Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়ের মামা সিরিজের একটি গল্পে লেখক বিড়ালের পরিচয়পত্র থাকা উচিত কি না সেই প্রশ্ন তুলে হাস্যরসের এক অনন্য উদাহরণ সৃষ্টি করেছিলেন ৷ সেই ভাবনা বাস্তব রূপ পেল ৷ এবার হাতিদের জন্য তৈরি হচ্ছে পরিচয়পত্র ! শুধু পরিচয়পত্র নয় সচিত্র পরিচয়পত্র ৷ এমনই উদ্যোগ নিয়েছে মধ্যপ্রদেশের বন দফতর ৷
মধ্যপ্রদেশ হাতি আর চিতাবাঘের জন্য় বিখ্যাত ৷ এদের টানে রাজ্যের বিভিন্ন জঙ্গলে বহু পর্যটক আসেন দেশ-বিদেশ থেকে ৷ কানহা জাতীয় উদ্যান, বান্ধবগড় জাতীয় উদ্যান এবং পেঞ্চ জাতীয় উদ্যান পর্যটকদের পছন্দের তালিকার একেবারে প্রথম দিকেই থাকে ৷ আর তাই দীর্ঘদিন ধরেই হাতিদের নিয়ে চিন্তাভাবনা করছে প্রশাসন ৷ এর আগে ব্যবহার অনুযায়ী হাতিদের নাম দেওয়া হয়েছিল ৷ এবার হাতিদের জন্য তৈরি হচ্ছে আইডি ৷
কীভাবে তৈরি হবে এই পরিচয়পত্র ?
এই প্রশ্নের উত্তর পেতে বণ্যপ্রাণ বিশেষজ্ঞ সুদেশ ওয়াঘমারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল ৷ তিনি জানান, বাঘেদের আলাদা করে চিহ্নিত করতে বিশেষ ব্যবস্থা আছে ৷ সেভাবেই হাতিদেরও চিহ্নিত করা হবে ৷ বাঘেদের আলাদা করা হয় তাদের শরীরে উপরে থাকা হলুদ আর কালো ডোরা থেকে ৷ দেখতে এক হলেও দুটি বাঘের শরীরে থাকা ডোরার মধ্যে সামান্য হলেও প্রভেদ থাকে ৷ এই প্রভেদের সাহায্যেই পার্থক্য করা যায় সহজেই ৷ এক্ষেত্রে হাতির মাথা থেকে শুরু করে কান, লেজ এবং শরীরের বিভিন্ন অংশের আলাদা আলাদা ছবি তোলা হবে ৷ সেথান থেকেই হাতিদের মধ্যে প্রভেদ করা সম্ভব হবে ৷ ঠিক হয়েছে পুরুষ ও মহিলা এই দুভাগে ভাগ করে হাতিদের আলাদা করা হবে ৷ তারপর শুরু হবে ছবি তোলার প্রক্রিয়া ৷ ছবির পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট হাতির ব্যবহার কেমন সেটাও লেখা থাকবে পরিচয়পত্রে ৷
কেন এমন উদ্যোগ ?
গত কয়েক বছরে মধ্যপ্রদেশে হাতির সংখ্যা বেড়েছে ৷ ওড়িশা ও ছত্তিশগড় থেকে হাতির দল মধ্যপ্রদেশ আসছে ৷ তারপর তারা এখানেই থেকে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন বন দফতরের কর্তারা ৷ কিন্তু তাদের সম্পর্কে প্রশাসনের কাছে জরুরি তথ্য থাকছে না ৷ বান্ধবগড় জাতীয় উদ্যানেও এমন বহু হাতির সন্ধান মিলেছে যাদের বিষয় প্রশাসনের কাছে কোনও তথ্য় নেই ৷ এমতাবস্থায় তাদের বিষয় তথ্য় জোগাড়ের কাজ শুরু হয়েছে ৷ আর সেদিক থেকেই পরিচয়পত্র সহায়ক ভূমিকা নেবে বলে মনে করছেন প্রশাসনের কর্তারা ৷
আরও পড়ুন:- বিমান গুরুতর দুর্ঘটনায় পড়লে পাইলট ‘Mayday Mayday’ বলে চিৎকার করেন, এর অর্থ কী?