Bangla News Dunia, দীনেশ :- সংঘর্ষ বিরতি হয়ে গিয়েছে। সীমান্ত পরিস্থিতিও অনেকটাই ঠান্ডা। কিন্তু তারপরও ভারতকে নিয়ে চিন্তা যাচ্ছে না পাকিস্তানের। কারণ, গ্রীষ্মের মরসুমে সিন্ধুর জল না পেলে পাকিস্তানে ভয়াবহ খরা দেখা দিতে পারে। আবার পাকিস্তান যদি বেশি বাড়াবাড়ি করে, তাহলে মোদি সরকার যে আবার প্রত্যাঘাত করবে সেই আশঙ্কাও দেখা দিয়েছে।
আরও পড়ুন:- নির্বিচারে কেটে ফেলা হচ্ছে ২৮ লক্ষ নারকেল গাছ, কারণ জানলে অবাক হয়ে যাবেন
তাই অপারেশন সিঁদুর এবং সংঘর্ষ বিরতি নিয়ে পাকিস্তান মুখে যতই গর্জাক, সিন্ধু জলচুক্তি (Indus Water Treaty) নিয়ে ভারতের কঠোর অবস্থানে খানিকটা হলেও চাপ বাড়ছে ইসলামাবাদের। সেকারণে নয়াদিল্লিকে অবিলম্বে ওই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়েছে পাকিস্তান (India-Pakistan)। একটি সূত্রের খবর, পাকিস্তানের জলসম্পদ মন্ত্রকের সচিব সৈয়দ আলি মুর্তাজা ভারতের জলশক্তি মন্ত্রকের সচিবকে একটি চিঠি দিয়েছেন। তাতে সিন্ধু জলচুক্তি স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আর্জি জানানো হয়েছে। পাকিস্তান বিষয়টি নিয়ে আলোচনাতেও রাজি বলে জানিয়েছে ইসলামাবাদ। সোমবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি অবশ্য স্পষ্ট করে দিয়েছেন, জল ও রক্ত একসঙ্গে বইবে না। অর্থাৎ ভারত যে সিন্ধু জলচুক্তি নিয়ে আপাতত সুর নরমের পথে হাঁটবে না, তা তিনি বুঝিয়ে দিয়েছেন। তারপরই ভারতকে সুর নরম করার আর্জি জানিয়েছে পাকিস্তান।
আরও পড়ুন:- বিষাক্ত ভেজাল নুন খাচ্ছেন না তো? এই ভাবে জল দিয়ে পরীক্ষা করে নিতে পারেন
এদিকে শুধু শাহবাজ সরকারই নয়, জেলবন্দি পিটিআই নেতা তথা প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানও ভারতকে নিয়ে আশঙ্কায় ভুগছেন। সম্প্রতি ইমরানের বোন আলিমা খান জেলে দেখা করতে গিয়েছিলেন। তাঁর মাধ্যমে সাবধানবাণী শুনিয়েছেন ইমরান। তিনি বলেছেন, ‘পাকিস্তানকে এখন সতর্ক থাকতে হবে। কারণ মোদি অবশ্যই প্রতিশোধ নেবেন।’ দেশের ও সেনাবাহিনীর মনোবল বাড়াতে বুধবার সিয়ালকোট এবং পাসরুরে পাকিস্তানি বায়ুসেনার ঘাঁটি পরিদর্শন করেন প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। মঙ্গলবার আদমপুর বায়ুসেনা ঘাঁটিতে গিয়ে বীর জওয়ানদের ভোকাল টনিক দিয়ে এসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তাঁকে অনুকরণ করে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বুধবার ওই ঘাঁটিতে যান শরিফ। অপারেশন সিঁদুর চলাকালীন ওই দুটি ঘাঁটিরই ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি করেছে ভারতীয় সেনা ও বায়ুসেনা। এরইমধ্যে বুধবার পাকিস্তানের ইন্টার-সার্ভিসেস পাবলিক রিলেশনস (আইএসপিআর) জানিয়েছে, ৬ ও ৭ মে ভারত যে হামলা তাতে নিহত পাকিস্তানি সেনার সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৩ জন। বহু জখম সেনা জওয়ান চিকিৎসাধীন।
আরও পড়ুন:- কর্নেল কুরেশিকে ‘জঙ্গিদের বোন’ তকমা বিজেপি নেতার, জানতে বিস্তারিত পড়ুন
এদিকে সন্ত্রাসবাদীদের সঙ্গে পাকিস্তানের কোনও সম্পর্ক নেই বলে ইসলামাবাদ যে দাবিই করুক, তা যে স্রেফ কথার কথা সেটা ফের প্রমাণ হয়ে গেল। অপারেশন সিঁদুরের জবাবে পাক সেনা বীরত্বের প্রদর্শন করেছে বলে দেশজুড়ে প্রচার শুরু করেছে চরমপন্থী ইসলামিক মৌলবাদী ও জঙ্গি সংগঠনগুলি। দিফ-ই-ওয়াতন কাউন্সিল নামে একটি সংগঠনের ব্যানারে ওই কট্টরপন্থীরা মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর বীরত্বের কথা প্রচার করে। ওই সমাবেশে জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তৈবার প্রতিনিধিও ছিল।