Bangla News Dunia, দীনেশ :- হামাসের শীর্ষ নেতা মুহাম্মদ সিনওয়ারকে হত্যার কথা স্বীকার করে নিল ইজরায়েল। বুধবার ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু (Benjamin Netanyahu) জানিয়েছেন, হামাসের (Hamas) শীর্ষ কমান্ডার এবং নিহত হামাস প্রধান ইয়াহিয়া সিনওয়ারের ছোট ভাই মুহাম্মদ সিনওয়ারকে হত্যা করা হয়েছে। মুহাম্মদ সিনওয়ারের মৃত্যুর পর গাজায় কার্যত নেতৃত্বহীন হয়ে পড়ল হামাস। গত অক্টোবরে ইয়াহিয়া সিনওয়ারকে গাজায় হত্যা করে ইজরায়েলি সেনাবাহিনী। তার মৃত্যুর পর, মুহাম্মদ সিনওয়ারকে প্যালেস্টাইনি জঙ্গি গোষ্ঠীর শীর্ষ পদে উন্নীত করা হয়। এবার ইজরায়েল মুহাম্মদ সিনওয়ারকেও হত্যাকরে কার্যত প্যালেস্টাইনি জঙ্গি গোষ্ঠীর শীর্ষ নেতৃত্বকেই নিকেশ করে দিল।
আরও পড়ুন:- বর্ষাকালে কলকাতার কোন ৮ এলাকা বিপজ্জনক? কি ব্যবস্থা নিচ্ছে পুরসভা ? জানুন
জানা গেছে, খান ইউনিসের ইউরোপীয় হাসপাতালের মাঠে এক হামলায় মুহাম্মদ সিনওয়ার নিহত হয়েছেন। সেই সময় সংসদ সদস্যদের সঙ্গে এক রুদ্ধদ্বার বৈঠকে বক্তৃতা করছিলেন সিনওয়ার। ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের মতে, ইসরায়েল প্রতিরক্ষা বাহিনী (IDF) খান ইউনিসে ইউরোপীয় হাসপাতালের নিচে গোপন ডেরাকে চিহ্নিত করে হামলা চালায়। সৌদি চ্যানেল সৌদি চ্যানেল আল-হাদাত অনুসারে, সিনওয়ারের মৃতদেহ সম্প্রতি তার ১০ জন ঘনিষ্ঠ সহযোগীর দেহর সঙ্গে উদ্ধার করা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, হামাসের সামরিক শাখার রাফাহ ব্রিগেডের কমান্ডার মোহাম্মদ শাবানাও এই হামলায় নিহত হয়েছেন বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে।
আরও পড়ুন:- কেমন আছে পুরুলিয়ার এই ‘ভূতের’ স্টেশন ? পরিস্থিতি কি বদলেছে ? জানতে পড়ুন এই বিশেষ প্রতিবেদন
গত জুলাইয়ে হামাসের শীর্ষ সামরিক কমান্ডার মুহাম্মদ দেইফ নিহত হওয়ার পর, মুহাম্মদ সিনওয়ার সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সামরিক শাখার দায়িত্ব গ্রহণ করেন। সিনওয়ারের বড় ভাই ইয়াহিয়া আইডিএফ সৈন্যদের হাতে নিহত হওয়ার পর, তিনি গাজা উপত্যকায় সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর নেতা হন। মুহাম্মদ সিনওয়ারের দাদা ইয়াহিয়া ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইজরায়েলে হামলার মূল পরিকল্পনাকারী ছিল। এই হামলার পর থেকেই ইজরায়েল ও প্যালেস্টাইনের মধ্যে চলমান সংঘর্ষের সূচনা হয়।
আরও পড়ুন:- ১ জুন থেকে ৭ নিয়মে বড় বদল, পকেটে পড়বে চাপ । বিস্তারিত জেনে নিন
১৯৭৫ সালে খান ইউনিসে জন্মগ্রহণকারী মুহাম্মদ সিনওয়ার তার ভাইয়ের পদাঙ্ক অনুসরণ করে ১৯৮০-এর দশকের শেষের দিকে হামাসে যোগ দেন। সন্দেহভাজন জঙ্গি কার্যকলাপের জন্য ১৯৯১ সালে ইসরায়েলি বাহিনী তাকে গ্রেপ্তার করে। এক বছরের কিছুটা কম সময় তিনি কারাগারে কাটান। নব্বইয়ের দশকে রামাল্লায় প্যালেস্টাইনি কর্তৃপক্ষ তাঁকে বেশ কয়েক বছর ধরে কারারুদ্ধ করে রেখেছিল।