সিন্ধুচুক্তি বাতিলের ‘আফটার এফেক্ট’ ! ধুঁকছে পাকিস্তান

By Bangla News Dunia Dinesh

Published on:

Bangla News Dunia, Pallab : আবারও নতুন বিপদের সম্মুখীন পাকিস্তান। নেপথ্যে ভারতের তরফে সিন্ধু জলবন্টন চুক্তি স্থগিত করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত। পাকিস্তানের উত্তর-পূর্বে বয়ে চলে সিন্ধু এবং তাঁর উপনদী চন্দ্রভাগা ও বিতস্তা। কিন্তু ভারতের তরফে সিন্ধু চুক্তি বাতিল করে দেওয়ায় পর গত কয়েক দিনে চন্দ্রভাগার জলপ্রবাহ অনেকটা কমে গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। শুধু তাই নয় সিন্ধু এবং বিতস্তা নদীতে অবস্থিত পাকিস্তানের দুটি বাঁধের জলস্তর উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। পাকিস্তানের কৃষিকাজ মূলত এই তিনটি নদীর ওপরেই নির্ভরশীল। ফলে এই ঘটনায় চূড়ান্ত উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে পাক প্রশাসন।

আরো পড়ুন : ‘মিনিমাম ব্যালেন্স’-এর নিয়ম তুলে দিল এই সরকারি ব্যাঙ্ক ! বড় স্বস্তি গ্রাহকদের

এই প্রসঙ্গে পাকিস্তানের ইন্ডাস রিভার সিস্টেম অথরিটি (IRSA) একটি বিবৃতিতে জানিয়েছে যে, বিতস্তার ওপর তৈরি মংলা জলাধার এবং সিন্ধুর ওপর তৈরি তারবেলা জলাধারে জমানো জলস্তর কমে প্রায় অর্ধেক হয়ে গিয়েছে। এদিকে চন্দ্রভাগা নদীর জলস্তরও কমতে শুরু করেছে। এর ফলে পাকিস্তানের পঞ্জাব ও সিন্ধ প্রদেশে চাষবাসের কাজে সমস্যা দেখা দিচ্ছে। সমস্যার সম্মুখীন জলবিদ্যুৎ উৎপাদনও।

প্রসঙ্গত, এই মুহূর্তে পাকিস্তানে গ্রীস্মকালীন বীজ বপনের মরসুম চলছে। স্বাভাবিকভাবেই এই কাজে প্রচুর পরিমাণ জলের প্রয়োজন। এই বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে আইআরএসএ তাঁদের বিবৃতিতে বলেছে, ‘ভারত থেকে জল সরবরাহ কমিয়ে দেওয়ার কারণে চন্দ্রভাগায় আচমকা জলপ্রবাহ কমে গিয়েছে। এর ফলে খারিফ মরসুমে জলাধারে জলের ঘাটতি আরও বাড়তে পারে।’

অপরদিকে পাকিস্তানের ‘জল এবং বিদ্যুৎ ডেভেলপমেন্ট অথরিটি’(WPDA) –র প্রকাশিত একটি রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে যে, গত দুদিনে চন্দ্রভাগার জলপ্রবাহ কমেছে ৯১ হাজার কিউসেক। এর পেছনে ভারতের সিন্ধু চুক্তি স্থগিত করার সিদ্ধান্তকেই কাঠগড়ায় তুলেছে তাঁরা।

এদিকে সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, পাকিস্তানের মংলা জলাধারের ধারণক্ষমতা ৫৯ লক্ষ একর ফুট। কিন্তু বর্তমানে সেখানে জল মজুত রয়েছে ২৭ লক্ষ একর ফুট,যা ধারণক্ষমতার অর্ধেকেরও কম। একই অবস্থা তারাবেলা জলাধারের। সেখানকার জল ধারণক্ষমতা ১.১৬ কোটি একর ফুট হলেও সেখানে বর্তমানে রয়েছে ৬০ লক্ষ একর ফুট জল। এই আবহে পাকিস্তান এখন অপেক্ষা করে রয়েছে বর্ষার জলের। তবে সে অপেক্ষা আরও মাসখানেক দীর্ঘ হবে বলেই ধারণা।

আরও পড়ুন : গ্রীষ্মে দই ভীষণ উপকারী, তবে এইসব ক্ষেত্রে বেশি খাওয়া উচিত নয়।

Bangla News Dunia Dinesh

মন্তব্য করুন