে কোর কমিটি গড়ে দিয়েছিলেন দলনেত্রী মমতা। কিন্তু দল জেলা সভাপতির পদ থেকে সরায়নি অনুব্রতকে। পরে যখন তিনি জেল থেকে ছাড়া পান, আলাদা করে তাঁকে ওই পদে বসানোরও কোনও বিষয় ছিল না। দলনেত্রী মমতা বার বার কড়া নির্দেশ দিয়ে জানিয়ে দিয়েছিলেন, কোর কমিটির সঙ্গে সমন্বয় রেখেই কেষ্টকে দল চালাতে হবে। কিন্তু সেই নির্দেশ তোয়াক্কা না করে অনুব্রত কোর কমিটিকে এড়িয়ে একাই দলা চালিয়ে যাচ্ছিলেন বলে অভিযোগ। ছেড়ে দেওয়ার পাত্র নন কাজল শেখ। এরফলে বীরভূম জেলায় গোষ্ঠী কোন্দল চরমে ওঠে। দলীয় সূত্রে দাবি, সেই সব খবরাখবর শীর্ষ নেতৃত্বের কানে গিয়েছিল। এ বার জেলা সভাপতি পদটাই তুলে দিয়ে কড়া বার্তা দিল দল।
আরও পড়ুন : আপনার শত্রুকে উচিত শিক্ষা দিতে চান, তবে চাণক্যের এই ৪ উপায় অনুসরণ করুন