Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- কেন্দ্রের জনধন প্রকল্প এবং বিভিন্ন আর্থিক প্রকল্পের সুবিধা সরাসরি গ্রাহকদের অ্যাকাউন্টে ঢোকার কারণে ব্যাঙ্কে নতুন অ্যাকাউন্ট খোলার সংখ্যা বাড়ছে। এর ফলে নতুন শাখা খোলার উপরে বিশেষ জোর দিচ্ছে দেশের রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলি।
বর্তমান গ্রাহকদের সুষ্ঠু পরিষেবা দিতে এবং ব্যবসার সম্প্রসারণের কথা মাথায় রেখে চলতি অর্থবছরে প্রায় ৫০ হাজার নতুন কর্মী নিয়োগ করবে ভারতের রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলি।
নতুন নিয়োগের মধ্যে প্রায় ২১ হাজার আধিকারিক এবং বাকি ক্লার্ক সমেত সাধারণ কর্মী। বিভিন্ন ব্যাঙ্ক থেকে সংগৃহীত তথ্য তেমনটাই জানান দিচ্ছে।
১২-টি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের মধ্যে সব থেকে বড়— ভারতীয় স্টেট ব্যাঙ্ক (এসবিআই) চলতি অর্থবছরে বিশেষ কাজে দক্ষ আধিকারিক সমেত মোট ২০ হাজার কর্মী নিয়োগ করতে চলেছে। ইতিমধ্যেই কর্মীনিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করে দিয়েছে ব্যাঙ্কটি।
আরও পড়ুন:- রাজ্যের মেয়েদের 25,000 টাকা করে দিচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা। জানুন কিভাবে আবেদন করতে হবে ?
এর মধ্যে ৫০৫-জন প্রবেশনারি অফিসার এবং ১৩,৪৫৫ জুনিয়র অ্যাসোসিয়েট নিয়োগ করেছে এসবিআই। তাদের শাখাগুলিতে গ্রাহক পরিষেবা উন্নত করতেই এই উদ্যোগ নিয়েছে ব্যাঙ্কটি।
দেশের ৩৫ রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের শাখাগুলিতে শূন্যপদ পূরণের জন্য ১৩,৪৫৫ জুনিয়র অ্যাসোসিয়েট নিয়োগ করেছে এসবিআই।
চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত এসবিআইয়ের মোট কর্মীসংখ্যা ২,৩৬,২২৬-এ দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে ১,১৫,০৬৬ আধিকারিক সরাসরি ব্যাঙ্কের বেতনক্রমে রয়েছেন। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে পূর্ণ সময়ের জন্য কর্মী নিয়োগে মাথাপিছু ৪০,৪৪০.৫৯ টাকা খরচ হয়েছে ব্যাঙ্কটির।
প্রতি বছর ব্যাঙ্ক থেকে চলে যাওয়া কর্মীর সংখ্যা ধারাবাহিক ভাবে ২ শতাংশের নীচে থাকে এসবিআইয়ের। কর্মীদের বিভিন্ন ধরনের কল্যাণমূলক প্রকল্পের সুবিধা দেওয়ার কারণে খুব সহজে এসবিআই ছেড়ে কোনও কর্মী যান না।
দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক চলতি অর্থবছরে ৫,৫০০-র বেশি কর্মী নিয়োগ করতে চায়। চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত ব্যাঙ্কটির মোট কর্মীসংখ্যা ১,০২,৭৪৬-এ দাঁড়িয়েছে।
চলতি অর্থবছরে ৪ হাজার নতুন কর্মী নিয়োগের পরিকল্পনা রয়েছে আর এক রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক সেন্ট্রাল ব্যাঙ্কের।
এর মধ্যে, দেশের রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলিকে তাদের শাখা সংস্থাগুলিতে করা বিনিয়োগের উপর মুনাফা করার উপরে জোর দিয়েছে কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রক। আর সে জন্য শাখা সংস্থাগুলিকে শেয়ারবাজার তালিকাভুক্ত করার পরামর্শ দিয়েছে কেন্দ্র।
পরিচালন ব্যবস্থা জোরদার করার পরে সেগুলিকে শেয়ারবাজার নথিভুক্ত করলে মোটা অঙ্কের রিটার্ন পাওয়া সহজ হবে বলেই অর্থ মন্ত্রক মনে করে।
রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলির প্রায় ১৫-টি শাখা সংস্থা বা যৌথ সংস্থা বাজারে ইনিশিয়াল পাবলিক অফারিং ছাড়ার অপেক্ষায় রয়েছে। এর পাশাপাশি মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদে বিলগ্নিকরণের পরিকল্পনাও রয়েছে তাদের।
প্রয়োজন মতো তাদের শাখা সংস্থাগুলির বা যৌথ সংস্থার পরিচালন ব্যবস্থা জোরদার করার জন্য রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলিকে বিনিয়োগের সবুজ সংকেত দিয়েছে কেন্দ্র। সঠিক সময়ে সেগুলি শেয়ারবাজার নথিভুক্তির পরামর্শও দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন:- এক বছরে ৭৩৯% বৃদ্ধি, লগ্নি করতে পারেন এই ৭ পেনি স্টকে