হাসিনার অনলাইন ভাষণ বন্ধে মোদিকে আর্জি ! জানুন উত্তরে কী বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী ? জানালেন ইউনূস নিজেই

By Bangla News Dunia Dinesh

Published on:

Bangla News Dunia, দীনেশ :- ক্ষমতাচ্যুত হয়ে গত বছরই বাংলাদেশ ছেড়েছিলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina)। দেশছাড়া হয়ে ভারতে এসে আশ্রয় নিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু এতেও যেন সন্তুষ্ট নন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস (Muhammad Yunus)। হাসিনার অনলাইন ভাষণ (Online speech) বর্তমানে মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে তাঁর। তাই ভারতে থেকে হাসিনা যাতে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাষণ দিতে না পারেন, সেই অনুরোধ একবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (PM Narendra Modi) জানিয়েছিলেন ইউনূস। কিন্তু সেই অনুরোধ উপেক্ষা করে দিয়েছিলেন মোদি।

আরও পড়ুন:- আম আর দুধ একসঙ্গে খেলে শরীরের জন্য ক্ষতিকর? রয়েছে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ কারণ

সম্প্রতি লন্ডন সফরে গিয়েছেন মুহাম্মদ ইউনূস। সেখানে গিয়ে চ্যাথাম হাউসে বক্তব্য রাখার সময় মোদির সঙ্গে মতবিনিময়ের কথা উল্লেখ করেন তিনি। ইউনূস বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে কথা বলার সুযোগ পেয়ে আমি কেবল বলেছিলাম যে আপনি হাসিনাকে আশ্রয় দিতে চান, আমি আপনাকে সেই নীতি ত্যাগ করতে বাধ্য করতে পারি না। তবে দয়া করে আমাদের সাহায্য করুন যাতে হাসিনা বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে যেভাবে কথা বলছেন, তা যে না বলেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘তিনি (হাসিনা) ঘোষণা করেন যে এই দিনে, এই সময়ে বক্তব্য রাখবেন। এতে সমগ্র বাংলাদেশে ক্ষোভের সৃষ্টি হচ্ছে।’

আরও পড়ুন:- গাছপাকা নাকি কার্বাইড- ফরমালিন মেশানো? খাঁটি আম চেনার এই টিপস জানা থাকলে আর ঠকবেন না

কিন্তু ইউনূসের দাবি, এই বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদিকে হস্তক্ষেপের আর্জি জানানো হলেও তা মানতে রাজি হননি তিনি। উলটে মোদি বলেছিলেন, ‘এটি সোশ্যাল মিডিয়া। এটিকে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়।’ যা শুনে ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন ইউনূস। মোদির এই জবাবের কথা জানিয়ে কার্যত ক্ষোভ উগরে দিয়েই ইউনূস বলেন, ‘এটি একটি বিস্ফোরক পরিস্থিতি। উনি (মোদি) এটিকে কেবল সোশ্যাল মিডিয়ার দোহাই দিয়ে এড়িয়ে যেতে পারেন না।’

এদিন হাসিনাকে বাংলাদেশে প্রত্যর্পণের বিষয়েও মুখ খোলেন ইউনূস। তিনি নিশ্চিত করেন যে, বাংলাদেশ হাসিনার প্রত্যর্পণের জন্য ভারত সরকারকে চিঠি পাঠিয়েছে এবং আইনি প্রক্রিয়া ইতিমধ্যেই চলছে। তাঁর কথায়, ‘ট্রাইবিউনাল বিচার প্রক্রিয়া শুরু করেছে। হাসিনার কৃত অপরাধের জন্য তাঁকে নোটিশ পাঠানো হয়েছে। আরও অনেক অপরাধ সামনে এসেছে। এই ধরনের নোটিশের জবাব দিতে হবে। আমরা একটি আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করছি। আমরা নিশ্চিত করতে চাই যে, রাগের বশে আমরা কিছু করিনি।’ সেই সঙ্গে ইউনূস এও উল্লেখ করেছেন যে, বাংলাদেশ এখনও ভারতের সঙ্গে একটি শক্তিশালী দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক চায়।

আরও পড়ুন:- কেন্দ্রীয় সরকারে প্রায় ১৫ হাজার শূন্যপদে নিয়োগ, এখনই আবেদন করুন

প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালে অগাস্ট মাসে ছাত্র-জনতার বিক্ষোভের জেরে শেখ হাসিনার ক্ষমতা থেকে অপসারণের পর থেকেই ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে উত্তেজনা অব্যাহত রয়েছে। কারণ গণবিক্ষোভের জেরে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ভারতে আশ্রয় নেন। এমনকি নয়াদিল্লির বিরুদ্ধে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে হস্তক্ষেপের অভিযোগও তোলা হয়েছে। এরই মাঝে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবিউনাল শেখ হাসিনা সহ আরও দুজনকে ২০২৪ সালের ছাত্র-জনতার বিক্ষোভ চলাকালীন গণহত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত করেছে। যা পরিস্থিতিকে আরও উদ্বেগজনক করে তুলেছে।

 

Bangla News Dunia Dinesh

মন্তব্য করুন